শিরোনাম
◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম, ভ‌রি এক লাখ ১৯ হাজার ৫শ টাকা ◈ রাইসির মৃত্যু হলে দায়িত্ব পাবেন ভাইস প্রেসিডেন্ট, ৫০ দিনের মধ্যে নির্বাচন ◈ পুলিশকে স্মার্ট বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে: আইজিপি ◈ ইরানের প্রেসিডেন্ট রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার শিকার  ◈ বিএনপির নেতাকর্মীদের কারাগারে পাঠানো সরকারের প্রধান কর্মসূচি: মির্জা ফখরুল ◈ উপজেলায় ভোট কম পড়ার বড় কারণ বিএনপির ভোট বর্জন: ইসি আলমগীর  ◈ আত্মহত্যা করা জবির সেই অবন্তিকা সিজিপিএ ৩.৬৫ পেয়ে আইন বিভাগে তৃতীয় ◈ ভারতে চিকিৎসা করাতে গিয়ে নিখোঁজ এমপি, খুঁজে পেতে ডিবিতে মেয়ে ◈ কুমিল্লায় ব্যবসায়ী হত্যা মামলায় ৭ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৭ জনের যাবজ্জীবন ◈ গোপনে ইসরায়েলে অস্ত্র পাঠাচ্ছে ভারত, জাহাজ আটকে দিয়েছে স্পেন

প্রকাশিত : ১৮ নভেম্বর, ২০২২, ০২:১৭ রাত
আপডেট : ১৮ নভেম্বর, ২০২২, ০৯:৩৯ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বিশ্বের ১৩০ কোটি মানুষ হেডফোনজনিত বধিরতার শিকার

হেডফোনজনিত বধিরতার শিকার

অনলাইন ডেস্ক: শব্দদূষণের মাত্রা অতিক্রম করায় কানের ক্ষতি হচ্ছে, বধিরও হয়ে যাচ্ছে অনেকে। বিশেষ করে আধুনিক সময়ের হেডফোন তরুণদের বধির করে দিচ্ছে। বিশ্বব্যাপী ১২ থেকে ৩৪ বছর বয়সীদের ২৪ শতাংশই অনিরাপদ শব্দমাত্রায় গান শুনে। ফলে এদের মধ্যে কানে কম শোনার প্রবণতা শুরু হয়েছে। এরা হেডফোন, এয়ারফোন অথবা এয়ারবাডস দিয়ে উচ্চ শব্দে গান শুনে। নয়া দিগন্ত

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (হু) হিসাব মতে, বিশ্বব্যাপী ৪৩ কোটি (৪৩০ মিলিয়ন) মানুষ হেয়ারিং লসে (কানে কম শোনা) সমস্যায় ভুগছে। বয়স্কদের চেয়ে তরুণ বয়সীরা কানে কম শোনা সমস্যায় বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। কারণ এরা বিভিন্ন ডিভাইস ব্যবহার করে উচ্চ শব্দে গানসহ নানা কিছু শোনে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বারবার অথবা মাঝে-মাঝে উচ্চ শব্দে কোনো কিছু শুনলেও শ্রবণেন্দ্রিয়ে সমস্যা হয়ে থাকে। শব্দবিষয়ক ইউনিভার্সিটি অব সাউথ ক্যারোলিনার গবেষকরা ২০০০ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী পরিচালিত এ ধরনের গবেষণাগুলো পর্যালোচনা করেন। গবেষণায় দেখানো হয়েছে বিশ্বের ১৩০ কোটি মানুষ হেডফোনজনিত বধিরতার শিকার। এদের সবার বয়স ৩৫ বছরের নিচে। এদের প্রায় সবাই হেডফোনে অতি উচ্চ শব্দে গান শুনে থাকে। বাংলাদেশে হেডফোনজনিত বধিরতায় কত তরুণ ও যুবক বধির হচ্ছে অথবা বধিরতার কাছাকাছি চলে যাচ্ছে তা নিয়ে কোনো সুনির্দিষ্ট গবেষণা নেই।

হেডফোন সংক্রান্ত উচ্চ শব্দ নিয়ে গবেষণা শেষে আন্তর্জাতিক এই বিশেষজ্ঞ দল ২০ দেশের ৩০টির বেশি এ সংক্রান্ত গবেষণা পর্যালোচনা করে। এই বিশেষজ্ঞ দল, ১২ থেকে ৩৪ বছরের ২০ হাজার মানুষের ওপরে করা গবেষণাগুলো পর্যালোচনা করে বধির হওয়ার কথা বলেছেন। গবেষকরা বলেন, এই ২০ হাজার মানুষের অর্ধেক অথবা এক -চতুর্থাংশ (৫ হাজার) নিয়মিত ডিভাইস (হেডফোন) ব্যবহার করে গান শুনে অথবা যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে অনিরাপদ মাত্রায় উচ্চ শব্দে গান বাজায় এমন কনসার্টে গিয়ে থাকে। সম্প্রতি ব্রিটিশ গ্লোবাল হেলথ জার্নালে এ বিষয়ক গবেষণাটি প্রকাশিত হয়।

গবেষকরা বলছেন, ৮০ ডেসিবল (শব্দের একক) মাত্রার শব্দ বয়স্কদের জন্য নিরাপদ। অন্য দিকে শিশুদের জন্য নিরাপদ ৭৫ ডেসিবল। তারা বলছেন, ৮৫ ডেসিবল শব্দ শ্রবণেন্দ্রীয়ের ক্ষতি করতে থাকে। কিন্তু উল্লিখিত ১৩০ কোটির অর্ধেক মানুষ এর চেয়ে অনেক উচ্চ শব্দে শোনে বিভিন্ন ডিভাইস ব্যবহার করে।

চিকিৎসকরা বলছেন, কানের অভ্যন্তরীণ ককলিয়াতে খুবই সূক্ষ্ম ১৫ হাজার চুলে শব্দ গিয়ে উদ্দীপনা তৈরি করে। এই সূক্ষ্ম সংবেদনশীল চুল শব্দের ঢেউ শনাক্ত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কিন্তু এই সূক্ষ্ম চুলগুলো খুবই ভঙ্গুর। একটি নষ্ট হয়ে গেলে শোনার জন্য সহায়তাকারী এই চুলগুলো নতুন করে গজায় না। এই চুলগুলোর ক্ষতি মানেই তা স্থায়ী ক্ষতি। ফলে মানুষ কম শুনতে শুরু করে।

হেডফোন দিয়ে গান শোনা তরুণ সমাজের মধ্যে একটি ফ্যাশন হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু এসব নিয়ে কোনো গবেষণা নেই বললেই চলে। তবে যানবাহন, শিল্প, ইটভাঙার মতো বিকট শব্দ নিয়ে কিছু গবেষণা হয়েছে। বাংলাদেশে প্রচলিত বিধিমালা অনুযায়ী, আবাসিক এলাকায় রাত নটা থেকে ভোর ছটা পর্যন্ত শব্দের মাত্রা ৪৫ ডেসিবেল এবং দিনের অন্য সময়ে ৫৫ ডেসিবেল অতিক্রম করতে পারবে না। বাণিজ্যিক এলাকায় তা যথাক্রমে ৬০ ও ৭০ ডেসিবেল। কিন্তু শব্দের এই মাত্রা কোথাও মানা হয় না। হাসপাতাল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, অফিস-আদালতের আশপাশে ১০০ মিটার পর্যন্ত নীরব এলাকা হিসেবে ঘোষণা করা রয়েছে। সেখানে রাতে ৪০ ও দিনে ৫০ ডেসিবেল শব্দমাত্রা নির্ধারণ করে দেয়া আছে। কিন্তু এসব এলাকায় দিন ও রাতে প্রায় সব সময় অতি শব্দে হর্ন বাজানো হয়।

এমএএস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়