স্পোর্টস ডেস্ক : আইসিসির মাসের সেরা প্লেয়ার মনোনীত হলেন শুভমন গিল স্পোর্টস ডেস্ক : অ্যান্ডারসন-টেন্ডুলকার ট্রফিতে রেকর্ড ব্রেকিং পারফরম্যান্সের পুরস্কার পেলেন ভারতের তরুণ অধিনায়ক। ইংল্যান্ডের বেন স্টোকস এবং দক্ষিণ আফ্রিকার ইউয়ান মুলডারকে হারিয়ে এই পুরস্কার জিতলেন লাল বলের ক্রিকেটে রোহিত শর্মার উত্তরসূরি। জুলাই মাসে অসামান্য ফর্মে ছিলেন গিল। তিন টেস্টে ৫৬৭ রান করেন। গড় ৯৪.৫০।
তারমধ্যে রয়েছে একটি দ্বিশতরান এবং দুটো শতরান। ভারতের অধিনায়ক হিসেবে প্রথম সিরিজেই বাজিমাত। আইসিসির মাসের সেরা প্লেয়ার হয়ে অভিভূত তরুণ অধিনায়ক। শুভমন গিল বলেন, 'জুলাই মাসের আইসিসির সেরা প্লেয়ার হয়ে ভাল লাগছে।
এবার এই প্রাপ্তির মাহাত্ম্য আলাদা। কারণ প্রথম টেস্ট সিরিজে অধিনায়ক হিসেবে নিজের পারফরম্যান্সের জন্য এই স্বীকৃতি পেলাম। বার্মিংহ্যামে দ্বিশতরান আমি সারা জীবন মনে রাখব।
ইংল্যান্ড সফরে আমার সেরা পারফরম্যান্সের অন্যতম হয়ে থাকবে। অধিনায়ক হিসেবে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ আমাকে অনেক কিছু শিখিয়েছে। দুই দলের অনেকে দারুণ খেলেছে। আমি নিশ্চিত, ওরাও নিজেদের পারফরম্যান্স দীর্ঘদিন মনে রাখবে।
এই পুরস্কারের জন্য আমাকে মনোনীত করায় বিশেষজ্ঞদের ধন্যবাদ জানাই। সতীর্থদেরও ধন্যবাদ গোটা সিরিজে আমার পাশে থাকার জন্য। নিজের এই ফর্ম গোটা মরশুমে ধরে রাখতে চাই। দেশকে আরও সাফল্য দিতে চাই। এই নিয়ে চতুর্থবার মাসের সেরা প্লেয়ারের পুরস্কার। এর আগে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে পান।
তার আগে ২০২৩ সালের জানুয়ারি এবং সেপ্টেম্বরে মাসের সেরা প্লেয়ার মনোনীত হন। প্রথম পুরুষ ক্রিকেটার হিসেবে চারবার এই স্বীকৃতি পেলেন গিল। এর আগে মহিলা ক্রিকেটার অ্যাশ গার্ডেনার এবং হেইলি ম্যাথিউজ এই স্বীকৃতি পেয়েছিলেন।
এজবাস্টনে ভারতের ঐতিহাসিক জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন গিল। প্রথম ইনিংসে ২৬৯ রান করেন। দ্বিতীয় ইনিংসে ১৬১ করেন। ৩৩৬ রানে বিশাল জয় পায় টিম ইন্ডিয়া। এক টেস্টে ৪৩০ রান করেন। যা টেস্টের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। ৪৫৬ রান করে তাঁর আগে আছেন গ্রাহাম গুচ।
এজবাস্টনে একাধিক রেকর্ডের অধিকারী গিল। প্রথম ভারতীয় অধিনায়ক হিসেবে ইংল্যান্ডে টেস্টে দ্বিশতরান করেন। বিরাট কোহলির পর দ্বিতীয় ভারতীয় স্কিপার হিসেবে বিদেশের মাটিতে এই রেকর্ড গড়েন। সুনীল গাভাসকরের ২২১ রানের রেকর্ড ছাপিয়ে যান। তৈরি করেন নতুন বেঞ্চমার্ক।
এশিয়ার বাইরে বিদেশের মাটিতে শচীন তেন্ডুলকরের সর্বোচ্চ রানের ২১ বছরের রেকর্ড ভাঙেন গিল। লর্ডসে রান না পেলেও ম্যাঞ্চেস্টারে ঘুরে দাঁড়ান। দ্বিতীয় ইনিংসে শতরান করেন। যার ফলে সিরিজ ড্র হয়। ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে কঠিন সময় মূল্যবান রান করেন ভারত অধিনায়ক। শূন্য রানে জোড়া উইকেট হারায় ভারত। ইনিংস হার বাঁচাতে প্রয়োজন ছিল ৩১১ রান। চার নম্বরে নেমে অনবদ্য ব্যাট করেন।
তাঁর পারফরম্যান্সে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের তালিকায় তিন নম্বরে টিম ইন্ডিয়া। সিরিজ ড্রয়ের পেছনে তাঁর অবদান অনস্বীকার্য। ১০ ইনিংসে ৭৫৪ রান করেন গিল। গড় ৭৫.৪০। সিরিজের সেরা প্লেয়ারও হন।