দেশে নতুন করে চোখ রাঙাচ্ছে করোনার নতুন উপধরন। এতে নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। জারি করা হয়েছে নানা ধরনের নির্দেশনা। সতর্কতা জারি করা হয়েছে বিমানবন্দর ও স্থলবন্দরে।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও ভাইরোলজিস্টরা বলছেন, এ নিয়ে দুশ্চিন্তার কিছু নেই। সতর্ক থাকতে হবে, নিতে হবে ব্যবস্থা।
আইসিডিডিআর’বির তথ্যমতে, চলতি বছর সংক্রমণ বৃদ্ধির অন্যতম কারণ হলো করোনার নতুন দুটো সাব-ভ্যারিয়েন্ট এক্সএফজি ও এক্সএফসি। এগুলো ওমিক্রন জেএন.১-এর একটি উপশাখা। সবচেয়ে বেশি মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন এক্সএফজিতে। এই ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ ক্ষমতা বেশি। ফলে স্বাস্থ্যবিধি না মানলে তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
সুরক্ষিত থাকতে কী করবেন:
* জনাকীর্ণ স্থান এড়িয়ে চলুন।
* নাক-মুখ উভয়ই ঢেকে সঠিকভাবে মাস্ক পরুন।
* অপরিষ্কার হাতে চোখ, নাক, মুখ ধরবেন না।
* হাঁচি/কাশির সময় বাহু বা টিস্যু দিয়ে নাক মুখ ঢেকে রাখুন।
* ব্যবহৃত টিস্যুটি অবিলম্বে ঢাকনা যুক্ত ময়লা ফেলার ঝুড়িতে ফেলুন
* ঘনঘন হাত ধোন। স্যানিটাইজার ব্যবহার করুন।
* কমপক্ষে দেড় মিটার শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখুন।
* কোনো লক্ষণ দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
* নেয়া না থাকলে কোভিড ভ্যাকসিন এবং বুস্টার ডোজ গ্রহণ করুন।
সন্দেহজনক রোগীদের ক্ষেত্রে করণীয়:
১. জ্বর, কাশি এবং শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত হলে সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত বাড়িতে থাকুন।
২. রোগীর নাক-মুখ ঢাকার জন্য মাস্ক ব্যবহার করতে বলুন।
৩. রোগীর সেবাদানকারীরাও সতর্কতা হিসেবে মাস্ক ব্যবহার করুন।
৪. প্রয়োজন হলে কাছের হাসপাতালে অথবা আইইডিসিআর (০১৪০১-১৯৬২৯৩) অথবা স্বাস্থ্য বাতায়ন (১৬২৬৩)-এর নম্বরে যোগাযোগ করুন।
