শিরোনাম
◈ কলকাতায় ভাঙচুরের ঘটনায় লিওনেল মেসি দায়ী: সু‌নিল গাভাস্কার ◈ ডিসেম্বরের মধ্যে পাঁচ ব্যাংকের আমানতকারীদের আমানত ফেরত দেওয়ার নির্দেশ গভর্নরের ◈ মুক্তিযোদ্ধাদের সহায়তা ছাড়া ভারত বিজয় অর্জন করতে পারতো না: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন ◈ সৌদিতে হলরুম ভাড়া করে নির্বাচনী সভা করায় কয়েকজন বাংলাদেশি আটক ◈ হিমালয়ের গভীরে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী জলবিদ্যুৎ ব্যবস্থা তৈরি করছে চীন ◈ ইউক্রেনের সাথে আপস প্রত্যাখ্যান করেছেন পুতিন ◈ ৩০০ আসনের লড়াই: আসন ছাড়ে অনীহা, জোট রাজনীতিতে বাড়ছে টানাপোড়েন ◈ হাদিকে গুলি: প্রধান অভিযুক্তের ‘জামিন বিতর্ক’ নিয়ে যা বললেন আইন উপদেষ্টা ◈ পে স্কেল নিয়ে রুদ্ধদ্বার বৈঠক শেষে যে সিদ্ধান্ত নিল কমিশন ◈ মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত ট্রাভেল পাস চাননি তারেক রহমান: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

প্রকাশিত : ০৫ নভেম্বর, ২০২৪, ০১:৪১ রাত
আপডেট : ১৬ মে, ২০২৫, ০৩:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ডাবের পানি যাদের জন্য হতে পারে বিপদের কারণ

ডাবের পানি একটি প্রাকৃতিক ও স্বাস্থ্যকর পানীয় হিসেবে প্রচলিত। এটি শরীরকে ঠাণ্ডা রাখে, দ্রুত হাইড্রেশন জোগায় এবং এতে নানা পুষ্টিগুণ থাকে যা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। তবে সবার জন্য এই পানীয় উপযোগী নয়। কিছু মানুষের জন্য ডাবের পানি বিপদের কারণ হতে পারে। আসুন, জেনে নিই যাদের ডাবের পানি পান করা থেকে সাবধান থাকা উচিত।

১. ডায়াবেটিস রোগীরা : ডাবের পানিতে প্রাকৃতিক শর্করা (গ্লুকোজ এবং ফ্রুকটোজ) থাকে, যা ডায়াবেটিস রোগীদের রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে। ডায়াবেটিস রোগীদের এটি নিয়মিত বা অতিরিক্ত পান করা ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। যদিও এর গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম, তবে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া এটি এড়িয়ে চলাই ভালো।

২. পটাশিয়াম বেড়ে গেলে (হাইপারকালেমিয়া) : ডাবের পানি পটাশিয়ামের একটি ভাল উৎস, যা সাধারণত হার্ট ও কিডনির জন্য উপকারী। তবে যাদের রক্তে পটাশিয়ামের মাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি (হাইপারকালেমিয়া), তাদের জন্য এটি বিপদজনক হতে পারে। বেশি পটাশিয়াম হৃদযন্ত্রের সমস্যা তৈরি করতে পারে, এমনকি হার্ট অ্যারিথমিয়ার মতো গুরুতর পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে।

৩. কিডনি রোগীরা : যাদের কিডনির সমস্যা আছে, তাদের ডাবের পানিতে থাকা অতিরিক্ত পটাশিয়াম কিডনির কার্যকারিতা হ্রাস করতে পারে। কিডনি যথাযথভাবে পটাশিয়াম নিষ্কাশন করতে না পারলে তা রক্তে জমা হয়, যা স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।

৪. রক্তচাপ কমে গেলে (হাইপোটেনশন) : ডাবের পানি প্রাকৃতিকভাবে রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। যাদের রক্তচাপ স্বাভাবিকের চেয়ে কম থাকে বা হাইপোটেনশনের সমস্যা আছে, তাদের ডাবের পানি পান করা ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। এটি রক্তচাপ আরও কমিয়ে দিয়ে মাথা ঘোরা, দুর্বলতা বা অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যা তৈরি করতে পারে।

৫. অ্যালার্জি সমস্যা : যদিও ডাবের পানি খুব সাধারণ পানীয় এবং বেশিরভাগ মানুষ এটি সহজেই সহ্য করতে পারেন, তবু কিছু মানুষের জন্য এটি অ্যালার্জির কারণ হতে পারে। বিশেষত নারকেলের প্রতি যারা সংবেদনশীল, তাদের ডাবের পানি পান করলে ত্বকে ফুসকুড়ি, চুলকানি, শ্বাসকষ্ট বা গলা ফোলার মতো সমস্যা হতে পারে।

৬. হৃদযন্ত্রের রোগী : ডাবের পানির উচ্চ পটাশিয়াম হৃদযন্ত্রের উপর অতিরিক্ত চাপ তৈরি করতে পারে। কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, যারা হৃদযন্ত্রের রোগে ভুগছেন, তাদের জন্য বেশি পটাশিয়াম হৃদযন্ত্রের সংকোচন প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করতে পারে। তাই হৃদযন্ত্রের সমস্যা থাকলে এটি নিয়মিত পান করা থেকে বিরত থাকা উচিত।

৭. অতিরিক্ত ইলেকট্রোলাইট সমস্যায় ভুগছেন যারা: ডাবের পানিতে ইলেকট্রোলাইট সমৃদ্ধ উপাদান থাকে, যা শরীরের জন্য ভালো। কিন্তু যাদের শরীরে ইতিমধ্যে ইলেকট্রোলাইট ভারসাম্যহীনতা (ইলেকট্রোলাইট ইম্ব্যালেন্স) আছে, তাদের ডাবের পানি পান করা বিপজ্জনক হতে পারে। এতে শরীরে ইলেকট্রোলাইটের মাত্রা আরও বাড়তে পারে, যা স্নায়ু ও পেশীতে সমস্যা তৈরি করতে পারে।

ডাবের পানি স্বাস্থ্যকর হলেও, সবার জন্য তা উপযোগী নয়। বিশেষত ডায়াবেটিস, কিডনি সমস্যা, হৃদরোগ ও অ্যালার্জি সমস্যায় ভুগছেন এমন ব্যক্তিদের এটি পান করার আগে সতর্ক থাকতে হবে। তাই নিজের শারীরিক অবস্থা অনুযায়ী চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ডাবের পানি গ্রহণ করা উচিত, যাতে বিপদ এড়ানো যায়। উৎস: জীবনস্টাইল।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়