শিরোনাম
◈ ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ কি আসন্ন, হুঙ্কার-পাল্টা হুঙ্কার ◈ ব্রাজিলের কোচ হওয়ার স্বপ্ন সফল হ‌লো না আনচেলত্তির, রিয়াল মা‌দ্রিদেই থাক‌তে হ‌চ্ছে ◈ বাংলাদেশে বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনে আগ্রহী চীন ◈ উপদেষ্টা আসিফের পদত্যাগ দাবিতে বিক্ষোভ, ব্যানার কেড়ে নেয়ায় ওসির গায়ে হাত তুলতে তেড়ে আসেন বিক্ষোভকারীরা (ভিডিও) ◈ আজ মহান মে দিবস ◈  নতুন আইন হচ্ছে  র‍্যাবকে ব্যক্তিস্বার্থে ব্যবহার ঠেকাতে ◈ চলতি মাসে ২৯ দিনে রেমিট্যান্স এলো ২৬০ কোটি ৭৬ লাখ ডলার ◈ মন্ত্রিপরিষদকে নির্বাচন কমিশনের ১২ প্রস্তাব ◈ বগুড়ায় সারজিসের উপস্থিতিতে এনসিপি-বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দফায় দফায় সংঘর্ষ ◈ আনোয়ারায় বেড়েছে চুরি, ডাকাতিসহ নানান অপরাধ, উদ্বিগ্ন জনসাধারণ  

প্রকাশিত : ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ১১:৫১ রাত
আপডেট : ২৬ এপ্রিল, ২০২৫, ১০:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বাংলাদেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনে ভারতের ওষুধ ও চিকিৎসা খাতে ধস

রুবেল শেখ : শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম নিউজ-১৮। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পতনের আন্দোলনের প্রভাব পড়েছে ভারতের ওষুধ রপ্তানি ও মেডিকেল ট্যুরিজম সেক্টরে। দেশটির ফার্মা কোম্পানিগুলো বাংলাদেশ থেকে অর্থ আটকে যাওয়া, পাঠানো পণ্য হারিয়ে যাওয়া এবং আমদানিকারকদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পারাসহ বিভিন্ন ঝামেলায় পড়েছে।

সংবাদমাধ্যমটিকে ভারতের ‘ফার্মাসিউটিক্যাল এক্সপোর্ট প্রমোশন কাউন্সিল’ বলেছে, অর্থ আটকে যাওয়ায় এবং অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতার কারণে অনেক কোম্পানি এখন বাংলাদেশে পণ্য পাঠাতে দ্বিধাদ্বন্দ্বে আছে।

প্রতিষ্ঠানটির মহাপরিচালক রাজু ভানু বলেছেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার কারণে, ভারতীয় ফার্মাসিউটিক্যাল শিল্প— যেটি ওষুধ এবং এ সংশ্লিষ্ট পণ্য রপ্তানি করে— বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। যার মধ্যে আছে বকেয়া অর্থ, পণ্য সরবরাহ এবং অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার বিষয়টি।

রাজু ভানু জানিয়েছেন, বাংলাদেশ-ভারতের যৌথ সীমান্তে লজিস্টিক ইস্যুটিও এখন বড় সমস্যায় পরিণত হয়েছে। সীমান্তে তাদের পাঠানো পণ্য আটকে আছে। এছাড়া ইনস্যুরেন্স পেতেও বেগ পোহাতে হচ্ছে। যদিও পরিস্থিতি এখন ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে।

তিনি বলেছেন, “আমরা আশা করি বাংলাদেশে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতির উন্নতি হবে। আমাদের ওষুধ খাতের উপর বাংলাদেশ ইস্যু কেমন প্রভাব ফেলবে এটি এখনই বলা ঠিক হবে না।”

বাংলাদেশে ওষুধ পণ্যের যে পরিমাণ চাহিদা রয়েছে সেটির ৩০ শতাংশ আসে ভারত থেকে। এসব পণ্য সরবরাহ করে থাকে ছোট, মাঝারি এবং বড় বড় অনেক প্রতিষ্ঠান।

সংবাদমাধ্যম নিউজ-১৮ ইমেইলের মাধ্যমে বেশ কয়েকটি ফার্মা কোম্পানির সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। এরমধ্যে কয়েকটি উত্তর দেয়নি। আর কিছু প্রতিষ্ঠান পরিচয় প্রকাশ না করে নিজেদের মন্তব্য দিয়েছে।

এরমধ্যে মুম্বাইভিত্তিক একটি কোম্পানি জানিয়েছে, আপাতত বাংলাদেশ থেকে তারা ওষুধ পণ্য রপ্তানির কোনো অর্ডার নিচ্ছে না। কোম্পানিটি বলেছে, সরবরাহের ভিত্তিতে বলা যায় এখন পরিস্থিতি ভালো হয়েছে। কিন্তু আমরা এখনো আমাদের হারিয়ে যাওয়া শিপমেন্টগুলো পাইনি। এগুলো অস্থিরতা চলার সময় হারিয়ে গিয়েছিল। পণ্য হারানোয় আমাদের লাখ লাখ রুপি ক্ষতি হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত আমরা নতুন করে কোনো অর্ডার নেব না।

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্দোলন চূড়ান্ত রূপ ধারণ করার পর ভারত বাংলাদেশের ভিসা সেন্টার সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেয়। এতে সাধারণ মানুষকে আর ভিসা দিতে পারেনি তারা। আর ভিসা না দিতে পারার কারণে ভারতে বাংলাদেশি রোগীর পরিমাণ কোথাও কোথাও অর্ধেকও কমেছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়