শাহীন খন্দকার: [২] ভ্যাপসা গরমের হাত থেকে কবে মুক্তি মিলবে, সে বিষয়ে এখনও সুনির্দিষ্ট জানা যায়নি আবহাওয়া অফিস থেকে। বরং ক্রমশ পারদ চড়ছে উত্তাপের। রোদে বেরোলেই ঘেমে জবজবে হয়ে যাচ্ছে শরীর। শারীরিক অস্বস্তি তো আছেই, সেই সঙ্গে ত্বকের নানা সমস্যারও ঝুঁকি বাড়ছে।
[৩] বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলছেন,ঘাম হলে শরীরের তাপমাত্রা ঠিক থাকে। গরমে শরীরে ঘাম হওয়া ভালো। খেয়াল রাখতে হবে শরীরের চাপা অংশে ঘাম জমে ত্বকে সংক্রমণের ঝুঁকি যেনো না বাড়ে। গরমে ঘামের সঙ্গে ত্বকের যে সমস্যা জড়িয়ে থাকে, তা হল র্যাশ এবং ঘামাচি। ভ্যাপসা গরমে এই ধরনের সমস্যার ঝুঁকি বেড়ে যায়।
[৪] বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ’র) সুপার স্পেশাল হাসপাতালের সাবেক প্রকল্প পরিচালক অধ্যাপক ডা. জিল্লুর রহমান খান বলেন, গ্রীষ্মের এই অসহনীয় গরম থেকে স্বস্তি পেতে প্রাপ্তবয়স্করা একটু পর পর চোখে-মুখে পানির ঝাপটা দিবেন। পানি পান করবেন, রোদে বের হলে সঙ্গে ছাতা রাখবেন, রোদ চশমা ব্যবহার করবেন, কাজ করতে গিয়ে একটু জিরিয়ে নিবেন এবং সুতি হালকা রংয়ের কাপড় পড়বেন।
[৫] অস্বাভাবিকভাবে তাপমাত্রা বাড়তে থাকায়, আমাদের আগে শিশুদের নিরাপদে রাখার প্রতি নজর দিতে হবে। ডা.মুনীরুজ্জামান সিদ্দিকী বলেন, চলমান তাপপ্রবাহ থেকে শিশুর সুরক্ষার জন্য প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা, শিশুরা যেখানেই থাকুক না কেন, তাদের বসা ও খেলার জন্য ঠান্ডা জায়গার ব্যবস্থা করুন। তপ্ত দুপুর ও বিকেলের কয়েক ঘণ্টা তাদের বাড়ির বাইরে বেরোনো থেকে বিরত রাখুন।
[৬] শিশুরা যেন হালকা ও বাতাস চলাচলের উপযোগী পোশাক পরে, তা নিশ্চিত করতে হবে। সেই সঙ্গে সারা দিন তারা যেন প্রচুর পানি পান করে, সেটাও নিশ্চিত করতে হবে। তিনি বলেন, যদি কোনো শিশু বা অন্তঃসত্ত্বা নারীর মধ্যে ‘হিট স্ট্রেস’ বা তাপমাত্রাজনিত সমস্যার উপসর্গ দেখা দেয় ( যেমন,মাথা ঘোরা, অতিরিক্ত ঘাম হওয়া, বমি বমি ভাব, হালকা জ্বর, নাক দিয়ে রক্ত পড়া, মাংসপেশিতে টান, ডায়াপার পরার জায়গাগুলোতে ফুসকুড়ি) তাহলে তাকে একটি ঠান্ডা জায়গায় নিয়ে যান, যেখানে ছায়া এবং পর্যাপ্ত বাতাস চলাচলের সুযোগ আছে।
[৭] এরপর ভেজা তোয়ালে দিয়ে তার শরীর মুছিয়ে দিন । তাকে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি বা খাবার স্যালাইন পান করতে দিন। হিট স্ট্রেসের (তাপমাত্রাজনিত অসুস্থতার) উপসর্গ তীব্র হলে যেমন কোনো কিছুতে সাড়া না দিলে, অজ্ঞান হয়ে পড়লে, তীব্র জ্বর, হৃৎস্পন্দন বেড়ে গেলে, খিঁচুনি দেখা দিলে এবং অচেতন হয়ে পড়লে তাৎক্ষণিক হাসপাতালে নিতে হবে। সম্পাদনা: কামরুজ্জামান
এসকে/কে/এইচএ
আপনার মতামত লিখুন :