শাহীন খন্দকার: [২] আগামী ২০৪০ সালের মধ্যে বছরে এক মিলিয়ন অর্থাৎ ১০ লাখ নারীর মৃত্যু হতে পারে স্তন ক্যান্সারে। এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ল্যানসেট কমিশন। বর্তমান বিশ্বে স্তন ক্যানসার একটি সাধারণ কার্সিনোজেনিক রোগ।
[৩] কার্সিনোজেন প্রাকৃতিক পরিবেশেও ঘটতে পারে। আবার এটি মানুষের দ্বারাও উৎপন্ন হতে পারে। এই রোগটির কারণে ২০২৪ সালের মধ্যে বছরে ১০ লাখ নারীর মৃত্যু হতে পারে বলে। ল্যানসেট কমিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২০ সাল পর্যন্ত গত পাঁচ বছরে প্রায় ৭৮ লাখ নারীর স্তন ক্যানসার শনাক্ত হয়, একই বছর প্রায় মারা যায় ৬ লাখ ৮৫ হাজারের মতো নারী।
[৪] এনডিটিভি খবর সূত্রে প্রকাশ ল্যানসেট কমিশন ধারণা করছে, ২০২০ সালে বিশ্বজুড়ে যেখানে ২৩ লাখ স্তন ক্যানসারের রোগী ছিলেন, সেখানে ২০৪০ সালে বেড়ে বছরে ৩০ লাখের বেশি হতে পারে। নিম্ন-মধ্য আয়ের দেশগুলোতে এর প্রভাব পড়ছে অসামঞ্জস্যপূর্ণভাবে। যুক্তরাষ্ট্রের ইমোরি ইউনিভার্সিটি স্কুল অব মেডিসিনের রেশমা জাগসি বলেন, মহিলাদের মৌলিক মানবাধিকার ঐতিহাসিকভাবে পুরুষদের তুলনায় কম সম্মান দেয়া হয়েছে। রোগীর এজেন্সি এবং স্বায়ত্তশাসনের জন্য প্রভাব রয়েছে।
[৫]তাই প্রতিটি স্বাস্থ্যকর্মীর উচিত যোগাযোগ দক্ষতার প্রশিক্ষণ নেয়া। রোগী এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্যে যোগাযোগের মান উন্নত করতে হবে। রোগীকে উৎসাহিত করতে হবে। তাদের যথাযথ যত্ন নিতে হবে। স্তন ক্যানসারের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কিছু সুপারিশ তুলে ধরে কমিশন বলেছে, গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে রোগী ও স্বাস্থ্য পেশাজীবীদের মধ্যে আরও ভালো যোগাযোগ রোগীর জীবনমান, শারীরিক অবস্থা,থেরাপির কার্যকারিতা ও ইতিবাচকভাবে বেঁচে থাকার মতো ক্ষেত্রগুলোর উন্নয়ন ঘটাতে পারে। স্তন ক্যান্সার ব্যবস্থাপনায় নেয়া নির্দিষ্ট পদক্ষেপকে ছাপিয়ে তা গভীর ইতিবাচক প্রভাব রাখতে পারে। তথ্য সূত্র মানব জমিন। সম্পাদনা : কামরুজ্জামান
এসকে/এইচএ
আপনার মতামত লিখুন :