শাহীন খন্দকার: [২] প্রচণ্ড এই রোদে মানুষ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হতে পারেন। আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যে প্রকাশ কোন এলাকায় যদি ৪০-৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা থাকে তাহলে তীব্র গরম ধরে নিতে হবে। এই প্রচণ্ড গরম থেকেই ঘটতে পারে মানবদেহের নানা রকম স্বাস্থ্য ঝুঁকি।
[৩] তাই এই তীব্র গরমে কিছু জরুরি শর্তকতা মেনে না চললেই বিপদ জনক পরিস্থিতি এড়িয়ে যাওয়া যায়। প্রতিদিন প্রচুর পানি খেতে হবে। পান করতে হবে ধীরে ধীরে, বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ।
[৪] হঠাৎ ঠান্ডা পানি করা থেকে বিরত থাকতে হবে। কারণ এই গরমে বেশি ঠান্ডা পানি খেলে রক্তনালীগুলো ফেটে যেতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অত্যাধিক গরম যে শুধু আপনাকে ডিহাইড্রেটেড করে দেয় তাই-ই নয়, হার্টের উপরও চাপ বাড়ায়। যাদের কাজের জন্য বাইরে বেরনো হয়, গরমে তাদের স্ট্রোক, বমি বমি ভাব, মাথাঘোরা, মাথাব্যথা, ক্লান্তির কারণে দুর্বলতা লাগতে পারে।
[৫] প্রচুর পানিসহ ডাবের তরল পানি, লেবুর পানি, বাটার মিল্ক পান করুন। খুব দরকার না হলে বাইরে না বেরনো ভালো। ভাজাভুজি, জাঙ্ক ফুড বাদ দিয়ে হেলদি খাবার খান। রসালফল খান বেশি করে। জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল সূত্রে আরও জানা গেছে পোশাক নির্বাচনের ক্ষেত্রে হালকা সুতির পোশাক বেছে নিতে হবে।
[৬] যদি বাইরে থাকার সময় হাত-পা রোদের সংস্পর্শে থাকে, তাহলে বাসায় ফিরেই তড়িঘড়ি হাত-পা ধোবেন না। এক্ষেত্রে গোসল বা হাত-পা ধোয়ার আগে কমপক্ষে আধা ঘণ্টা অপেক্ষা করুন।
[৭] বিশেষ করে বেলা ১১টার পর থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত রোদের তীব্রতা অনেক বেশি থাকে। এই সময়ে ঘরে থাকাই ভালো। বাইরে বের হতে হলে ছাতা, ক্যাপটুপি সঙ্গে রাখুন। পা ঢাকা জুতা ও হালকা, ঢিলেঢালা সুতির পোশাক পরিধান করুন। স্কিন টাইট বা সিনথেটিক কিছু পরবেন না। সব সময় পানীয় সঙ্গে রাখুন।
[৮] শরীরে অস্বস্তি হলে ওর স্যালাইনে পান করতে পারেন। বাড়িতে শরবত, ফলের রস, লাচ্ছি বানিয়েও পান করতে পারেন। এভাবে শরীরকে সবসময় হাইড্রেটেড রাখতে পারেন। বাইরে বের হলে বেশিক্ষণ রোদে থাকবেন না। যাদের পেশার জন্য রাস্তায় রোদে থাকতেই হবে, তারা কিছু সময় অন্তর ছায়া বা ঠাণ্ডায় থাকার চেষ্টা করুন।
[৯] বেশি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘরে যারা থাকেন, যাদের কনকনে ঠান্ডা পানি খাওয়ার প্রবণতা এবং গরম থেকে বেরিয়েই দীর্ঘ সময় এসি ঘরে কাটান তাদের অসুখ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি এই গরমে। তাই এই গরমে বাহির থেকে এসেই এসি ঘরে ঢোকার আগে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন। আবার এসি থেকে বেরিয়েও কিছুটা সময় অপেক্ষা করতে হবে। শরীরকে স্বাভাবিক তাপমাত্রার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার সময় দিতে হবে। সেই সঙ্গে বাসি খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। প্রতিদিন অবশ্যই গোসল করতে হবে। সম্পাদনা: কামরুজ্জামান