শাহীন খন্দকার: [২] হার্টের রিংয়ের বেড়ে যাওয়া সেই দাম কমেছে। মোট ২৩ ধরনের স্টেন্টের দাম কমিয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর। দেশের বাজারে হঠাৎ করেই বেড়ে যাওয়া স্টেন্টের (রিং) এর দাম কমানো হয়েছে। ইতোপূর্বে ডলারের মূল্যবৃদ্ধির কারণ দেখিয়ে দাম বেড়েছিলো।
[৪] পাল্যান্ডের তৈরি অ্যালেক্স প্লাস ব্র্যান্ডের স্টেন্টের দাম ৮০ হাজার টাকা থেকে কমিয়ে ৬০ হাজার করা হয়েছে। অ্যালেক্স ব্র্যান্ডের স্টেন্ট ৬২ হাজার ৯২২ টাকা থেকে কমিয়ে ৬০ হাজার টাকা, অ্যাবারিস ব্র্যান্ডের স্টেন্টের দাম ৬১ হাজার ৯২১ টাকা থেকে কমিয়ে ৬০ হাজার টাকা করা হয়েছে।
[৫] জার্মানির করোফ্ল্যাক্স আইএসএআর ব্র্যান্ডের স্টেন্টের দাম ৫৯ হাজার ১১৯ থেকে ৫৩ হাজার টাকা, করোফ্ল্যাক্স আইএসএআর নিও ব্র্যান্ডের স্টেন্টের দাম ৭৩ হাজার ১২৬ টাকা থেকে কমিয়ে ৫৫ হাজার টাকা, জিলিমাস ব্র্যান্ডের স্টেন্টের দাম ৬০ হাজার টাকা থেকে কমিয়ে ৫৮ হাজার টাকা করা হয়েছে।
[৬] ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সুইজারল্যান্ডের ওরসিরো ব্র্যান্ডের স্টেন্ট ৭৬ হাজার টাকা থেকে কমিয়ে ৬৩ হাজার টাকায়,ওরসিরো মিশনের দাম ৮১ হাজার টাকা থেকে ৬৮ হাজার টাকায় বিক্রি করতে হবে বলে নির্ধারণ করা হয়েছে । দক্ষিণ কোরিয়ার তৈরি জেনোস ডেস ব্র্যান্ডের স্টেন্টের দাম ৬৫ হাজার ৫০০ টাকা থেকে ৫৬ হাজার টাকা, স্পেনের ইভাসকুলার এনজিওলাইটের দাম ৮৭ হাজার টাকা থেকে ৬২ হাজার টাকা, জাপানের আল্টিমাস্টারের দাম ৮৩ হাজার ২০০ টাকা থেকে ৬৬ হাজার টাকা।
[৭] এছাড়া নেদারল্যান্ডসের অ্যাবলুমিনাস ডেস প্লাসের স্টেন্টের দাম ৭১ হাজার ২০০ টাকা থেকে কমিয়ে ৬৩ হাজার টাকা নির্ধারণ করেছে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর। অন্যদিকে ভারতে তৈরি স্টেন্টের দামও কমিয়েছে অধিদপ্তর। মেটাফোর ব্র্যান্ডের স্টেন্ট ৪৮ হাজার টাকা থেকে ৪০ হাজার, এভারমাইন ফিফটি ব্র্যান্ডের স্টেন্ট ৯৫ হাজার ৫০০ টাকার রিং ৫০ হাজার, বায়োমাইম মর্ফ ৯৫ হাজার ৫০০ টাকা থেকে ৫০ হাজার, বায়োমাইমের স্টেন্ট ৬৫ হাজার ৫৯৫ টাকা থেকে কমিয়ে ৪৫ হাজার টাকা করা হয়েছে।
[৮] যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাফিনিটি-এমএস মিনির দাম ৯১ হাজার টাকার বদলে ৬০ হাজার টাকা, ডিরেক্ট-স্টেন্ট সিরোর দাম ৯৬ হাজার ৭৩২ টাকার বদলে ৬৬ হাজার টাকা এবং ডিরেক্ট-স্টেন্টের দাম ৩৩ হাজার ৫৯২ টাকা থেকে ৩০ হাজার টাকা করা হয়েছে। সিঙ্গাপুরের তৈরি বায়োমেট্রিক্স নিওফ্ল্যাক্স রিং ৭৬ হাজার টাকা থেকে ৬০ হাজার টাকা, বায়োমেট্রিক্স আলফার দাম ৮৬ হাজার ৩৬ টাকা থেকে ৬৬ হাজার টাকা এবং বায়োফ্রিডমের দাম ১ লাখ ২১ হাজার ৬০০ টাকা থেকে কমে ৬৮ হাজার করা হয়েছে।
[৯] গত ২০২৩ সালের অক্টোবরে যুক্তরাষ্ট্রের দুটি কোম্পানির তিন ধরনের স্টেন্টের দাম কমায় অধিদপ্তর। তখন রেজোলিউট ইন্টেগ্রিটি, ধরনের স্টেন্টের ৮৮০ থেকে ৫০০ ডলার, রেজোলিউট ওনিক্সের দাম ১ হাজার ১৫০ থেকে কমিয়ে ৯০০ ডলার এবং অনিক্স ট্রকারের দাম নির্ধারণ করা হয় ৪৫০ ডলার। সেই সঙ্গে ২০২৩ সালের ১২ ডিসেম্বর অধিদপ্তর আরও কয়েক ধরনের স্টেন্টের দাম নির্ধারণ করে দেয়। যা কার্যকর হয় গত ১৬ ডিসেম্বর থেকে।
[১০] নতুন তালিকায় সর্বনিম্ন ১৪ হাজার টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ১ লাখ ৪০ হাজার ৫০০ টাকা পর্যন্ত দামের স্টেন্টও রয়েছে। প্রকারভেদে স্টেন্টের দাম সর্বোচ্চ ৪০-৪৫ শতাংশ পর্যন্ত কমে আসে। সম্পাদনা: সমর চক্রবর্তী
এসকে/এসসি/আইএফ
আপনার মতামত লিখুন :