শাহীন খন্দকার: প্রতিটি মানুষের বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যেমন জীবন ধারার পরিবর্তন হয় তেমনি শারীরিক সমস্যাও দেখা দেয়। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে প্রতিটি মানুষের অস্থিসংক্রান্ত সমস্যা বেশি দেখা দিয়ে থাকে। এক পরিসংখ্যান বলছে , বিশ্বে বয়সজনিত কারণে হাড়ে যেসব সমস্যা দেখা দিয়ে থাকে তার মধ্যে অস্টিয়োপোরেসিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুকিঁ সব চেয়ে বেশি।
এ নিয়ে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলছেন, বয়স ৩০-এর কোঠা পেরোলেই এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে বেশি। তবে ঝুঁকি এড়াতে জীবনধারায় পরিবর্তন আনা জরুরি বলেও তারা মনে করছেন।
পরিবর্তনগুলো হলো:-
নিয়মিত হাঁটাহাঁটি, ব্যায়াম, যোগাসন করার অভ্যাস হাড়ের যত্ন নিতে সাহায্য করে। হাড়ের ক্ষয় হ্রাস করে। সকল বয়সেই সবার নিয়মিত শরীরচর্চা করা জরুরি। শুধু অস্টিয়োপোরেসিস নয়, হাড়ের অন্যান্য সমস্যা দুর করতেও ব্যায়াম করা একান্ত প্রয়োজন। রাজধানী শের-এ-বাংলা নগরে জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠান (নিটোর) এর অর্থোপেডিক সার্জন অধ্যাপক ডা. শাহ আলম বলেন, হাড়ের যত্ন নিতে ক্যালসিয়ামের ভূমিকা অপরিহার্য। ভিটামিন ডি শরীরে ক্যালসিয়াম শোষণে সাহায্য করে।
তিনি আরও বলেন, হাড়ের স্বাস্থ্যের উন্নতিতেও বহু ভূমিকা পালন করে ভিটামিন ডি। শরীরে ভিটামিন ডি’র ঘাটতি তৈরি হলে হাড়ের ঘনত্ব কমে যাওয়ার এবং হাড় ক্ষয়ের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়। ভিটামিন ডি’ এর সর্বোত্তম উৎস হল সূর্যালোক।
এ ছাড়া ও দুগ্ধজাত দ্রব্য, ডিম, বিভিন্ন মৌসুমি ফল, মাছের মতো ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার অস্টিয়োপোরেসিসে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমায়। তিনি আরও বলেন, সেই সঙ্গে বিভিন্ন প্রকারের মাছ, ব্রকোলির মতো ক্যালশিয়াম সমৃদ্ধ খাবার হাড়ের ঘনত্ব তৈরী করতে সাহায্য করে। শরীরে ক্যালশিয়ামের মাত্রা হ্রাস পেলে তার সরাসরি প্রভাব পড়ে হাড়ে।ক্যালশিয়াম অস্টিয়োপোরেসিসের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
আপনার মতামত লিখুন :