শিরোনাম

প্রকাশিত : ০১ এপ্রিল, ২০২৪, ১২:০৬ দুপুর
আপডেট : ০১ এপ্রিল, ২০২৪, ১১:৩২ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ইফতারের পরপর-ই ধূমপানে গ্যাস্ট্রিক বেড়ে যেতে পারে: ডা. আব্দুল্লাহ

শাহীন খন্দকার: [১] প্রতিটি দেশি-বিদেশি সিগারেটের প্যাকেটের গায়ে লেখা থাকে, ধুমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। সেই সঙ্গে ধুমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। একুশে পদকপ্রাপ্ত মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত চিকিৎসক সাবেক ইমেরিটাস অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ বলেন, তবুও মানুষ ধুমপান করে!

[২] তিনি বলেন, সিগারেট ধুমপানে অ্যাসিটোন, টার, নিকোটিন, কার্বন-মনোক্সাইড এর মতো ক্ষতিকর পদার্থ থাকে। আমাদের ফুসফুস এবং শরীরের অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের ক্ষতি করে। যেকোনো  বয়সে যে কোন অবস্থাতেই ধুমপান শরীরের জন্য ক্ষতিকর।

[৩] ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ বলেন, প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে যেভাবেই হোক না কেন, ধুমপানের ক্ষতিকারক প্রভাব থাকে। তাই সর্বক্ষেত্রে ধুমপান বর্জনীয় ও ক্ষেত্র বিশেষে শাস্তিযোগ্য অপরাধ। তবে যারা ধুমপানে আসক্ত তাদের জন্য রোজার মাস উপযুক্ত সময় এই আসক্তি থেকে রেহাই পাওয়ার।

[৪] এছাড়া যারা ইফতারের পরপরই ধুমপান করেন, তাদের গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা বেড়ে যেতে পারে। কারণ ধুমপান পাকস্থলীর হাইড্রোক্লোরিক এসিডের ক্ষরণ বাড়িয়ে দেয়। ফলে গ্যাসট্রাইটিস বা পাকস্থলিতে  প্রদাহ তৈরি হয়। কারণ ধুমপান ফুসফুসের প্রদাহসহ নানাবিধ শারীরিক সমস্যার ঝুঁকি রয়েছে।

[৫] সারাদিন রোজা রেখে ইফতারের পরপরই ধুমপান পবিত্র মাহে রমজানের মুলনীতি বিরুদ্ধ ও শরীরের জন্যও ক্ষতিকর। ধুমপানের অভ্যাস স্ট্রোক ও হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকিও বাড়িয়ে দেয়। তাই রোজার মাসে সর্বোচ্চ চেষ্টা ধুমপান ত্যাগ করা। আরও বলেন, ধুমপায়িদের উচিত রোজার পবিত্রতা রক্ষায় ও শারীরিক সুস্থতার জন্য ধুমপান ত্যাগ করা।

[৬] প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ ও কাউন্সিলিং নিতে পারেন। ধুমপান শরীরের জন্য যেমন ক্ষতিকর তেমনি যাদের রাতের অনিদ্রাজনিত সমস্যা আছে, তাদের দিনের ঘুম এবং সন্ধ্যার পর চা-কফি ত্যাগেরও পরামর্শ দিয়েছেন দেশের এই প্রখ্যাত মেডিসিন বিশেষজ্ঞ।

[৭] তিনি বলেছেন, প্রতিটি জীবনে ঘুম খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ঠিকমতো ঘুম না হলে অনেক সমস্যা দেখা দেয়। সঠিকভাবে ঘুম না হওয়ায় ক্যানসার ও উচ্চরক্তচাপসহ নানা রোগের  দেখা দিতে পারে। অনেকে সন্ধ্যার পর চা-কফি না খেলে তাদের ঘুম হয় না। আবার অনেকের খেলে ঘুম হয় না। এ ধরনের বিপরীতমুখী আচরণ লক্ষ্য করা যায়।

[৮] অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ বলেন, কেউ কেউ ওষুধের মাধ্যমে ঘুমের চেষ্টা করেন। তবে স্বাভাবিক চেষ্টার মাধ্যমে সবার ঘুমের চেষ্টা করা উচিত। এ জন্য দিনে ঘুমানো যাবে না। সন্ধ্যার পর চা-কফি খাওয়া যাবে না।  

[৯] একজন মানুষের সুস্থ থাকার অন্যতম নিয়ামক ঘুম। একজন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের প্রতিদিন অত্যন্ত ৭-৮ ঘন্টা ঘুমানো প্রয়োজন। মেডিসিন বিশেষজ্ঞ আরও বলেন, দিনে ৬ ঘন্টার কম ঘুমালে তা স্বাস্থ্যহানির কারণ হতে পারে। তবে বয়স অনুযায়ী শরীরে ঘুমের চাহিদা বিভিন্ন হয়। শিশুদের ৯ থেকে ১৩ ঘণ্টা, নবজাতক বাচ্চাদের ১২-১৭ ঘণ্টা ঘুম প্রয়োজন।

[১০] ডা.আব্দুল্লাহ আরও বলেন, ঘুমানোর মাধ্যমে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়, টক্সিন নামক পদার্থ শরীর থেকে বের করে দিয়ে কর্মক্ষমতাও বাড়ে। সুতরাং পরবর্তী দিনের শক্তি ও দক্ষতার অনেকটাই নির্ভর করে ব্যক্তির পর্যাপ্ত ঘুমের ওপর। আর এসব থেকে এক মাত্র উপায় তরুণ থেকে বয়োজেষ্ঠ্যদের অবশ্যই ধুমপান ত্যাগ করতে হবে। সম্পাদনা: রাশিদ 

এসকে/আর/এইচএ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়