আবু হাসাদ, পুঠিয়া: [২] সোনালি আঁশের সুদিন ফিরে পেয়েছেন চাষীরা। সঠিক দামের পাশাপাশি বাজারে পাটের চাহিদাও বেড়েছে অনেক বেশি। আর সে লক্ষ্যে এবার রাজশাহীর পুঠিয়ায় গত বছরের তুলনায় রেকর্ড পরিমাণ জমিতে পাটবীজ বপন করা হচ্ছে। বিগত বছরগুলোতে পাটের দাম ভালো থাকায় স্থানীয় চাষীরা ব্যাপক উৎসাহ পেয়েছে পাট চাষের জন্য। আর গত দু’বছর থেকে পাটের চাহিদা ও দাম ভালো পাওয়ায় পাট চাষে ঝুঁকছেন অনেক চাষীরা। অনুকূল আবহাওয়া বিরাজ করলে এবার পাটের রেকর্ড পরিমাণ ফলন আশা করছেন তারা।
[৩] উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর উপজেলার ৬টি ইউপি এলাকায় প্রায় ৪ হাজার ৪৬০ হেক্টর জমিতে পাট বীজ বপন করা হচ্ছে। যা গত বছরের তুলনায় ৬১০ হেক্টর জমি বেশি। স্থানীয় কৃষকরা এবার ও-৯৮৯৭, জিআরও ৫২৪ জাতের পাটবীজ বেশি বপন করেছে। তাছাড়া ভারত থেকে আমদানিকৃত চাকা মার্কা জাতের পাটবীজও অনেকই বপন করেছে।
[৪] ভালুকগাছি এলাকার কৃষক আতাহার উদ্দিন বলেন, কৃষি উপকরণের পাশাপাশি দিনমজুরের খরচ অনেক বেড়ে গেছে। তার মধ্যে বীজ বপন থেকে পাট কেটে প্রক্রিয়াজাতকরণ পর্যন্ত ১ বিঘা জমিতে প্রায় ৮-১০ হাজার টাকার মতো খরচ হয়। তবে গত দুই বছর থেকে পাটের দাম ভালো পাওয়ায় আমরা অনেক খুশি। যার কারণে এবার অনেকেই পাট চাষে এগিয়ে আসছেন।
[৫] কান্দ্রা এলাকার পাটচাষী সুবাহান আলী বলেন, আমাদের এলাকায় বর্তমানে জমিতে পাট বপন করা শেষ হয়েছে। চলছে পাঠের সঠিক পরিচর্যা আশা করা যায় গতবারের মতোই ভালো ফলন ও দাম পাবো আমরা। গত বছর পাটের বাজার ভালো পাওয়ার কারণে এলাকায় পাট চাষির সংখ্যাও বৃদ্ধি পেয়েছে।
[৬] মাহাবুবুর নামে একজন পাটব্যবসায়ী বলেন, গতবছর পাটের বাজার শুরুতেই ছিল ৪০০০ টাকা আর শেষের দিকে ৭০০০ টাকা মন হিসেবে বিক্রি হয়েছে পাট। ভালো মানের পাটের দাম সব সময় একটু বেশি থাকে। আশা করা যায় গত বছরের তুলনায় এবারও পাটের ভালো দাম যাবে এমনটি আশাবাদী আমরা।
[৭] এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শামসুনাহার ভূইয়া বলেন, বিগত বছরের চেয়ে এবার এ ১৬০ হেক্টর জমিতে বেশি পাটের বীজ বপন করা হয়েছে। আর সেই সঙ্গে আমাদের মাঠ পর্যায়ে কৃষি কর্মকর্তারা বিভিন্নভাবে কৃষকদের সঠিক পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে পাট চাষের জন্য। অনুকূল আবহাওয়া বিরাজ করলে এবং সঠিত পরিচর্যা করতে পারলে এবার পাটের বাম্পার ফলন হবে। সম্পাদনা: হ্যাপি