শিরোনাম
◈ সরকার পুঁজিবাজার সংস্কারে আনবে বিদেশি বিশেষজ্ঞ , পাঁচ নির্দেশনা ◈ নতুন সংবিধান প্রণয়ন সময়সাপেক্ষ ব্যাপার: আসিফ নজরুল ◈ নিষিদ্ধ সংগঠনের কোনো কার্যক্রম ঢাকা রেঞ্জে চলবে না: ডিআইজি রেজাউল ◈ সাময়িকভাবে সরকারি মালিকানায় নেওয়া যাবে যেকোনো ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান, অধ্যাদেশ জারি ◈ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণে দ্রুত সমন্বিত পদক্ষেপের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার ◈ আ. লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানায় বিএনপি: সালাহউদ্দিন আহমেদ (ভিডিও) ◈ তাপপ্রবাহ চলছে দেশজুড়ে, স্বস্তির খবর দিল আবহাওয়া অফিস ◈ রাজনৈতিক দলের বিচারে ট্রাইব্যুনাল আইনের সংশোধন, গেজেট প্রকাশ ◈ বাংলাদেশের কাছে লিখিত প্রস্তাব চায় যুক্তরাষ্ট্র, তারপর আলোচনা শুরু ◈ আ. লীগের কার্যক্রম বন্ধ হচ্ছে অনলাইনেও, পেজ বন্ধে চিঠি দেবে বিটিআরসি

প্রকাশিত : ২২ নভেম্বর, ২০২৩, ০১:৫৮ দুপুর
আপডেট : ২২ নভেম্বর, ২০২৩, ০৭:২৩ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

পৃথিবীতে পানি ছিল না, মহাকাশ থেকে শুষে নিয়ে এত নদী নালা সাগর

ইমরুল শাহেদ: [২] জন্মলগ্নে পৃথিবীতে কি পানি ছিল? বিজ্ঞানীদের উত্তর, না। পৃথিবী তৈরির ধাপে ধাপে পানিও এসে যায় আশ্চর্যজনকভাবে। মহাজাগতিক পাথর, শিলাখণ্ড আর পানি নিয়ে তৈরি হয় বাসযোগ্য এই গ্রহ। পৃথিবীর তৈরির পরে ভরে যায় এর নদী-নালা-হ্রদ। পানিতে টইটম্বুর হয়ে ওঠে সাগর-মহাসাগর। সূত্র: দি ওয়াল

[৩] ‘নেচার’ সায়েন্স জার্নালে গবেষণার খবর ছেপেছেন ব্রিটেন, যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য দেশের বিজ্ঞানীরা। গবেষকরা বলছেন, পৃথিবী যখন তৈরি হচ্ছে তখন তা ছিল পাথুরে গ্রহ। ভেতরে গরম লাভা বা ম্যাগমার স্রোত বইছে। উথাল পাথাল হচ্ছে ভূস্তর। পৃথিবীর কিন্তু নিজস্ব পানির ভাণ্ডার ছিল না। বিজ্ঞানীরা গবেষণা করে দেখেছেন, পৃথিবীর পানির উৎসই হল মহাকাশ। 

[৪] সুদূর অতীতে মঙ্গল ও শুক্র গ্রহতেও পানি ছিল বলে দাবি বিজ্ঞানীদের। দুই গ্রহেই মৃত নদীর ফসিল, পাথরে পানির চিহ্ন মিলেছে যা প্রমাণ করে একসময় পৃথিবীর কাছাকাছি ওই দুই গ্রহতেও পানির অস্তিত্ব ছিল। কিন্তু সে পানিও বা এল কোথা থেকে?

[৫] বিজ্ঞানীরা বলছেন,  আজ থেকে ৪৪০ কোটি বছর আগেই পানিহে ভরে গিয়েছিল পৃথিবী। যতটুকু তথ্যপ্রমাণ বিজ্ঞানীরা পেয়েছেন, তাতে অনুমান পৃথিবীতে পানির ধারা এনেছিল কোনও ভিনদেশি উল্কাপিণ্ড। জন্মলগ্নে সব গ্রহই তেড়েপুড়ে যাচ্ছিল। সেই সময় যেসব উল্কাপিণ্ড, মহাজাগতিক বস্তুরা আছড়ে পড়েছিল পৃথিবীতে, তাদের ভেতরে পানির সবটাই প্রচণ্ড উত্তাপে বাষ্পীভূত হয়ে গিয়েছিল। এই বাষ্প জমতে জমতে পেল্লায় মেঘ তৈরি করেছিল পৃথিবীর আকাশে।

[৬] কোটি কোটি বছর পর পৃথিবী ঠান্ডা হলে তখন সেইসব বিশাল মেঘ ঘণীভূত হয়ে বৃষ্টির আকারে নেমে আসে পৃথিবীর মাটিতে। পৃথিবীপৃষ্ঠের বড় বড় গর্ত, গিরিখাতগুলো তখন জলে টইটম্বুর হতে শুরু করে। জন্ম হয় নদী-নালা, সাগর-মহাসাগরের। 

[৭] বিজ্ঞানীদের দাবি, ওইসব উল্কাপিণ্ড হল সুপ্রাচীন মহাজাগতিক বস্তু। এদের বলা হয় কার্বনেশিয়াস মেটিওরাইট’। এদের জন্ম হয়ছিল সোলার-ক্লাউড বা সৌর মেঘ থেকে। ওই কার্বনে গড়া উল্কাগুলোই পানি এনেছিল পৃথিবীতে। 

আইএস/এইচএ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়