এম এম লিংকন, জেরিন আহমেদ: রাজধানী ঢাকায় এলাকাভেদে গড়ে দেড় থেকে ২ ঘণ্টা লোডশেডিং হচ্ছে। আবার কোনো কোনো এলাকায় সময় লাগছে আরও বেশি। ঢাকায় শুক্রবার ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা থাকলেও তা হিউমিডিটির কারণে ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস অনুভূত হচ্ছে। এতে করে শিশুসহ বয়স্করা এবং অন্যরাও স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়ছেন। এই বিষয়ে ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (ডিপিডিসি) আমাদেরসময় ডটকমকে বলেছে, এই গরমে বিদ্যুতের চাহিদার তুলনায় সরবরাহ সামান্য কম। তবে, অল্প সময়ের মধ্যে এই লোডশেডিং দূর হবে বলে দাবি করছেন ডিপিডিসি।
গরমের মধ্যে ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে দেশের সবচেয়ে বড় বিদ্যুৎকেন্দ্র পায়রা তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। পায়রায় ১৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের দুটি ইউনিটের একটি ২৫ মে বন্ধ করা হয়। ৬৬০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন বাকি আরেকটি ইউনিট বন্ধ হতে যাচ্ছে দুই একদিনের মধ্যে। কয়লা না থাকায় সাময়িকভাবে বন্ধ হবে দেশের বৃহত্তম এ বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রটি।
রাজধানীর আগারগাঁও এলাকার বাসিন্দা জুয়েল রানা বলেন, এলাকায় দুইবারে কমপক্ষে প্রতিনিয়ত ২ ঘন্টার মত লোডশেডিং হচ্ছে। এতো গরমের মধ্যে বিদ্যুৎ না থাকায় বাচ্চারা স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়ছে।
মিরপুর এলাকার বাসিন্দা খাদিজা আক্তার আমাদেরসময় ডটকমকে বলেন, এই এলাকায় ২৪ ঘন্টায় সর্ব্বোচ ১ ঘন্টার মত লোডশেডিং হয়। তবে, বিদ্যুৎ না থাকলে বয়স্ক বাবা-মার স্বাস্থ্য নিয়ে ঝুঁকিতে থাকি।
আবার রাজধানীর শ্যামলী এলাকার বাসিন্দা মামুন বলেন, এই এলাকায় কয়েকদিন ধরে দিনরাতে প্রায় ৫ থেকে ৬ ঘন্টা লোডশেডিং হচ্ছে। তাপমাত্রাও প্রায় ৪০ ডিগ্রি সেলয়িাসের কাছাকাছি থাকছে। এই তাপদহের মধ্যে বিদ্যুৎ সরবরাহ না থাকার ফলে শিশুদের রোগের হার বাড়ছে। রাতে লোডশেডিংয়ের ফলে শিক্ষার্থীদের পড়াশুনা ও চাকরিজীবি মানুষের সকালে অফিসে যেতে কষ্ট হয়।
এছাড়া রাজধানীর খিলগাঁও, পুরান ঢাকা উত্তরা,ভাটারা,বাড্ডা এলাকার বাসিন্দারা জানান, রাত ১১ টার পর লোডশেডিং অনেক কষ্টকর হয়। সময়মতো ঘুমানো যায় না। এতে করে অফিস বা স্বাভাবিক কার্যক্রম কিছুটা বিঘ্ন ঘটে।
ঘন ঘন লোডশেডিং কখন বন্ধ হবে জানতে চাইলে ডিপিডিসির ব্যবস্থাপনা সম্পাদক বিকাশ দেওয়ান বলেন, উৎপাদন তথা জেনারেশনের স্বল্পতার কারণে লোডশেডিং হচ্ছে। জেনারেশন স্বল্পতা দূর করার কার্যক্রম আমাদের প্রতিনিয়ত চলছে। আশা করছি অল্প সময়ের মধ্যেই এ সমস্যা দূর হবে।
পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ, এ অবস্থায় বিদ্যুতের চাহিদা কিভাবে মিটবে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রামপাল, ইন্ডিয়ান গ্রিড, গ্যাস চালিত বিদ্যুৎকেন্দ্রসহ অনেক কেন্দ্রই চালু আছে। এগুলো দিয়েই সারাদেশে প্রায় নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ দেওয়া সম্ভব। সম্পাদনা: শামসুল হক বসুনিয়া
এমএমএল/জেএ/এসএইচবি/এনএইচ