শিরোনাম

প্রকাশিত : ০৫ জুন, ২০২৪, ০৬:২৭ বিকাল
আপডেট : ০৫ জুন, ২০২৪, ০৬:২৭ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির আরও উন্নতি

আশরাফ চৌধুরী রাজু, সিলেট: [২] সিলেটে ধীরে ধীরে নামছে বন্যার পানি। বুধবার আরও উন্নতি হয়েছে বন্যা পরিস্থিতির। মহানগর ও জেলা মিলিয়ে বর্তমানে সাড়ে ৬ লাখ মানুষ পানিবন্দী রয়েছেন। মঙ্গলবার (৪ জুন) পর্যন্ত ছিলেন প্রায় সাড়ে ৭ লাখ। 

[৩] এর আগে গত সিলেটে ২৭ মে দেখা দেয় বন্যা। ওই দিন জেলার ৫টি উপজেলায় বন্যা কবলিত হয়। বর্তমানে ১০টি উপজেলায় রয়েছে বন্যার পানি। তবে উন্নতি হচ্ছে পরিস্থিতির। 

[৪] সিলেটে ভারী বৃষ্টি ও উজানের ঢলে ২৭ মে থেকে জেলার কোম্পানীগঞ্জ, জৈন্তাপুর, কানাইঘাট, গোয়াইনঘাট ও জকিগঞ্জ উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। পরবর্তীতে আরও কয়েকটি উপজেলায় দেখা দেয় বন্যা। শুক্র ও শনিবার বৃষ্টি এবং উজানের ঢল থামায় পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছিলো। তবে রোববার থেকে ফের   সিলেটে ভারী বৃষ্টি শুরু হওয়ায় বেড়ে যায় নদ-নদীর পানি। 

[৫] মঙ্গলবার (৪ জুন) পর্যন্ত জেলার ১৩টির মধ্যে ৩টি (ওসমানীনগর, ফেঞ্চুগঞ্জ ও বালাগঞ্জ) ছাড়া বাকি সব উপজেলায় বন্যা দেখা দিয়েছে। এদিন জেলা ও মহানগরে ৭ লাখ ৩৯ হাজার ৩৬২ জন পানিবন্দী ছিলেন। বুধবার জেলা প্রশাসনের দেওয়া সর্বশেষ তথ্যমতে- বর্তমানে জেলা ও মহানগর মিলিয়ে ৬৩টি ইউনিয়ন এবং ১৩ ওয়ার্ডের ৮৪২টি গ্রাম/পাড়ার ৬ লাখ ৫৮ হাজার ৬৬২ জন পানিবন্দী।  

[৬] জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, বন্যা কবলিত উপজেলাগুলোতে মোট ৫৭১টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এসব কেন্দ্রে বর্তমানে ৪ হাজার ৫ শ ৫ জন অবস্থান করছেন।  

[৭] জেলা প্রশাসন সূত্র আরও জানিয়েছে, বর্তমানে সিলেট মহানগরের ১৩ ওয়ার্ডে বন্যার পানি রয়েছে। শুরুতে অন্তত ৩০টি ওয়ার্ড পানিবন্দী ছিলো। গত দুদিন থেকে ধীরে ধীরে নামছে পানি। মহানগরে ২০টি আশ্রয়কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। বুধবার এসব কেন্দ্রে ৪ হাজার মানুষ আশ্রয়ে আছেন। 

[৮] সিলেট জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান জানান, গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাতে সিলেটে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে গোলাপগঞ্জ, বিয়ানীবাজার ও বিশ্বনাথ উপজেলার বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা বিস্তৃতি ঘটেছে। তবে সিলেট সিটি কর্পোরেশন এলাকাসহ জেলার অন্যান্য উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে।

[৯] তিনি আরও জানান, বন্যার সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য জেলা প্রশাসকের কার্যালয় এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়গুলোতে কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হয়েছে। প্রতিটি উপজেলায় ডেডিকেটেড অফিসার নিয়োগের পাশাপাশি প্রতিটি ইউনিয়নে ট্যাগ অফিসার নিয়োগ করা হয়েছে। এছাড়া বন্যার্তদের স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের জন্য ইউনিয়ন ভিত্তিক মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। সরকারি/বেসরকারিভাবে অব্যাহত রয়েছে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম।

[১০] এদিকে, বুধবার বেলা ১২টায় সিলেটের সুরমা নদীর পানি প্রবাহের তথ্য হচ্ছে, কানাইঘাট উপজেলায় সুরমা নদীর পানি বিপদসীমার ৫১ সে.মি., জকিগঞ্জ উপজেলায় কুশিয়ারা নদীর পানি বিপদসীমার ১৮ সে.মি. ও ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলায় বিপদসীমার ৪৩ সে.মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে মঙ্গলবার থেকে কমছে পানির পরিমাণ।

[১১] অন্যদিকে, সিলেট মহানগর এলাকায় সুরমা নদীর পানি বিপদসীমার ৬ সে.মি. নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অন্যান্য নদীগুলোর পানিও বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আগামী কয়েকদিন ভারী বর্ষণ না হলে সুরমা নদীর পানি আরও কমে যাবে।

প্রতিনিধি/একে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়