মনিরুল ইসলাম: [২] বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভের সেমিনার হলে মঙ্গলবার ৫ ডিসেম্বর সকাল ১০টায় বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে শরৎ সাহিত্য : মানবিক সম্পর্কের প্রেক্ষাপট শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
[৩] উক্ত সেমিনারে গবেষনা পত্র উপস্থাপন করেন নির্বাচিত গবেষক শাহীনূর আক্তার শাহীন। আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চলচ্চিত্র প্রযোজক ও পরিচালক আবদুস সামাদ খোকন। উক্ত গবেষনার তত্ত্বাবধায়ক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গীত বিভাগের অধ্যাপক ড. মহসিনা আক্তার খানম লীনা তাপসী। সেমিনার অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করে বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভের মহাপরিচালক মো. জসীম উদ্দিন। আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভের প্রকল্প পরিচালক ড. মোঃ মোফাকখারুল ইকবাল সহ চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ঠ বিভিন্ন ব্যক্তিগণ। সেমিনার অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভের পরিচালক ফারহানা রহমান।
[৪] সেমিনারে বক্তরা বলেন, আমাদের বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে শরৎ সাহিত্যের প্রভাব রয়েছে। শরৎচন্দ্রের অমরসৃষ্টি দেবদাস, রাজলক্ষ্মী - শ্রীকান্ত সেলুলয়েডে সুন্দর ভাবে ফুটে উঠেছে। এ গল্প যুগে যুগে নতুন করে চিত্রায়িত হয়েছে। এর আবেদন শেষ হবার নয়। শরৎ সাহিত্য যেভাবে চলচ্চিত্রে এসেছে তা অনেকেই ছাড়িয়ে গেছে। সাহিত্য নির্ভর চলচ্চিত্রে শরৎ সাহিত্য অমর হয়ে আছে। যা থাকবে অনন্তকাল।
[৫] ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের অধ্যাপক মহসিনা আক্তার খানম লীনা তাপসী বলেন, শরৎ চন্দ্রের সাহিত্য নিয়ে বেশ কিছু চলচ্চিত্র নির্মাণ হয়েছে আমাদের দেশে। তাঁর সাহিত্য নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণ হলেও গবেষণা খুব একটা হয়নি। বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভে বিশেষজ্ঞ কমিটি কর্তৃক নির্বাচিত গবেষককে এই গবেষণার তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে আমি যতটুকু সহযোগিতা করলে একটি ভালো গবেষণা কর্ম হবে তা আমি করার চেষ্টা করব।