শিমুল চৌধুরী ধ্রুব: [২] কয়েকদিন আগে এক সাক্ষাৎকারে চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস জানিয়েছিলেন, সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে দ্বিতীয় বিয়ে করবেন না তিনি। এবার সরাসরিই জানালেন, দ্বিতীয় বিয়ে নিয়ে কোনো ভাবনা-চিন্তা নেই তার। সূত্র: আন্দবাজার
[৩] সম্প্রতি গণমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অপু বলেন, ‘আমি চাই না, আমার সন্তান কোনো ভাঙা পরিবারে বেড়ে উঠুক। আমি আমার সন্তানকে নিয়ে ভীষণ সচেতন। যেকোনো সন্তানের কাছে পরিবার খুব গুরুত্বপূর্ণ। বাবা-মা হিসেবে সন্তানকে সুনিশ্চিত একটা জীবন দেওয়া আমাদের কর্তব্য। আমার মনে হয়, পরিবারের অশান্তিগুলো আমাদের মাঝেই থাকা উচিত; সন্তানকে যেন সেই অশান্তি না স্পর্শ করে। জয় এই জিনিসটা কখনো বুঝতেই পারে না। কারণ আমি, আমার শ্বশুর-শাশুড়ি, শাকিব সকলেই ভীষণ সচেতন। বাবা-মা কাজ করেন, ব্যস্ত বলে দূরত্ব রয়েছে- আমার ছেলের কাছে বিষয়টি এমন। কিন্তু ‘ব্রোকেন’ শব্দটার সঙ্গে ও পরিচিত নয়।
[৪] এক্ষেত্রে আপনার তাগিদই বেশি কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে অপু বলেন, ‘না, শুধু আমি নই। জয়ের বাবাও চান না। এদিক থেকে জয় খুব ভাগ্যবান। কারণ শাকিবের মতো বাবা পেয়েছে। আমার একার ইচ্ছায় তো কোনো কিছু সম্ভব নয়। ওর বাবা নিজের সন্তানের প্রতি খুব স্বচ্ছ। তাই আমার ছেলের কখনো ‘ব্রোকেন ফ্যামিলি’ মনে হয় না।
[৫] দ্বিতীয় বিয়ের প্রসঙ্গে নায়িকা বলেন, না কখনও ভাবিনি। দ্বিতীয় বিয়ের দরকারটা কী? বাংলাদেশে আমার এমন একটা জায়গা রয়েছে, যেখানে সকলে ভাবেন অপু যা-ই করবেন তার মধ্যে একটা বার্তা থাকবে। সেই দিক থেকে দর্শকের কাছে খুবই কৃতজ্ঞ। একটা মেয়ে, যার সন্তান আছে সে কেন দ্বিতীয় বিয়ে করবে? দ্বিতীয় বিয়েতে সে হয়তো স্বামী পাবে, সামাজিক পরিচিতি পাবে। কিন্তু সন্তান একজন সৎবাবা পাবে। সন্তানের প্রতি ওই বাবা সমান ভালোবাসা দেবেন না। তাই আমি মনে করি, দ্বিতীয় বিয়ে করবই না! তা হলে সন্তান তার নিজের বাবাকেই পাবে, অন্য কাউকে বাবা বলতে হবে না। তাই যেকোনো একজনকে আত্মত্যাগ করতেই হয়, তাতে ভুল কিছু নেই। মা হিসেবে আত্মত্যাগ করাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
[৬] এরপর সাকিব খানের দ্বিতীয় বিয়ের প্রসঙ্গে রহস্যের হাসি হেসে অপু বললেন, এ বিষয়ে কোনো ব্যাখ্যা দেব না। তাহলে কী সন্তানের জন্য আত্মত্যাগটা আপনি করছেন? জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি একা কেন করব? যা-ই করেছি নিজের ইচ্ছায় করেছি, সব কিছুই যে উত্তর দিয়ে জানিয়ে দিতে হবে তেমনটা নয়। কিছু জিনিসের উত্তর সময় দেয়। সম্পাদনা: এল আর বাদল