নির্মাতা জেমস ক্যামেরন প্রযুক্তির দুনিয়ায় নতুন দুয়ার খুলে দিয়েছেন। বিশেষ করে পারফরম্যান্স ক্যাপচার প্রযুক্তির জাদুতে অ্যাভাটার সিরিজের সিনেমার নীলাভ বিভিন্ন চরিত্র যেন কল্পনার আঁচড়ে জীবন্ত হয়ে উঠেছে আমাদের কাছে।
অনেকের ধারণা, জেমস ক্যামেরনের ‘অ্যাভাটার: ফায়ার অ্যান্ড অ্যাশ’ সিনেমায়ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) ব্যবহার হয়েছে।
তবে মুক্তির আগে জেমস ক্যামেরন সাফ জানিয়ে দিলেন, অ্যাভাটার সিনেমার কোনো পর্বেই শিল্পীদের বিকল্প হিসেবে এআই ব্যবহার করা হয়নি। শিল্পীদের প্রতি পূর্ণ আস্থা ও শ্রদ্ধা থেকেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
তবে এত উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারের পরও জেনারেটিভ এআইয়ের পক্ষে নন বলে জানিয়ে দিলেন হলিউডে একের পর এক ‘ব্লকবাস্টার হিট’ সিনেমা উপহার দেওয়া এই নির্মাতা।
কমিকবুক ডট কমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জেমস ক্যামেরন বলেন, ‘আমি জেনারেটিভ এআইয়ের বিপক্ষে নই। আমি শুধু এই বিষয়টি পরিষ্কার করতে চাই, অ্যাভাটার সিনেমায় এই প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়নি। আমরা অভিনেতাদের সম্মান করি, তাদের প্রতিস্থাপন করি না।’
তিনি আরও বলেন, ‘কয়েক বছর ধরে মানুষের মনে ধারণা ছিল, কম্পিউটার দিয়ে আমরা অদ্ভুত কিছু করছি, যেখানে অভিনেতাদের প্রয়োজন ফুরিয়ে যাচ্ছে। পারফরম্যান্স ক্যাপচার প্রযুক্তি অভিনেতাদের বদলে দিচ্ছে না, বরং অভিনেতার দক্ষতা ও পরিচালকের ভাবনাকে একত্র করে নতুন এক শিল্প তৈরি করছে। এই প্রযুক্তির একদম উল্টো দিকে রয়েছে এআই। যেখানে ঠিকঠাক লিখে নির্দেশনা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে একটি চরিত্র, অভিনেতা বা সম্পূর্ণ দৃশ্যটি বানিয়ে দিতে পারে এআই। এটা আমার কাছে ভয়ংকর মনে হয়। তাই আমরা এমন কাজ করছি না।’
১৯ ডিসেম্বর বিশ্বব্যাপী মুক্তি পাবে অ্যাভাটার সিরিজের তৃতীয় পর্ব ‘অ্যাভাটার: ফায়ার অ্যান্ড অ্যাশ’। এবারের গল্পে আগুন এসেছে ভয়াবহতার রূপ নিয়ে। আগ্নেয়গিরির আশপাশে অ্যাশ পিপলদের বসবাস। আগুনকে নিয়ন্ত্রণ করতে জানে তারা। এই হিংস্র জাতির বিরুদ্ধে লড়াই চলে জ্যাক সুলি-নেতিরিদের। ২০০৯ সালে মুক্তি পেয়েছিল অ্যাভাটারের প্রথম কিস্তি। ২০২২ সালে আসে দ্বিতীয় কিস্তি ‘অ্যাভাটার: দ্য ওয়ে অব ওয়াটার’।
সূত্র: ইত্তেফাক