বিষয়টা একটু খোলসা করে বলা যাক। সালটা ২০০০। বক্স অফিসে মুক্তি পেয়েছিল সুপারহিট ছবি হামারা দিল আপকে পাস হে। অভিনয়ে ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন, অনিল কাপুর ও সোনালি বেন্দ্রে। তখন ঐশ্বরিয়া বলিউডে তেমন সাফল্য পাননি। তবে সুভাষ ঘাইয়ের তাল ছবিতে তার দারুণ অভিনয় প্রশংসা কুড়িয়ে ছিল। সেই তাল ছবিতে অভিনয় করেছিলেন অনিলও।
ব্যাপারটা যে এমন ঘটবে তা আগে থেকে আন্দাজও করতে পারেননি অনিল কাপুর। ভেবেছিলেন নতুন নায়িকা, হয়তো অভিনয়ের জন্য সব কিছুই মেনে নেবে। কিন্তু তেমনটা ঘটেনি। বরং শুটিং ফ্লোরেই মাঝেই সেই নতুন নায়িকা, এমন এক কাণ্ড করলেন, যা কিনা অনিল কাপুর আজও ভুলতে পারেননি। খবর ভারতীয় গণমাধ্যমের।
ঠিক সেই সময়ই পরিচালক সতীশ কৌশিক তার নতুন ছবি হামারা দিল আপকে পাশ হে-র জন্য খুঁজছিলেন নতুন নায়িকা। সেই সময়ই ঐশ্বরিয়ার কথা সতীশকে বলেন অনিল। সতীশ প্রথমে নাকি ঐশ্বরিয়াকে নিতে রাজি ছিলেন না। পরে অনিলের কথায়, ছবিটি সই করান।
সেই সময় বিনোদনমূলক ম্যাগাজিনে প্রকাশিত এক খবরে বলিপাড়ায় ঝড় ওঠে। জানা যায়, অনিলের সঙ্গে এক শয্যা দৃশ্যে অভিনয় করতে গিয়ে নাকি অস্বস্তিতে পড়েছিলেন ঐশ্বরিয়া। ক্যামেরার সামনেই চিৎকার করে উঠেছিলেন তিনি।
কী ঘটেছিল?
ক্যামেরা চলছে। বিছানায় শুয়ে রয়েছেন ঐশ্বরিয়া ও অনিল কাপুর। পরিচালক অ্যাকশন বলতেই ঐশ্বরিয়াকে কাছে টানলেন অনিল! তারপর তাকে চুম্বন খেতে গেলেই, হঠাৎ চিৎকার করে উঠলেন ঐশ্বরিয়া। সঙ্গে সঙ্গে বন্ধ হল শুটিং। বিছানা থেকে উঠে গট গট করে মেকআপ রুমে ঢুকে পড়লেন ঐশ্বরিয়া। গোটা কাণ্ডে অনিল তো পুরো হতভম্ব।
পরে জানা যায়, এমন শয্যার দৃশ্যে অভিনয় করতে একটু অস্বস্তিতেই পড়েছিলেন ঐশ্বরিয়া। আর সেই চিৎকার ছিল অস্বস্তির জন্যই। পরে ঐশ্বরিয়ার অনুরোধে এই দৃশ্য বাদ দেন সতীশ-কৌশিক।