শিমুল চৌধুরী ধ্রুব: [২] বাংলা ও হিন্দি ছাড়াও তেলেগু, কন্নড়, তামিল, গুজরাটি, মারাঠি, পাঞ্জাবি, ভোজপুরি ও উর্দুসহ বিভিন্ন ভাষায় গান গেয়ে দর্শকহৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছেন ভারতীয় সংগীতশিল্পী পলক মুচ্ছাল। বিভিন্ন প্রোগ্রামে তার উপস্থিতির কথা ছড়িয়ে পড়তেই ভিড় বাড়ে দর্শক-শ্রোতাদের। আর কনসার্ট থেকে প্রাপ্ত পারিশ্রমিকের অর্থ কোথায় খরচ করেন, এ প্রশ্ন করলে সবাই হয়তো বলবেন ব্যক্তি কিংবা পারিবারিক খাতে খরচ করেন। কিন্তু অবাক করার বিষয় হচ্ছে, সমাজসেবামূলক কাজে সেই অর্থ ব্যয় করেন এ গায়িকা। সূত্র: ইন্ডিয়া টুডে
[৩] ‘সেভিং লিটল হার্টস’ নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা রয়েছে গায়িকা পলক মুচ্ছালের। বিভিন্ন অনুষ্ঠান থেকে প্রাপ্ত অর্থ সেই সংস্থায় দেন তিনি। সংস্থা থেকে হৃদরোগে আক্রান্ত শিশুদের অস্ত্রোপচারের ব্যবস্থা করা হয়।
[৪] জানা গেছে, মঙ্গলবার (১১ জুন) জীবনের বিশেষ একটি দিন ছিল গায়িকা পলকের। বিশেষ দিনটিতে ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডেলে আট বছর বয়সী অলক সাহুকে নিয়ে একটি পোস্ট দেন তিনি। জানান, শিশুটি হৃদরোগে আক্রান্ত। তার সফল অস্ত্রোপচার করা হয়। আর অস্ত্রোপচারের সময় বরাবরের মতো অপারেশন থিয়েটারে হাজির ছিলেন পলক মুচ্ছাল। সূত্র: হিন্দুস্থান টাইমস
[৫] এ গায়িকা জানান, শিশু অলকের হৃদরোগের অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে একটি মাইলফলক অর্জন হলো। এ নিয়ে হৃদরোগে আক্রান্ত মোট তিন হাজার শিশুর অস্ত্রোপচারের ব্যবস্থা করেছেন তিনি। পলক মুচ্ছাল বলেন, মিশনটি যখন শুরু করি ওই সময় উদ্যোগটা খুবই ছোট ছিল। তবে এখন সেটি আমার জীবনের বড় মিশন হয়ে গেছে। এখন অস্ত্রোপচারের জন্য ৪১৩ জন শিশু অপেক্ষায় আছেন। যাদের পরিবার চিকিৎসার খরচ বহন করতে পারে না, তাদের জন্যই আমার এই উদ্যোগ। আমি এটাকে আমার দায়িত্ব বলে মনে করি। সত্যিই আমি খুশি যে, ঈশ্বর এ কাজের জন্য মাধ্যম হিসেবে আমাকে বেছে নিয়েছেন।
[৬] একাধিক ভাষায় গান করা এ গায়িকা জানান, বিভিন্ন কনসার্টে পারফর্ম করে যে অর্থ পান, তা নিজের জন্য খরচ করেন না তিনি। প্রাপ্ত অর্থের প্রায় পুরোটাই এসব শিশুদের চিকিৎসায় ব্যয় করা হয়। পলক বলেন, আমার প্রতিটি কনসার্ট হৃদরোগ আক্রান্ত শিশুদের অস্ত্রোপচারের জন্য। আমার কাছে যখন প্লে-ব্যাকের কোনো কাজ ছিল না, ওই সময়ও আমি তিন ঘণ্টা গান করেছি। যা শুধুই এসব শিশুদের অর্থ সংগ্রহের জন্য। আমার গানগুলো যত জনপ্রিয় হতে থাকে, ততটাই পারিশ্রমিক বাড়তে থাকে। এখন প্রতিটি কনসার্ট থেকে যে অর্থ আসে, তা দিয়ে ১৩-১৪টি শিশুর অস্ত্রোপচার সম্ভব। আর এই গানকে আমি সমাজের পরিবর্তনের মাধ্যম হিসেবে দেখে আসছি সবসময়।
এসসিডি/এনএইচ