শিমুল চৌধুরী ধ্রুব: [২] অভিনেত্রী আর রাজনীতিক রচনার মধ্যে অনেক পার্থক্য রয়েছে। তবে গত কয়েক মাসে জীবন ধারা একেবারেই বদলে গেছে পশ্চিমবঙ্গের অভিনেত্রী রচনা ব্যানার্জির। ভারতে চলমান লোকসভা ভোটে ক্ষমতাসীন দল তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছেন ‘দিদি নম্বর ওয়ান’ তারকা। সূত্র: আনন্দবাজার
[৩] রাজনীতিতে নেমে শুটিংয়ের সেট আর ভোটের মাঠ এক নয়, তা হারে হারে টের পাচ্ছেন রচনা। নির্বাচনে নেমে নিজের রুটিন পুরো বদলে ফেলেছেন হুগলির এই তৃণমূল প্রার্থী।
[৪] সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে রচনা বলেন, ‘এমনিতে তো একেবারেই ভাত খাই না। এখন প্রচারের জন্য এত জায়গায় ঘুরতে হচ্ছে, কত জনের সঙ্গে দেখা করছি, এর মধ্যে ভাত না খেয়ে উপায় নেই। প্রায় রোজ দুপুরে ভাত খেয়েছি এই কয়েক মাস। কিন্তু ভোট মিটে গেলে অন্তত এক বছর ভাত খাব না। আবার রুটিনে ফিরতে হবে।’ সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন
[৫] তিনি বলেন, ‘খাওয়াদাওয়া তো দূরের কথা! নিজের ছেলের সঙ্গেই দেখা হয়নি ভালো করে। খুব কম সময় দিতে পেরেছি ওকে। এর মধ্যে প্রায় দেখাই হয়নি ওর সঙ্গে। অর্ধেক দিন কাজের সূত্রে অন্য জায়গায় থেকেছি। বাড়ি ফিরলেও দেরি হয়েছে। ততক্ষণে ও ঘুমিয়ে পড়েছে। ফলে মা-ছেলে যে কত দিন একে অপরকে ভালো করে দেখি না!’
[৬] এদিকে রাজনীতিক রচনাকে নিয়ে নানা প্রকার চর্চা হয়েছে গত কয়েক মাসে। তার কথা, তার সাজ, চলাফেরা সব নিয়েই হয়েছে বিশ্লেষণ। ব্যক্তি রচনা এ সবের মধ্যে চাপা পড়ে গেছেন কি?
[৭] এ প্রসঙ্গে রচনা জানান, ‘ভোটের কাজ শেষ হলে নতুন করে রচনাকে ফিরে পাবেন। যদিও রচনা ভোটের সময়েও পাশে পেয়েছেন বন্ধুদের। বলেন, আমার প্রচারে এসেছে বন্ধুরা। যে যেমন সময় পেয়েছে, তেমন করে পাশে থেকেছে। এর চেয়ে বেশি ওদের আমি খাটাতে চাই না।’
[৮] সাজগোজেও বদল এনেছেন রচনা। সাধারণ সময়ে যেমন পোশাকে তাকে দেখাই যায় না, তা-ই হয়ে ওঠে এ কয়েক মাসের সঙ্গী। বলেন, শাড়ি তো এমনিতে তত পরা হয় না। গরমে কষ্টই হয়। কিন্তু মানুষ আমাকে যেভাবে দেখতে চায়, আমি সে ভাবেই সেজেছি। তাতে আমার যতই কষ্ট হোক না কেন!
এসবি২
আপনার মতামত লিখুন :