এম এম লিংকন: ইউরোপিয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি দল অবশ্যই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে পারবে বলে মতামিত দিয়েছেন নির্বাচন কমিশন। এদিকে ২১০ টি দেশি পর্যবেক্ষক সংস্থা নিবন্ধন পেতে আবেদন করেছে ইসিতে। ইসি বলছে যদিও এ সব সংস্থার বেশিরভাগই এনজিও। যারা নির্বাচন সংশ্লিষ্ট্য কোন কাজ করে না।
ইসি বলছে, যরার শর্ত পূরণ করবে তারাই নিবন্ধিত হবেন শনিবার ইউরোপিয়ান প্রতিনিধি দল বাংলাদেশে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষনের জন্য আগ্রহ প্রকাশ করে। এই বিষয়ে একই দিন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, তারা নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে পারবে, কিন্তু প্রতিনিধি দলে কতজনের টিম হবে তা নির্ধারণ করবে নির্বাচন কমিশন।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে ইসির সচিব জাহাঙ্গীর আলম আমাদের নতুন সময়কে বলেন, ইউরোপিয়ান ইউনিয়নসহ বিদেশী পর্যবেক্ষণ সংস্থাগুলো অবশ্যই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে পারবে। তবে, তাদেরকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করতে হবে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আবেদনকারীদের তথ্য যাচাই-বাছাই করে ভিসা দেবে। ইসির পক্ষ থেকে কোন প্রকার বাধা নেই।
তিনি আরো বলেন, এরআগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও নির্বাচন পর্যবেক্ষনের জন্য বিদেশী সংস্থাগুলোকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। আবার বেশ কিছুদিন আগে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের একটি প্রতিনিধি দল কমিশনে এসে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। সে সময় সিইসি তাদেরকে নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য আমন্ত্রণ জানান।
দেশীয় ২১০ টি সংস্থা নির্বাচন পর্যবেক্ষনের জন্য নিবন্ধনের আবেদনের বিষয়ে ইসি সচিব বলেন, এর মধ্যে অনেকগুলো রয়েছে এনজিও। এ সব সংস্থা নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কাজ করে না। ইসির আইন অনুযায়ী যারা নিবন্ধনের শর্ত পূরণ করতে পারবে তারাই নিবন্ধন পাবে।
ইসি সূত্রে জানা যায় , বর্তমানে ১১৯ টি সংস্থার নির্বাচন পর্যবেক্ষনের নিবন্ধন রয়েছে। বিদ্যমান নিবন্ধিত সংস্থাগুলোর মেয়াদ শেষ হতে যাচ্ছে ১১ জুলাই। সেক্ষেত্রে ইসির কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী জুনের মধ্যে চূড়ান্ত কার্যক্রম শেষ করা হবে।
ইসির সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) মো. আশাদুল হক জানান, নির্ধারিত ২ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ১৯৯টি এবং নির্ধারিত সময়ের পরে আরও ১১টি সংস্থার আবেদন জমা পড়েছে। এ নিয়ে গত বৃহস্পতিবার ইসির আইন শাখার যুগ্ম সচিবের নেতৃত্বে সাত সদস্যের পর্যবেক্ষক সংস্থার নিবন্ধন আবেদন যাচাই-বাছাই কমিটির সভা হয়েছে। আগামী ১৫-২০ দিনের মধ্যে এসব সংস্থার প্রাথমিক যাচাই-বাছাই হবে।
এরপর প্রতিবেদন নির্বাচন কমিশনে উপস্থাপন করা হবে। প্রাথমিক বাছাইয়ে যাদের আবেদন টিকবে তাদের বিরুদ্ধে কোনো ধরনের দাবি-আপত্তি আছে কিনা জানতে ১৫ দিনের মধ্যে সময় দিয়ে একটি গণবিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে। যদি কোনো সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগ আসে তাহলে কমিশন উভয় পক্ষকে ডেকে শুনানি দেবেন। শুনানি শেষেই নিবন্ধন প্রক্রিয়া চূড়ান্ত হবে। কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশন এ বছরের ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহের যেকোনো দিন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন করবে।
এমএল/এএ
আপনার মতামত লিখুন :