এম এম লিংকন: ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের উপ-নির্বাচনের নিখোঁজ স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপির বহিস্কৃত নেতা আবু আসিফ আহমদকে উদ্ধারে মাঠ প্রশাসনকে নির্বাচন কমিশন (ইসি) কঠোর নির্দেশন দিয়েছে। একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কমিশনার রাশেদা সুলতানা। এদিকে পরিবারের দাবি আসিফ শুক্রবার থেকে নিখোঁজ রয়েছে। সোমবার নিজ কার্যালয়ে তিনি এ কথা বলেন ইসি।
আগামী ১ ফেব্রুয়ারি বিএনপির ছেড়ে দেওয়া ছয়টি আসনে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এগুলো হলো- ঠাকুরগাঁও-৩, বগুড়া-৪, বগুড়া-৬, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসন। এই নির্বাচনে ভোট গ্রহণ হবে ইভিএমে। তবে ইসি এই ছয়টি আসনের উপনির্বাচনে সিসিটিভি ব্যবহার করছে না।
এদিকে নিখোঁজ আবু আসিফ আহমেদের স্ত্রী মেহেরুন্নিছা অভিযোগ করে জানান, শুক্রবার থেকে তার স্বামী আবু আসিফের খোঁজ মিলছে না। আসিফের মুঠোফোনটিও বন্ধ রয়েছে। এ ছাড়া পুলিশ বাড়িতে এসে নানাভাবে হয়রানি করছে। ১ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে বিএনপির বহিস্কৃত নেতা আসিফ বিএনপি’র সাবেক নেতা ও পাঁচবারের সাবেক সংসদ সদস্য উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়ার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী।
এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন জানান, পুলিশ সদস্য আবু আসিফ বাড়িতে গিয়ে হয়রানি করেনি। এমনকি আমাদের কাছে কেউ কোনো অভিযোগও করেনি। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইসি রাশেদা বলেন, নিখোঁজের বিষয়ে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিয়েছি আমরা। আসলে কি ঘটেছে সেটি জানার জন্য বি.বাড়িয়ার ডিসি,এসপি এবং রিটার্নিং কর্মকর্তাকে দিয়ে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। আমরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বলেছি, আপনারা চাইলে তাকে উদ্ধার করতে পারবেন, এটা আমার বিশ্বাস। তাকে উদ্ধার করেন।
প্রথমবারের মতো আপনাদের কমিশন সিসি ক্যামেরা ছাড়া নির্বাচন করছে, এতে তুলনামূলক চিত্র পাওয়া যাবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, সিসি ক্যামেরা ছাড়া কী হয় এটাও একটা তুলনামূলক পরীক্ষা হতে পারে।
তিনি আরো বলেন, এসব আসনের ডিসি এসপিরা বলেছেন, কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা স্বচ্ছ নির্বাচন করবো। সম্পাদনা: এল আর বাদল
এমএল/এলআরবি/এএ