নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনের দাবিতে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। আজ বুধবার বেলা ১২টা থেকে এ কর্মসূচি পালন করছে দলটি। এতে করে নির্বাচন ভবনের আশেপাশে পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
জানা গেছে, বুধবার সকাল থেকেই আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে নিরাপত্তা রক্ষায় কড়া অবস্থান নেয় পুলিশ। ভবনের সামনের রাস্তায় দেওয়া হয় কাঁটাতারের ব্যারিকেড।পুলিশের পাশাপাশি কোস্ট গার্ড, বিজিবি, র্যাব এবং সেনা সদস্যদের রয়েছে সতর্ক উপস্থিতি।
দায়িত্বরত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা জানান, বিক্ষোভকে ঘিরে যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতেই নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। তবে পরিস্থিতি এখন পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বিএনপি সমর্থিত মেয়র প্রার্থী ইশরাক হোসেনকে আদালতের রায়ের ভিত্তিতে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করায় ইসির ভূমিকার প্রতি বিক্ষোভ প্রদর্শনের কর্মসূচি দিয়েছে এনসিপি। এ ছাড়া দলটি ইসির বিরুদ্ধে বিএনপিকে ইঙ্গিত করে বাড়তি সুবিধা দেওয়ার অভিযোগও তুলেছে।
অন্যদিকে ফ্যাসিস্ট সরকারের করা আইনের অধীনে নিয়োগ পাওয়া ইসিরও পুনর্গঠন চেয়েছে দলটি। গতকাল মঙ্গলবার এই কর্মসূচি ঘোষণা দেন এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন।
গতকাল মঙ্গলবার রাতে এক সংবাদ সম্মেলনে আখতার হোসেন ইসি ঘেরাও কর্মসূচির ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব আমলে নিয়ে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের দাবিতে নির্বাচন কমিশনের সামনে বেলা ১১টায় বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হবে। তবে পরে এই সময় এক ঘণ্টা পিছিয়ে ১২টায় নির্ধারণ করা হয়।
বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনের মেয়র হিসেবে শপথ নিয়ে আন্দোলনের বিষয়টি তুলে ধরে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ওই সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘যে সংকট তৈরি হয়েছে তা সমাধানে স্থানীয় সরকার নির্বাচন দিতে হবে। পক্ষপাতমূলক গ্যাজেট প্রকাশ হয়েছে। ওই আমলের সব নির্বাচনই আমরা প্রত্যাখ্যান করছি।’
তিনি বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচন ও গণপরিষদ নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার পর স্থানীয় সরকার নির্বাচন দেওয়া হোক। দেশের বর্তমান সংকট থেকে উত্তরণের জন্য স্থানীয় সরকার নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই।’
নির্বাচন কমিশনের সমালোচনা করে নাহিদ ইসলাম আরও বলেন, ‘বাংলাদেশকে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নিতে হলে ইসি পুনর্গঠন করতে হবে। বিভিন্ন জায়গায় আপনারা (ইসি) যে ছলচাতুরি করছেন তা বন্ধ করুন।’