শহীদুল ইসলাম: [২] শনিবার (২ ডিসেম্বর) সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবে সম্মিলিত শিক্ষা আন্দোলনের আয়োজনে ‘পরিকল্পিত শিক্ষা ধ্বংসের সংক্ষিপ্ত কালপঞ্জি ১৯৭২-২০২২’ শীর্ষক এক সেমিনারে এ দাবি জানানো হয়।
[৩] সংগঠনের আহ্বায়ক রাহুল রাহা সাধারণ ধারার শিক্ষা ধ্বংসকারী নতুন কারিকুলাম বাতিলের দাবি জানিয়ে বলেন, তারা (গ্রেপ্তার ৪ জন) কোনো চুরি ডাকাতি বা কারো সম্পত্তি লুট করেনি। তারা কোনো ব্যাংক ডাকাতি করেনি। তাহলে কেন গ্রেপ্তার করা হলো? নতুন কারিকুলামে নামে নতুন প্রজন্মকে ধ্বংসের যে নীল নকশা করা হয়েছে, তার প্রতিবাদ করাই তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং অবিলম্বে গ্রেপ্তার হওয়াদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানাচ্ছি।
[৪] এর আগে, গত ২৩ নভেম্বর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের বিভিন্ন গ্রুপে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক নিয়ে সমালোচনা ও মিথ্যা তথ্য প্রচারের অভিযোগে রাজধানী ঢাকা থেকে তিনজন এবং টাঙ্গাইল থেকে একজনকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম (দক্ষিণ) বিভাগ। তারা হলেন আবুল হাসনাত কবির (৫১), গোলাম রাব্বী (৩৭), জাহাঙ্গীর কবির ও কাজী পনির।
[৫] জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের সহকারী সচিব আলমগীর হোসেন বাদী হয়ে অজ্ঞাতপরিচয় আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
[৬] এদিকে শনিবার পাঠ্য বইয়ে কোমলমতি শিশুদের মেধা, শিক্ষা ও নৈতিকতা ধ্বংসকারী শিক্ষা কারিকুলাম বাতিলের দাবি জানিয়ে প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেছে সচেতন অভিভাবক সমাজ।
[৭] মানববন্ধনে অভিভাবকরা বলেন, নতুন কারিকুলামে ষষ্ঠ শ্রেণির পাঠ্য বইয়ে স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও বিজ্ঞান শিক্ষার নামে যা শেখানো হচ্ছে, তা স্পষ্ট ‘যৌন শিক্ষা’। এই যৌন শিক্ষা পাঠ বাতিল করতে হবে। বিশেষ করে, ষষ্ঠ শ্রেণির এ শিশুদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা বইয়ের ৪৭ থেকে ৪৯ পৃষ্ঠায় বয়ঃসন্ধিকালে নারী-পুরুষের দেহের পরিবর্তন, নারী-পুরুষের শরীর থেকে কি নির্গত হয়, কোন অঙ্গের আকার কেমন হয়, বিপরীত লিঙ্গের প্রতি কেমন আকর্ষণ হয় ইত্যাদি শেখানো হচ্ছে। এছাড়া বিজ্ঞান অনুসন্ধানী পাঠ বইয়ের ১১তম অধ্যায়ের ‘মানব শরীর’ শিরোনামে ১১৯ থেকে ১২২ পৃষ্ঠায়- পেনিস, পেনিস দৃঢ়তা, যোনী, লোম গজানো, স্তন, নিতম্ব, উরু, বগল, স্রাব, মাসিক, সেক্স হরমোন ইত্যাদি রগরগে বর্ণনাসহকারে কোমলমতি শিশুদের পড়ানো হচ্ছে, যা খুবই উদ্বেগের বিষয়। সম্পাদনা: তারিক আল বান্না
এসআই/টিএবি/এনএইচ