শহীদুল ইসলাম: [২] সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষা ও মূল্যায়নের জন্য জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা-উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশনা দিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।
[৩] এ বিষয়ে নির্দেশনা দিয়ে জারি করা আদেশ সব জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে পাঠানো হয়েছে। এর আগে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে প্রাথমিকের বার্ষিক পরীক্ষা এবং মূল্যায়ন শেষ করতে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরকে বলেছিল প্রাথমিক গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
[৪] প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর জানিয়েছে, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষা ও মূল্যায়ন আগামী ১৫ থেকে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে। এ সময়ে প্রাক-প্রাথমিক ও প্রথম শ্রেণীতে বার্ষিক মূল্যায়ন কার্যক্রম চলবে। এ দুই শ্রেণীতে কোনো পরীক্ষা হবে না। আর দ্বিতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষা নেয়া হবে।
[৫] নির্দেশনা অনুযায়ী, প্রাক-প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের শিক্ষক সহায়িকার নির্দেশনা অনুসরণ করে মূল্যায়ন সম্পন্ন করতে হবে। প্রাথমিক স্তরের পরিমার্জিত শিক্ষাক্রম অনুযায়ী ২০২৩ শিক্ষাবর্ষে প্রথম শ্রেণীতে শতভাগ ধারাবাহিক মূল্যায়ন করতে হবে। প্রথম শ্রেণীতে কোনোরূপ প্রান্তিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে না।
[৬] অধিদপ্তর আরো জানিয়েছে, দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণীতে কোভিড পরিস্থিতির আগে যেভাবে প্রতি প্রান্তিকে প্রতি বিষয়ে ১০০ নম্বরের সামষ্টিক মূল্যায়ন অনুষ্ঠিত হতো সেভাবে মূল্যায়ন কার্যক্রম সম্পাদন করতে হবে।
[৮] প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও শিক্ষকরা ওই ফাইল ডাউনলোড করে নির্দেশনা অনুযায়ী মূল্যায়ন কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবেন এবং প্রতি প্রান্তিকে শিক্ষার্থীর শিখন অগ্রগতির প্রতিবেদন তৈরি করে তাদের দিতে পারবেন। সম্পাদনা: তারিক আল বান্না
জেএ/টিএবি/এআরএস