শিরোনাম
◈ চট্টগ্রাম বন্দর নিয়ে চুক্তির সব কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ ◈ শ্রীলঙ্কাকে ৬৭ রা‌নে হারা‌লো  জিম্বাবুয়ে  ◈ রায়ের পর হাসিনাকে ফেরত দেয়ার দাবি জোরালো হচ্ছে ◈ রাজস্ব আদায়ে প্রবৃদ্ধি, চার মাসে এলো এক লাখ ১৯ হাজার কোটি টাকা ◈ প্রবাসী ভোটারদের সতর্কতা: ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর না দিলে পোস্টাল ভোট বাতিল ◈ তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রধানের বিষয়ে যা জানালেন শিশির মনির ◈ বিচার বিভাগের জন্য আলাদা সচিবালয় প্রতিষ্ঠার চূড়ান্ত অনুমোদন ◈ ১৯ দিনে প্রবাসী আয় ২ বিলিয়ন ডলার ◈ ডাকসু সদস্য রাফিয়ার বাড়িতে ককটেল নিক্ষেপ, আগুন ◈ জার্মা‌নি‌কে হা‌রি‌য়ে নারী কাবা‌ডি বিশ্বকা‌পের সেমিফাইনালের পথে ভারত

প্রকাশিত : ২০ নভেম্বর, ২০২৫, ০৭:০৫ বিকাল
আপডেট : ২১ নভেম্বর, ২০২৫, ১২:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

সামুদ্রিক শৈবাল থেকে উচ্চমূল্যের পণ্য উৎপাদন হতে পারে: বাকৃবি গবেষক দল

সামুদ্রিক আগাছা (সি উইড) থেকে উচ্চমূল্যের পণ্য উৎপাদনের দাবি করেছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি)-এর একদল গবেষক। তাঁদের মতে, সামুদ্রিক শৈবালভিত্তিক বায়োরিফাইনারি প্রযুক্তি ব্যবহার করে মূল্যবান পণ্য উৎপাদনে দেশের ব্লু ইকোনোমিকে আরো শক্তিশালী, টেকসই ও কার্যকর করে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

সাসটেইনেবল কোস্টাল অ্যান্ড মেরিন ফিশারিজ প্রকল্প (এসসিএমএফপি)-এর  অর্থায়নে ‘সামুদ্রিক শৈবালভিত্তিক বায়োরিফাইনারি প্রযুক্তির মাধ্যমে উচ্চমূল্যের পণ্য উন্নয়ন’ শীর্ষক উপ-প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হয়েছে। সম্পদের টেকসই ব্যবহার নিশ্চিত করা এবং জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের পথে বাংলাদেশকে এগিয়ে নেওয়াই গবেষণার মূল লক্ষ্য বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

এ গবেষণায় সহযোগিতা করেছে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পবিপ্রবি)। গবেষণায় ব্যবহৃত হয়েছে গ্র্যাসিলারিয়া টেনুইস্টিপিটাটা নামের সামুদ্রিক শৈবাল (সি  উইড)। এই শৈবাল থেকে পর্যায়ক্রমে তিনটি মূল্যবান উপাদান রঞ্জক পদার্থ, অ্যাগার (জেল-উৎপাদক উপাদান) ও সেলুলোজ সফলভাবে নিষ্কাশন করা হয়েছে। বায়োরিফাইনারি প্রযুক্তির বিশেষত্ব হলো শৈবালের প্রতিটি অংশই ব্যবহৃত হয়।ফলে বর্জ্য তৈরি হয় খুব কম।

আজ বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টায় কৃষি অনুষদের সম্মেলন কক্ষে ওই গবেষণা প্রকল্পের সমাপনী কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রধান গবেষক ও বাকৃবির প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আবদুল হান্নান।

অধ্যাপক হান্নান বলেন, ‘প্রথম ধাপে জলীয় পদ্ধতিতে শৈবাল থেকে ফাইকোবিলিপ্রোটিন রঞ্জক সংগ্রহ করা হয়। এতে শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও প্রদাহরোধী গুণ রয়েছে।

এই প্রাকৃতিক রঞ্জক দইসহ বিভিন্ন খাদ্যে ব্যবহার করা যায় এবং স্বাদ, গন্ধ, রং ও গ্রহণযোগ্যতা বাড়ায়। এরপর বাকি থাকা অংশ থেকে অ্যাগার উৎপাদিত হয়েছে। এর উৎপাদন মাত্রা পাওয়া গেছে প্রায় ১৫ শতাংশ। শেষে যে অংশটি অবশিষ্ট থাকে, তা থেকে সেলুলোজ সংগ্রহ করে অ্যাগার ও জিলেটিনের সঙ্গে মিশিয়ে একটি শক্তিশালী, অতিবেগুনি রশ্মি প্রতিরোধী ও জৈব-বিয়োজ্য বায়োফিল্ম তৈরি করা হয়েছে। এই বায়োফিল্ম প্যাকেজিং ও বায়োমেটেরিয়াল শিল্পে ব্যবহারের উপযোগী।

গবেষক ড. হান্নান আরো বলেন, ‘গবেষণার কার্যক্রম শুরু হয় ২০২৪ সালের শুরুর দিকে। সহযোগী গবেষক হিসেবে পবিপ্রবির ফিশারিজ বায়োলজি ও জেনেটিক্স বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. মো. নাজমুল হক।’

সমাপনী কর্মশালায় প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. শায়লা শারমিনের সভাপতিত্বে ও লেকচারার খাদিজা খাতুনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে  প্রধান অতিথি ছিলেন বাকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া। বিশেষ অতিথি ছিলেন এসসিএমএফপি প্রকল্পের উপ-পরিচালক মো. মেজানুর রহমান, কৃষি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. জি এম মুজিবুর রহমান এবং বাকৃবি রিসার্চ সিস্টেম (বাউরেস)-এর পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. হাম্মাদুর রহমান।

উপাচার্য তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে টেকসই উন্নয়নের জন্য নীল অর্থনীতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাকৃবির এই গবেষণা সামুদ্রিক সম্পদের কার্যকর ব্যবহার নিশ্চিত করে দেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক অবদান রাখবে।’

সূত্র: কালের কণ্ঠ 

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়