‘যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) উপাচার্যের পদ গ্রহণের জন্য সত্তর বছর বয়সে আমার বাবাকে কারাগারে যেতে হলো। তাঁর শারীরিক অবস্থার কথা বারবার আদালতে জানানো হলেও তিনি জামিন পাননি। অবশেষে যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে তিনি স্ট্রোক করেছেন। গুরুতর অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সরকারের শুভবুদ্ধির উদয় হোক।’
আজ সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে কথাগুলো লিখে ক্ষোভ প্রকাশ করেন যশোর প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আবদুস সাত্তারের ছেলে ওয়াসিফ সাত্তার। দুর্নীতি দমন কমিশন দুদকের দুটি মামলায় প্রায় দেড় মাস ধরে তিনি যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী আছেন। ২০০৯ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত তিনি উপাচার্যের দায়িত্বে ছিলেন।
যশোর কেন্দ্রীয় কারাগার সূত্রে জানা গেছে, আজ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আবদুস সাত্তার হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাঁকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে কারা কর্তৃপক্ষ।
জেল সুপার শরিফুল আলম বলেন, ‘৭০ বছর বয়সী আবদুস সাত্তার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে হঠাৎ বুকে ব্যথার কারণে অসুস্থ হয়ে পড়েন। এ সময় তাঁর মুখ দিয়ে লালা বের হচ্ছিল। স্ট্রোকের আশঙ্কায় তাঁকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ২০ আগস্ট তাঁর হাজিরার পরবর্তী দিন ধার্য রয়েছে।’
আবদুস সাত্তার আপাতত শঙ্কামুক্ত নন বলে আজ দুপুরে জানিয়েছেন যশোর জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক চিকিৎসক সাফায়েত হোসাইন। তিনি বলেন, সিটি স্ক্যানের মাধ্যমে জানা গেছে, তাঁর মাথায় রক্ত চলাচলে বিঘ্ন ঘটেছে। তাঁর চিকিৎসা ও পর্যবেক্ষণ চলছে।
ফেসবুক পোস্টের বিষয়ে ওয়াসিফ সাত্তার বলেন, ‘আমরা হাসপাতালে গিয়ে দেখি, বাবা স্ট্রোক করেছেন। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে আমার বাবার মতো সম্মানীয় ব্যক্তিদের শেষ জীবনে হেনস্তা করা হচ্ছে। আমার বাবা এই অপমান সহ্য করতে পারেননি। এমন রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বন্ধ হোক।’ সূত্র: প্রথম আলো