শিরোনাম
◈ জামিন স্থগিত সাবেক ইসকন নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের ◈ চট্টগ্রা‌মে মিরাজ তাণ্ডব, জিম্বাবু‌য়ের বিরু‌দ্ধে দ্বিতীয় টে‌স্টে ইনিংস ব্যবধানে জিতলো বাংলাদেশ ◈ উত্তরায় চাঞ্চল্যকর অপহরণের ঘটনায় প্রাইভেট কারসহ দুই অপহরণকারী গ্রেফতার ◈ সম্ভাব্য তারিখ জানা গেল ঈদুল আজহার ◈ নির্বাচনী কোন ধরনের ঐক্য বা জোটে আগ্রহী নয় এনসিপি: নাহিদ ইসলাম (ভিডিও) ◈ টুঙ্গিপাড়াসহ বিভিন্ন জায়গায় থাকা শেখ পরিবারের জমি জব্দের আদেশ ◈ পুলিশের ঊর্ধ্বতন ১৪ কর্মকর্তাকে বদলি ◈ বিদ্যুৎ আমদানিতে আদানির ৪০ কোটি ডলারের ‘শুল্ক ফাঁকির’ অনুসন্ধানে দুদক ◈ হাইকোর্টে চিন্ময় দাসের জামিন ◈ আবারও ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে গোলাগুলি

প্রকাশিত : ০২ মার্চ, ২০২৫, ০৮:১৭ রাত
আপডেট : ০৭ এপ্রিল, ২০২৫, ০৯:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ইবিতে পরীক্ষা দিতে এসে ছাত্রলীগের দুই নেতা আটক

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা দিতে আসা নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের দুই নেতাকে মারধরের পর পুলিশে দেওয়া হয়েছে। রোববার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদ ভবনে এ ঘটনা ঘটে। পরে শিক্ষক ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের উপস্থিতিতে তাঁদের ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানায় সোপর্দ করা হয়।

মারধরের শিকার মাজাহারুল ইসলাম ওরফে নাঈম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের উপআপ্যায়ন বিষয়ক সম্পাদক। অন্যজন মারুফ আহমেদ ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী। তাঁরা দুজনই বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তাঁরা দুজন সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা দিতে ক্যাম্পাসে আসেন।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, বেলা সাড়ে ১১টায় তাঁদের চতুর্থ বর্ষের সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা শুরু হয়। তাঁরা বিভাগকে না জানিয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। তাঁদের ক্যাম্পাসে আসার খবর পেয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিভাগের সামনে জড়ো হয়ে ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগবিরোধী স্লোগান দিতে থাকেন। এতে পরীক্ষাস্থলে উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়। পরে তাঁদের পরীক্ষা হল থেকে বের করে বিভাগের শিক্ষক ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে থানায় সোপর্দ করা হয়। কক্ষে ও কক্ষের বাইরে নেওয়ার সময় তাঁদের কয়েকজন মারধর করেন বলে অভিযোগ ওঠে।

সমাজকল্যাণ বিভাগের সভাপতি সহকারী অধ্যাপক আসমা সাদিয়া রুনা বলেন, ‘তারা দুজন পরীক্ষা দিতে আসছিল। আমরা পূর্বে অবগত ছিলাম না। পরে তাদের থানায় সোপর্দ করা হয়।’

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সমন্বয়ক এস এম সুইট বলেন, স্বৈরাচার ও ফ্যাসিবাদের দোসরদের সঙ্গে যারা যুক্ত ছিল, তাদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। আর যারা এসব দোসরদের প্রশ্রয় দেবে, তাদেরও প্রতিহত করা হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক শাহিনুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, ‘ওখানে একটা মব তৈরি হয়েছিল। বিভাগের শিক্ষকেরা প্রক্টরিয়াল বডির সহযোগিতায় দুজনকে পুলিশে সোপর্দ করেছেন। মামলা আছে কি না জানা নেই।’

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী হাসান প্রথম আলোকে বলেন, বেলা দুইটার দিকে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের দুজনকে থানায় নেওয়া হয়। আগের মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের তালিকায় তাঁদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। আগামীকাল (সোমবার) সকালে তাঁদের আদালতে নেওয়া হবে। উৎস: প্রথম আলো।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়