লাবিব হোসেন: দূর থেকে দেখলে উচ্ছিষ্ট মনে হতে পারে কিন্তু এ গুলো আসলে মাছের আঁশ। উচ্ছিষ্ট এ বস্তুকে ঘিরে রীতিমত কারখানা গড়ে তুলেছেন হাজারীবাগের সাইফুল ইসলাম। ৮ থেকে ১০ দশ জন লোক আর ৩ টা ভ্যান নিয়ে শুরু করা ব্যবসা আজ বড় পরিসরে শুরু করেছেন তিনি। সূএ: বিবিসি বাংলা
[২] বাংলাদেশে সাইফুলের মত আরও কয়েক হাজার ব্যবসায়ী মিলে একটি সাপ্লাই চেইন গড়ে তুলেছেন। চেইনটি কয়েকটি স্তরে কাজ করে থাকে যার শুরুটা হয় মাছ কাটা শ্রমিকদের দিয়ে। রাজধানীর কাওরানবাজারে মাছ কাটার পর আঁশ আলাদা করে রাখে শ্রমিকরা । সেই আঁশ সংগ্রহ করে পাঠানো হচ্ছে কারখানায়। সেখানে পানিতে ডুবিয়ে ময়লা ছাড়ানোর পর শুকানো হচ্ছে রোদে। এরপর শুকনো সেই আঁশ পৌঁছে যাচ্ছে রপ্তানিকারকদের আড়তে যেখানে ফের বাছাই এর পর গ্রেডিং করা হচ্ছে।
[৩] এর মাধ্যমে নতুন করে তৈরি হয়েছে রপ্তানি আয়ের নতুন সুযোগ। তৈরি হয়েছে নতুন করে কর্মসংস্থানের সুযোগ এতে করে সমাজের নিম্ন শ্রেণীর একটা অংশ আগের থেকে বেশ ভালো জীবন যাপন করতে পারছে। মাছে ভাতে পরিচিত বাংলাদেশের মানুেেষর কাছে মাছের গুরুত্ব থাকলেও মাছের আঁশের খুব একটা কদর ছিলনা। অথচ এ মাছের আঁশ রপ্তানি করে বাংলাদেশ এখন প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করছে।
[৪] শামসুল আলমের (মাছের আঁশ রপ্তানিকারক) বক্তব্য অনুযায়ী ৮-১০ কোটি টাকার মাল তার একারই যায়। প্রায় ১ লাখ লোক তার অধীনে কাজ করে এবং তার প্রায় ২ হাজার সাপ্লাইয়ার আছে। বাংলাদেশে প্রায় ২০০ কোটি টাকার উপরে এক্সপোর্ট হচ্ছে এ মাছের আঁশ। জাপান, ইন্দোনেশিয়া ছাড়াও নতুন করে চীন এবং কুরিয়ার বায়ার নতুন করে যোগ হচ্ছে।
[৫] মাছের আঁশে কোলাজেন ও জেলাটিনের মতো প্রোটিন উপাদান রয়েছে যা ওষুধ খাদ্য ও প্রসাধনী তৈরিতে ব্যবহার হয়ে থাকে। এর মধ্যে ওষুধ শিল্পে সব চেয়ে বেশি জেলোটিন ব্যবহৃত হয় ক্যাপসুলের খোল তৈরিতে। বিশ^ব্যাপী দিন দিন এ প্রোটিনের চাহিদা বাড়ছে যা বাংলাদেশের রপ্তানি আয় বৃদ্ধিতে নতুন এক সম্ভাবনা তৈরি করেছে। সম্পাদনা: রাশিদ