ঢাকা ট্রিবিউন, বিজনেস রিপোর্ট: বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে জুতা-স্যান্ডেল রপ্তানি ৬৪.৪০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এ রপ্তানি আয়ের পরিমান ছিল ৪৫ কোটি ১৪ লাখ ডলার। এর আগের বছর ২০২১ সালে দেশটিতে জুতা রপ্তানিতে আয় হয় ২৭ কোটি ৪৫ লাখ ৮০ হাজার ডলার। যুক্তরাষ্ট্রের ক্রেতারা চীন ও ভিয়েতনাম বাজার থেকে অন্যত্র বাজার অনুসন্ধান করছে। এ প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে জুতা রপ্তানি বেড়েছে। চীন থেকে রপ্তানির ফরমায়েশ কিছু অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছে। এরফলে আগামী দিনগুলোতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের চেয়েও যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের জুতার বড় বাজারে পরিণত হবে বলে আশা করছেন রপ্তানিকারকরা। রপ্তানিকারকরা বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ক্রেতারা বিভিন্ন দেশ থেকে জুতা কেনার চেষ্টা করছেন এতে বাংলাদেশ, ভারত, ইন্দোনেশিয়া ও কম্বোডিয়া সুবিধা পাচ্ছে। এসব দেশের ক্রমবর্ধমান হারে দেশটিতে জুতা রপ্তানি করার সুযোগ ও সম্ভাবনার সৃষ্টি হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য উপাত্ত অনুযায়ী বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের বাজাবে চামড়ার জুতা রপ্তানি ৬৩.২৫ শতাংশ বেড়েছে। যার পরিমান ৪০ কোটি ৬৪ লাখ ৯০ হাজার ডলার। যা আগের বছরে ছিল ২৪ কোটি ৯০ লাখ ডলার। ২০২২ সালে বিশ্বে মোট জুতা আমদানি ৩২.৫১ শতাংশ বেড়ে দাঁড়ায় ৩৩৪৩ কোটি ডলার। ২০২১ সালে যা ছিল ২৫২৩ কোটি ডলার।
২০২২ সালে চীন থেকে যুক্তরাষ্ট্রের জুতা আমদানি ২৩ শতাংশ বেড়েছে। যার পরিমান ছিল ১২১৫ কোটি ডলার। আগের বছর যার পরিমান ছিল ৯৮৮ কোটি ডলার। ২০২২ সালে ভিয়েতনাম থেকে যুক্তরাষ্ট্রে জুতা আমদানি বেড়েছে ৪১.১৯ শতাংশ। যার পরিমান ছিল ১০৪৮ কোটি ডলার। আগের বছর ছিল ৭৪২ কোটি ডলার।
ভারত থেকে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে জুতা রপ্তানি বেড়েছে ৬৪.১৯ শতাংশ, ৭৪ কোটি ৫০ লাখ ৩০ হাজার ডলার। ইন্দোনেশিয়া থেকে যুক্তরাষ্ট্রে জুতা রপ্তানি বেেেড়ছে ৫৩.০৪ শতাংশ, ৩০০ কোটি ডলার। এর আগের বছ এর পরিমান ছিল ১৯৬ কোটি ডলার। কম্বোডিয়া থেকে যুক্তরাষ্ট্রে জুতা আমদানি ২০২২ সালে বেড়েছে ৪৭.৬৮ শতাংশ, ১০০ কোটি ডলার যা আগের বছর ছিল ৬৭ কোটি ১৯ লাখ ডলার।
রাংলাদেশ লেদারগুডস এন্ড ফুটওয়ার ম্যানুফ্যাকটারার্স এন্ড এক্সপোটার্স এসোসিয়েন এর সভাপতি সৈয়দ নাসিম মনজুর শনিবার নিউ এজকে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের ব্রান্ড ও ক্রেতারা চীন ও ভিয়েতনামের বাইরে তাদের ক্রয়ের উৎস বাড়ানোর চেষ্টা করায় বাংলাদেশ, ভারত ও ইন্দোনেশিয়া সুবিধা পাচ্ছে।
তিনি বলেন, ভূ-রাজনৈতিক কারণে যুক্তরাষ্ট্রের ক্রেতারা চীনকে আগামী বছরগুলোতে নির্ভরযোগ্য উৎস বলে মনে করছেন না। তারা চীন ও ভিয়েতনামের ওপর নির্ভরতা কমাতে চাচ্ছেন। দেশ দু’টিতে এখন শ্রম স্বল্পতা দেখা যাচ্ছে। সৈয়দ নাসিম বলেন, আন্তর্জাতিক জুতার বাজার থেকে সুবিধা লাভের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে বাংলাদেশের। তবে তা লাভের জন্য বাংলাদেশের জন্য চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এপেক্স ফুটওয়ারের পরিচালকও সৈয়দ নাসিম। তিনি বলেন, এ সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে হলে বাংলাদেশকে বাণিজ্য ব্যয় হ্রাস ও দক্ষতা বাড়াতে হবে। অনুবাদ: সাজ্জাদুল ইসলাম
আপনার মতামত লিখুন :