শিরোনাম
◈ বাংলাদেশ-ভারত সেনাবাহিনীর মধ্যে সহযোগিতা জোরদারে প্রধানমন্ত্রীর গুরুত্বারোপ ◈ ছয় দিনের তুরস্ক সফর শেষে দেশে ফিরেছেন রাষ্ট্রপতি ◈ ওড়িশায় ট্রেন দুর্ঘটনা: এখনো মেলেনি ১০১ মরদেহের পরিচয় ◈ জামায়াতের বনানী থানার আমিরসহ আটক ১০ ◈ দেশের বাইরে থাকলেও আমি রাজনীতিতেই আছি ◈ সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ এবং বিদ্যুৎ পরিস্থিতি সহনীয় করা ◈ জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় বিএনপির সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাজি আওয়ামী লীগ: আমু ◈ ভিসা নীতি নিয়ে বিএনপির মনোভাব জানতে চাইলেন পিটার হাস  ◈ বিএনপির অপরাজনীতির কারণেই নতুন মার্কিন ভিসা নীতি: তথ্যমন্ত্রী ◈ বালাইনাশক প্রতিষ্ঠানের কর্মী ২ দিনের রিমান্ডে  

প্রকাশিত : ২৭ জানুয়ারী, ২০২৩, ০৪:২৮ দুপুর
আপডেট : ২৭ জানুয়ারী, ২০২৩, ০৪:২৮ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

এক ভরি সোনা-এফজেড মোটরসাইকেল ফ্রি, তবু বিক্রি হয়নি কোটি টাকার খাট

কোটি টাকার খাট

সঞ্চয় বিশ্বাস: এবারের বাণিজ্যমেলায় দর্শনার্থীদের নজর কেরে ছিলো কোটি টাকা দামের একটি খাট। শুরু থেকেই খাটটি দর্শনার্থীদের নজর কাড়লেও মেলা প্রায় শেষ পর্যায় এসেও বিক্রি হয়নি এই ‘পরী পালং খাট’। বিক্রেতা কোটি টাকা দাম হাঁকলেও ক্রেতাদের দিক থেকে সর্বোচ্চ দাম উঠেছে সাড়ে ৫১ লাখ টাকা । ঢাকাপোস্ট

আজ (শুক্রবার) রাজধানীর অদূরে পূর্বাচলে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী এক্সিবিশন সেন্টারে (বিবিসিএফইসি) বাণিজ্য মেলায় খাটটির মালিক এসব তথ্য জানান।

খাটটির ডিজাইনার ও মালিক মো. নুরুন্নবী বলেন, রাজকীয় কারুকাজ ও পরীর ডিজাইনে খাটটি তৈরি করা হয়েছে। কোনোরকম মেশিনের ব্যবহার ছাড়াই সর্বোচ্চ নৈপুণ্য ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করা হয়েছে। খাটটির দাম এক কোটি টাকা চাইছি। যিনি খাটটি কিনবেন তাকে উপহার হিসেবে একটি ইয়ামাহার এফজেড মডেলের মোটরসাইকেল ও এক ভরি সোনার গহনা উপহার হিসেবে দেওয়া হবে। তবে এখন পর্যন্ত আশানুরূপ দাম পাইনি। সর্বোচ্চ দাম উঠেছে ৫১ লাখ ৫০ হাজার টাকা।

মেলায় স্টলটির সামনে দাঁড়িয়ে দেখা যায়, স্টলের সামনে একটি ব্যারিকেড দেওয়া আছে। ব্যারিকেডের কাছাকাছি থেকে খাটটি দেখছেন দর্শনার্থীরা। খাটের চার কোণে দাঁড়িয়ে আছে পরীর আদলে চারটি মূর্তি। বিভিন্ন অংশে আরও ১২টি পরী রয়েছে। 

খাটটি সম্পর্কে নুরুন্নবী বলেন, ‘পরীর ডিজাইনে তৈরি করায় নাম দেওয়া হয়েছে পরী পালং খাট। এটি চট্টগ্রামের খাগড়াছড়ির গুইমারা উপজেলায় তৈরি। এতে মেশিনের ব্যবহার হয়নি, সম্পূর্ণ হাতে তৈরি করা হয়েছে। এর ডিজাইন কিংবা ক্যাটালগ বিশ্বের কোথাও নেই। সৃষ্টিশীল চিন্তাভাবনা থেকে শখের বশে খাটের ডিজাইন করেছেন আমার ভাই। তৈরি করেছেন স্থানীয় কারিগর আবু বক্কর সিদ্দিক। ২০১৭ সালে তিনি ও তার এক সহকারী মিলে কাজ শুরু করেন। তিন বছর দুই মাসে কাজ সম্পন্ন করেছেন তারা। কারিগরের মজুরিসহ প্রায় ৪০ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। পাশাপাশি বাণিজ্য মেলায় স্টল নেওয়াসহ নানা খরচ মিলিয়ে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৫০ লাখ টাকা।

তিনি বলেন, খাটের চার কোণে বড় চারটি পরীর হাতে চারটি প্রজাপতি রয়েছে। এর পাশে চারটি চাঁদ ও ছয়টি সূর্যের নকশা আছে। বিভিন্ন অংশে রাজকীয় কারুকাজ রয়েছে। পাটাতনগুলো ভাঁজ করে তুলে রাখার ব্যবস্থা আছে। চট্টগ্রামের সেগুন কাঠের ফাইবার দিয়ে এটি তৈরি। প্রায় ২০০ ঘনফুট কাঠ থেকে ৮৫ ঘনফুট কাঠের ফাইবার বের করে খাটটি তৈরি করা হয়েছে।

এসবি২/এএ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়