মিনহাজুল আবেদীন: [২] ভারতের গম রপ্তানি বন্ধের জেরে দেশে ধাপে ধাপে বাড়ছে আটা-ময়দার দাম। এর প্রভাব পড়ছে চালের বাজারে। আটা-ময়দার সঙ্গে সব ধরনের চালের দামও বাড়ছে। ঢাকা পোস্ট
[৩] গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর কারওয়ান বাজার, মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট ও তেজকুনিপাড়ায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এক সপ্তাহের ব্যবধানে পাইকারি পর্যায়ে মিনিকেট, নাজিরশাইল ও মোটা চালের দাম বস্তাপ্রতি ১০০ থেকে ১৫০ টাকা বেড়েছে।
পাইকারিতে দাম বাড়ার কারণে খুচরা পর্যায়ে কেজিতে গড়ে দুই থেকে তিন টাকা বেড়েছে। গত দুই-তিন দিনের ব্যবধানে দুই টাকা বেড়ে মিনিকেট চালের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬২ থেকে ৬৬ টাকায়। বিআর-২৮ ও পায়জাম জাতীয় চাল বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৪৮ থেকে ৫২ টাকায়। মোটা চালের (স্বর্ণা ও গুটি জাতের) কেজিতেও দাম বেড়েছে দুই থেকে তিন টাকা। এই চাল বিক্রি হচ্ছে ৪৪ থেকে ৪৬ টাকায়; যা তিন দিন আগেও কেনা গেছে ৪২ থেকে ৪৩ টাকায়।
[৪] পরীবাগ এলাকার বাসিন্দা সাইফুল আলম বলেন, তেল, পেঁয়াজ, আটা-ময়দা-চাল সব কিছুরই দাম বাড়ছে। এতে কষ্ট বাড়ছে গরিব মানুষের। সরকার বাজারে নামকাওয়াস্তে অভিযান চালাচ্ছে। এর কোনো সুফল পাচ্ছেন না সাধারণ মানুষ। জাগোনিউজ ২৪
[৫] খুচরা ব্যবসায়ীরা বলেন, পাইকারি বাজারে দাম বাড়ার কারণে খুচরা বাজারে দাম বাড়ছে। তেজকুনিপাড়া বাজারের সুমি জেনারেল স্টোরের বিক্রয়কর্মী মো. শুভ বলেন, তাদের আগের কেনা চাল রয়েছে। সেগুলো বিক্রি করছেন। তবে পাইকারি ব্যবসায়ীরা তাকে গতকাল জানিয়েছেন, নতুন করে চালের দাম বেড়েছে।
[৬] কারওয়ান বাজারের পাইকারি চাল ব্যবসায়ী হাজী ইসমাইল রাইস এজেন্সির স্বত্বাধিকারী মো. জসিম উদ্দিন বলেন, এখন চালের মৌসুম। এ সময় দাম কিছুটা কম থাকার কথা। কিন্তু গত বছরের তুলনায় এ বছর নতুন চালের বস্তায় মিল পর্যায়ে ১০০ থেকে ১৫০ টাকা বেশি নেওয়া হচ্ছে।
[৭] মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটের পাইকারি ব্যবসায়ী মেসার্স সোহেল এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মো. সোহেল বলেন, গত বছরের চেয়ে এ বছর নতুন চালের দাম গড়ে দুই থেকে তিন টাকা বেশি। মিলাররা জানিয়েছেন, মিলগেটে চালের দাম কিছুটা বাড়ছে।
[৮] সরকারি বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) দৈনিক বাজার দরের প্রতিবেদনেও। সংস্থাটি বলছে, গত এক সপ্তাহে মাঝারি চালের দাম ৩ শতাংশ এবং মোটা চালের দাম ৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ বেড়েছে।
[৯] বাংলাদেশ অটো মেজর অ্যান্ড হাসকিং মিল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক লায়েক আলী বলেন, হাওরে ধান উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বৃষ্টি ও বন্যার কারণে কৃষকরা ধান ঘরে তুলতে পারছেন না। কৃষকদের মধ্যে হতাশা রয়েছে। এখনো ৫ শতাংশ চাল ওঠেনি কৃষকের ঘরে।