শিরোনাম

প্রকাশিত : ৩০ নভেম্বর, ২০২২, ১০:০৮ দুপুর
আপডেট : ০১ ডিসেম্বর, ২০২২, ০৫:৪৩ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আবারো বাড়ছে গ্যাস বিদ্যুতের দাম!

ডেস্ক রিপোর্ট : আবারো কী বাড়ানো হচ্ছে গ্যাস-বিদ্যুতের দাম? গ্রাহকদের মনে এ রকম একটি প্রশ্নের দেখা দিয়েছে। বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) এখতিয়ার ক্ষুণ্ণ করে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম সরাসরি নির্ধারণের ক্ষমতা নিজের হাতে নিতে যাচ্ছে সরকার।

এ জন্য বিইআরসি আইনের সংশোধন মন্ত্রিসভা কমিটিতে অনুমোদন করা হয়েছে। রাষ্ট্রপতির ক্ষমতাবলে অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে দ্রুততম সময়ে সংশোধনী কার্যকর করা হবে বলে জানা গেছে সংশ্নিষ্ট সূত্রে । 

জানা গেছে, আইএমএফের শর্ত বা পরামর্শ অনুযায়ী স্বল্প সময়ের মধ্যে গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রয়োজন হতে পারে। সে জন্য আইন সংশোধনে তাড়াহুড়ো করছে সরকার। সংসদে এ আইন পাস করতে হলে কিছুটা সময় বেশি লাগবে। 

এ জন্য রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে এটি কার্যকর করতে চায় সরকার। সূত্র বলছে, আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে বহু কাঙ্ক্ষিত আইএমএফের প্রথম কিস্তির ঋণের অর্থ পাওয়ার আশা করছে বাংলাদেশ। এর আগে আইএমএফের বোর্ড সভায় এ ঋণ প্রস্তাব অনুমোদন হতে হবে। 

তার আগেই আইএমএফের শর্ত বা করণীয় পালনের অংশ হিসেবে গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হতে পারে। সমকাল

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কমিশনের মাধ্যমে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের মূল্য নির্ধারণে অনেকটা স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা সম্ভব হতো। সংশ্নিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর অনিয়ম-অপচয়গুলো চিহ্নিত করা যেত। নির্বাহী আদেশে দাম বাড়ানোর ক্ষেত্রে এ সবকিছু মানা হবে না। 

ফলে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো আরও স্বেচ্ছাচারী হয়ে উঠতে পারে। তাদের মতে, বিভিন্ন বিষয়ে শুনানি ও প্রশ্নের সম্মখীন হতে হয় বলে বিইআরসির ক্ষমতা কেড়ে নিয়ে মন্ত্রণালয়ের হাতে ন্যস্ত করা হচ্ছে। 

কারণ সরকার চাইলে বিধি সংশোধন করে বিশেষ বিইআরসির মাধ্যমেই কম সময়ে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম সমন্বয় করতে পারত। আইন সংশোধন করে ক্ষমতা খর্বের প্রয়োজন ছিল না।

সরকারি কর্মকর্তারা বলছেন, বিইআরসির মাধ্যমে দাম সমন্বয় করতে কমপক্ষে তিন মাস সময় লাগে। কমিশন যেসব কাগজপত্র চায়, তা তৈরি ও অডিট করতেও সময় যায়। 

কিন্তু বিশ্ববাজারে জ্বালানির মূল্য দ্রুত ওঠানামা করে। বিশেষ সময়ে চাইলেও দ্রুত দাম সমন্বয় করা যায় না। তাই আইনে সংশোধনী এনে কিছু ক্ষমতা সরকার তার হাতে রাখল।

গত সোমবারের মন্ত্রিসভা কমিটিতে উত্থাপিত আইন সংশোধনের সারসংক্ষেপে জ্বালানি বিভাগের পক্ষ থেকে বলা হয়, বর্তমানে সংসদ অধিবেশন নেই, কিন্তু আশু ব্যবস্থা গ্রহণে বিশেষ পরিস্থিতি বিদ্যমান। 

সেহেতু বর্তমান আইনে বিদ্যুৎ, গ্যাস ও তেলের মূল্য সমন্বয়ে সরকারের ক্ষমতা সংরক্ষণ সংক্রান্ত বিধান সংযোজনে রাষ্ট্রপতির ক্ষমতাবলে অধ্যাদেশ প্রণয়ন ও জারি করা যেতে পারে।

কনজুমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) জ্বালানি উপদেষ্টা অধ্যাপক শামসুল আলম বলেন, গ্যাস বিতরণ কোম্পানির কমিশন কমানো, বিভিন্ন আয়-ব্যয় বিষয়ে প্রশ্ন তুলে কমিশন আমলাদের চক্ষুশূল হয়েছে। তাই আইএমএফের শর্তের সুযোগে বিইআরসিকে ঠুঁটো জগন্নাথ বানিয়ে দেওয়া হলো। 

এখন আমলারা যা চাইবেন, তা-ই হবে। ইচ্ছামতো যখন তখন নিত্যপণ্যের দাম বাড়াবে। জনগণের পকেট কাটা হবে।

এএঈচ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়