শিরোনাম
◈ আইজিপি বাহারুলের বরখাস্ত চেয়ে প্রধান উপদেষ্টার কাছে আবেদন ◈ শেখ হাসিনা ভারতে থাকবেন কি না তাকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে: এস জয়শঙ্কর ◈ ভোটের আগে জোট ও পর্দার আড়ালে ‘সমঝোতা’ ◈ ‘জুবাইদা রহমানের রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত তার নিজস্ব’ ◈ খালেদা জিয়ার লন্ডনযাত্রা পেছাতে পারে আরও ◈ ফোন নজরদারিতে নতুন পদক্ষেপ: স্যাটেলাইট ট্র্যাকিং চালু করতে চায় ভারত ◈ মজুদ প্রচুর, তবুও দুই দিনে পেঁয়াজের দাম হঠাৎ বাড়ল ৪০ টাকা ◈ লবণ উৎপাদনে ধস: আমদানি অনুমতিতে দামপতন, বিপাকে চাষী–মিল মালিক ◈ খালেদা জিয়াকে লন্ডন নেয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত আজ রাতে ◈ মান‌বিক সাহায্যের হাজার হাজার ত্রাণবাহী ট্রাক গাজার বারমুডা ট্রায়াঙ্গলে উধাও

প্রকাশিত : ২৭ নভেম্বর, ২০২২, ০৪:০৬ দুপুর
আপডেট : ২৭ নভেম্বর, ২০২২, ০৪:০৬ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

শখের ফল বাগান করে সফল শিক্ষক ও কৃষক

সোহাগ হোসেন, মির্জাগঞ্জ (পটুয়াখালী): মির্জাগঞ্জে শখের ফলের বাগানে সফলতা অর্জন করেছে এক কলেজ ডঃ আবদুর রহমান শিক্ষক এবং কৃষক হাবিবুর রহমান। তাদের সফলতা দেখে স্থানীয় যুবকরা ফল চাষে উদ্বুদ্ধ  হচ্ছে।

উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল আমড়াগাছিয়া গ্রামে পতিত জমিতে ড্রাগনসহ বিভিন্ন প্রজাতির ফল চাষ করে সফলতা লাভ করেছেন সুবিদখালী মহিলা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ ডঃ আবদুর রহমান।

দূর থেকে অনেকেই তার বাগান দেখতে আসছেন। তার বাগানে শোভা পাচ্ছে ড্রাগন ফল,পাশাপাশি ৭০ শতক জমিতে চাষ করেছেন মাল্টা লেবু ও আম্রপালি জাতের আম। 

তিনি জানান, তিন বছর আগে উচ্চমূল্যের ড্রাগন চাষের বিষয়টি জানতে পারেন তিনি। ড্রাগন চাষ তার কাছে একেবারেই নতুন ছিল। স্থানীয় কৃষি বিভাগের সহযোগিতা ও পরামর্শে শুরু করেন বাড়ির পাশের ফলের বাগানটি। পাশাপাশি একই জমিতে মাল্টা, লেবু ও আমের চাষও করেন। অল্প দিনেই বেড়ে ওঠে বাগানটি। বাগানে বর্তমানে ১৬০টি ড্রাগন গাছ, ৫০টি মাল্টার গাছ, লেবুর ৭০টি গাছ এবং আম্রপালির ৩৫টি গাছ রয়েছে। ড্রাগন চাষে খরচ একটু বেশি হলেও লাভও বেশি।

অন্যদিকে, উপজেলার দোকলাখালী গ্রামের কৃষক মো. হাবিবুর রহামান ড্রাগন চাষে লাভের মুখ দেখেছেন। 

হাবিবুর রহমানের বাগানে দেখা যায়, প্রায় পাঁচ ফুট উচ্চতার প্রতিটি কংক্রিটের খুঁটি পেঁচিয়ে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে আছে ড্রাগন ফলের গাছ। প্রতিটি গাছে ঝুলছে ৬ থেকে ৮টি করে কাঁচা, পাকা ও আধা পাকা ড্রাগন ফল। একই জমিতে সাথী ফসল হিসেবে রয়েছে আম, পেঁপে ও লেবু গাছ।

এ বিষয়ে হাবিবুর রহমান জানান, ড্রাগন ফল চাষ লাভজনক। অল্প পুঁজিতেও এটি চাষ করা যায়। আমি দুই বছর পূর্বে শখের বসে ৫০ শতাংশ জমিতে ৪০০ চারা রোপণ করি। ইনশাআল্লাহ এবারে কয়েক লাখ টাকা বিক্রি করতে পারবো। চিন্তা করছি ড্রাগন ফলের চাষ আরও বাড়াবো।  

উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো. আরাফাত হোসেন বলেন, আমরা প্রকল্পের আওতায় আগ্রহী কৃষকদের প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকি। বাণিজ্যিকভাবে ড্রাগন চাষ করার জন্য উপজেলা কৃষি অফিস থেকে কৃষকদের উৎসাহিত করা হচ্ছে।

প্রতিনিধি/এনএইচ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়