শিরোনাম
◈ সাংবাদিককে কনুই মারলেন বিএনপি নেতা সালাম, ভিডিও ভাইরাল ◈ বাংলাদেশিদের জন্য ভারতীয় ভিসা ইস্যুতে যে পদক্ষেপ নিল ভারতীয় দূতাবাস ◈ গণভোটের বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানা যাবে সোমবার! ◈ দুর্দান্ত ব‌্যা‌টিং‌য়ে অঙ্কনের শতক, ঘুরে দাঁড়ালো ঢাকা বিভাগ  ◈ ৯১ সালে জামায়াত সমর্থন না দিলে বিএনপি এ পর্যায়ে আসতো না: তাহের ◈ ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশ নিয়ে বিএনপি কী কিছুটা বেকায়দায় পড়েছে ◈ সংসদ নির্বাচনের পর ফেব্রুয়ারিতেই একুশে বইমেলা আয়োজনের সিদ্ধান্ত ◈ মনোনয়ন নয়, দল ও দেশ বড়—মনোনয়নবঞ্চিতদের প্রতি তারেক রহমানের আহ্বান ◈ দোষী বা নির্দোষের বাইরে ইনুর বক্তব্য আমলে নেয়ার সুযোগ নেই: চিফ প্রসিকিউটর ◈ ট্রাম্পের নীতিতে পরিবর্তন: মানবাধিকার নয়, এখন গুরুত্ব আঞ্চলিক স্থিতিশীলতায়

প্রকাশিত : ০২ নভেম্বর, ২০২৫, ০২:৪৫ দুপুর
আপডেট : ০৩ নভেম্বর, ২০২৫, ১২:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

দেশেই ড্রোন ও অস্ত্র উৎপাদন: প্রতিষ্ঠা হচ্ছে বিশেষায়িত ডিফেন্স ইকোনমিক জোন

প্রতিরক্ষাখাতের আধুনিকায়ন ও আত্মনির্ভরশীলতা অর্জনের লক্ষ্যে ‘সামরিক অর্থনৈতিক অঞ্চল’ স্থাপন করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ সরকার। এর ফলে দেশেই ড্রোন, সাইবার প্রযুক্তিগত ব্যবস্থাসহ বিভিন্ন ধরণের অস্ত্র ও গোলাবারুদ উৎপাদন হবে। নিজেদের চাহিদা পূরণ করে এসব অস্ত্র আবার রপ্তানিও করা হবে।

স্বনির্ভর একটি প্রতিরক্ষা শিল্পের ভিত্তি গড়ে তোলার বৃহত্তর পরিকল্পনার অংশ হিসেবে এই উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এ শিল্পের বিকাশে দীর্ঘমেয়াদে প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ প্রয়োজন হবে।

জানা গেছে, চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক সভায় বিশেষায়িত ডিফেন্স ইকোনমিক জোন স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভায় উচ্চ পর্যায়ের সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সভায় অংশগ্রহণকারীরা তুরস্ক বা পাকিস্তানের নীতিমালা অনুসরণ করে একটি স্থায়ী সমন্বয় কাঠামো গঠন করার পরামর্শ দেন, যা প্রতিরক্ষা শিল্প বিকাশের অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ করবে।

এ ছাড়া বৈঠকে ‘প্রতিরক্ষা শিল্প উন্নয়ন সম্পর্কিত জাতীয় নীতিমালা’ প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের জন্য প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বা উপদেষ্টাকে সভাপতি করে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। একইসঙ্গে সামগ্রিক অগ্রগতি তদারকির জন্য ‘বাংলাদেশ জাতীয় প্রতিরক্ষা শিল্প-উন্নয়ন সমন্বয় পরিষদ’ নামে আরেকটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।

বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী সম্প্রতি একটি গণমাধ্যমকে বলেন, প্রতিরক্ষা শিল্পে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে বিশেষায়িত ডিফেন্স ইকোনমিক জোন স্থাপনের বিষয়ে কাজ চলছে। 

তিনি আরও বলেন, জোনটি কোন এলাকায়, কি পরিমাণ জমি নিয়ে স্থাপন করা হবে, তা এখনও নির্ধারিত হয়নি। আমরা এখন পলিসি ও সাংগঠনিক কাঠামো নিয়ে কাজ করছি। বিভিন্ন বন্ধুসুলভ দেশের সঙ্গে কথা হচ্ছে। প্রতিরক্ষা শিল্পকে রপ্তানিমুখী শিল্পে পরিণত করার লক্ষ্যও রয়েছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, পাকিস্তান, ভারত ও চীনসহ অনেক দেশ প্রতিরক্ষা শিল্পে মিলিয়ন-বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করছে। অথচ, স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরও বাংলাদেশ প্রতিরক্ষা শিল্পে খুব একটা অগ্রসর হতে পারেনি। অথচ, সামরিক শিল্পে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে আঞ্চলিক দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ কমপক্ষে পাকিস্তানের সমকক্ষ হবার সামর্থ্য রাখে। জাতীয় স্বার্থ রক্ষায় যেকোন মূল্যে প্রতিরক্ষা বাহিনী ও শিল্পকে শক্তিশালী করার জন্য এই উদ্যোগ নেওয়া উচিত।

 

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়