শিরোনাম
◈ চালক-যাত্রীদের অনুরোধেও সড়ক ছাড়েননি ছাত্র-জনতা ◈ আজ সন্ধ্যায় দেশে পৌঁছাবে ওসমান হাদির মরদেহ, শনিবার জানাজা ◈ তারেক রহমানের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠতে পারে যে দুই ইস্যু ◈ যেভাবে বিপ্লবী হয়ে উঠেছিলেন শরিফ ওসমান হাদি ◈ ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বিক্ষুব্ধ জনতার আগুন-ভাঙচুর (ভিডিও) ◈ শাহবাগে ছাত্র-জনতার বিক্ষোভে যোগ দিলেন নাহিদ-আসিফ (ভিডিও) ◈ হাদির মৃত্যু: চট্টগ্রামে নওফেলের বাড়িতে আগুন-ভাঙচুর ◈ কারওয়ান বাজারে প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার অফিসে হামলা-ভাঙচুর (ভিডিও) ◈ দেশে ফিরলে তারেক রহমানকে এসএসএফের নিরাপত্তা দেবে সরকার ◈ ‘ভাইয়া আমার বাচ্চাটারে একটু দেইখেন’—বলে কেঁদেছিলেন হাদি (ভিডিও)

প্রকাশিত : ৩১ অক্টোবর, ২০২৫, ১০:১৬ দুপুর
আপডেট : ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫, ০৫:০০ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

৭ দফা দাবি না মানলে ১ নভেম্বর থেকে ডিম-মুরগি উৎপাদন বন্ধের ঘোষণা দিলো বিপিএ

কর্পোরেট সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্যে পোলট্রি খাত ‘ধ্বংসের পথে’ যাওয়ার প্রতিবাদে এবং প্রান্তিক খামারিদের অধিকার রক্ষার স্বার্থে তাদের ৭ দফা দাবি বাস্তবায়ন না হলে শনিবার (১ নভেম্বর) থেকে সারা দেশে ডিম ও মুরগি উৎপাদনকারী খামার ও উৎপাদন পর্যায়ক্রমে বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে প্রান্তিক খামারিদের সংগঠন বাংলাদেশ পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএ)।

বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এই ঘোষণা দেওয়া হয়। বিবৃতিতে বলা হয়, এই খাতটি ধ্বংসের মুখে থাকায় ৫০ থেকে ৬০ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান ঝুঁকির মুখে, যার মধ্যে ৪০% নারী ও ৬০% শিক্ষিত বেকার যুবক। 

বিপিএ জানিয়েছে, সরকারের নীরবতা ও কর্পোরেট সিন্ডিকেটের প্রভাবের কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে ফিড উৎপাদনের মূল কাঁচামাল যেমন সয়াবিন মিল, ভুট্টা, অ্যামিনো অ্যাসিড ও ভিটামিন প্রিমিক্সের দাম টানা ৩ বছর ধরে নিম্নমুখী থাকলেও বাংলাদেশের বাজারে এর সম্পূর্ণ বিপরীত চিত্র দেখা যাচ্ছে।

বিবৃতিতে বিপিএ অভিযোগ করেছে, দেশে কয়েকটি কর্পোরেট সিন্ডিকেট একচেটিয়া ফিডের বাজার দখল করে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করছে, যার ফলে ফিড, বাচ্চা ও ওষুধের দাম লাগামহীনভাবে বেড়ে চলেছে। এর ফলে প্রান্তিক খামারিরা প্রতিদিন ক্ষতির মুখে পড়ে টিকে থাকার লড়াই চালাচ্ছেন এবং দেশের সবচেয়ে বড় এই কৃষিভিত্তিক খাতটি আজ ভয়াবহ সংকটে। 

এই পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণ পেতে এবং পোলট্রি শিল্পের অস্তিত্ব রক্ষার স্বার্থে বিপিএ ৭ দফা দাবি ঘোষণা করেছে। বিপিএ-এর ৭ দফা দাবিগুলো হলো:

১. কর্পোরেট সিন্ডিকেট ভেঙে দিয়ে ফিড, বাচ্চা, মেডিসিন ও ভ্যাকসিনের দাম সরকার কর্তৃক নির্ধারণ করতে হবে।
২. কর্পোরেট প্রভাবমুক্ত, ন্যায্য ও স্বচ্ছ বাজারব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে।
৩. প্রান্তিক খামারিদের সংগঠনকে নীতিনির্ধারণ পর্যায়ে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
৪. ফিড, বাচ্চা ও ওষুধের বাজারে নিয়মিত অডিট ও প্রকাশযোগ্য প্রতিবেদন ব্যবস্থা চালু করতে হবে।
৫. উৎপাদন খরচ অনুযায়ী ১০% লাভ যুক্ত করে ডিম ও মুরগির ন্যায্য দাম নির্ধারণ করতে হবে।
৬. ক্ষতিগ্রস্ত খামারিদের জন্য জামানতবিহীন ঋণ, প্রণোদনা ও ভর্তুকি দিতে হবে।
৭. নীতিনির্ধারণী পর্যায় দুর্নীতিগ্রস্ত ও কর্পোরেটপন্থী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিতে হবে।

সূত্র: যুগান্তর 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়