নিজস্ব প্রতিবেদক : জুন মাসে ২৫ হাজার মেট্রিক টন গ্যাসোলিন ৯৫ আনলেডেড (অকটেন) আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকার। ইন্দোনেশিয়া থেকে এই অকটেন আমদানিতে ব্যয় হবে ২০৮ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। বুধবার (২৫ জুন) দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির ২৪তম সভায় এ সংক্রান্ত প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়।
উপদেষ্টা বলেন, হরমুজের কারণে কোনো প্রভাব পড়েনি। ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের ভেতরেও জ্বালানি কেনার ক্ষেত্রে সাশ্রয় হয়েছে। সংঘাত শুরুর আগে যে প্রাইস ছিল, যুদ্ধ বন্ধের পর তা কমেছে। ইমিডিয়েটলি আমরা রি-টেন্ডার করে ৫ থেকে ১০ ডলার কমে পেয়েছি। সেখানে প্রায় ৭০-৮০ কোটি টাকা সাশ্রয় হয়েছে। এটা এনার্জি মন্ত্রণালয়ের একটা কৃতিত্ব।
তিনি বলেন, মরক্কো ও তিউনিসিয়া থেকে আমদানিকৃত সারের দাম কিছুটা বেড়েছে। সেখানে আমাদের কিছু করার ছিল না।
বৈঠক সূত্র জানায়, সভায় সর্বমোট সাতটি প্রস্তাব উপস্থাপিত হয় যার সবগুলোই অনুমোদন দেওয়া হয়। এর মধ্যে কৃষি মন্ত্রণালয়ের তিনটি, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের তিনটি এবং খাদ্য মন্ত্রণালয়ের একটি প্রস্তাব ছিল।
জানা গেছে, ইন্দোনেশিয়ার পিটি বুমি সিয়াক পুসাকো জাপিন (বিএসপি) থেকে এই অকটেন আমদানিতে ব্যয় হবে ২০৮ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের প্রস্তাব অনুযায়ী জুনে ২৫ হাজার মেট্রিক টন গ্যাসোলিন ৯৫ আনলেডেড (অকটেন) আমদানির অনুমোদন দেয় সরকার। এতে প্রতি ব্যারেলের প্রিমিয়াম মূল্য ধরা হয়েছে ৫.৯৩ মার্কিন ডলার এবং রেফারেন্স মূল্য ৭৩.৬১০ মার্কিন ডলার।
এদিকে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের আরেক প্রস্তাবে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান থেকে জি-টু-জি (এ২এ) ভিত্তিতে মেয়াদি চুক্তির আওতায় পরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানির জন্য জুলাই-ডিসেম্বর ২০২৫ সময়ের প্রিমিয়াম ও রেফারেন্স মূল্যের ভিত্তিতে ক্রয় প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এই পরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানিতে ব্যয় হবে ১০ হাজার ছয় কোটি ৬৩ লাখ টাকা।
সুপারিশকৃত দরদাতা সাত প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে থাইল্যান্ডের পিটিটিটি, আরব আমিরাতে ইএনওসি, চীনের প্রেট্রোচীনা ও ইউনিপেক, ইন্দোনেশিয়ার বিএসপি, মালয়েশিয়ার পিটিএলসিএল এবং ভরতের আইওসিএল।