মনজুর এ আজিজ : ফের গতি ফিরে এসেছে পুঁজিবাজারে। আড়াই মাসের স্থবিরতা ভেঙে সোমবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন হয়েছে ৫৮৪ কোটি টাকা। যা গত ২৫ ফেব্রুয়ারির পর সর্বোচ্চ। অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে লেনদেন চলছে। ডিএসই ও সিএসই সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৮ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪,৯৬৪ পয়েন্টে। আগের দিন এ সূচক ছিল ৪,৯৫৬ পয়েন্টে, আর লেনদেন থেমেছিল ৩৯৯ কোটি ৩৩ লাখ টাকায়। এদিন সকাল থেকেই সূচকে ছিল ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা। বাজারের গতি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে লেনদেনের পরিমাণও বাড়তে থাকে। যদিও শেষ ঘণ্টায় কিছুটা মুনাফা সংবরণ করতে দেখা যায় বিনিয়োগকারীদের। তবে তাতেও দিন শেষে সূচক থেকে যায় ইতিবাচক।
গত মার্চ থেকে ধারাবাহিকভাবে নেতিবাচক ধারা বজায় থাকায় লেনদেন কমে যায় ৫০০ কোটির নিচে। এপ্রিলের ১০ তারিখের পর তা আরও সংকুচিত হয়ে ৩০০ কোটির নিচে চলে যায়। সবচেয়ে কম লেনদেন হয় ২৯ এপ্রিল, মাত্র ২৯১ কোটি টাকা, যা ছিল পাঁচ মাসের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বনিম্ন।
মার্জিন লোন নীতিমালায় কড়াকড়ির সুপারিশসহ টাস্কফোর্সের প্রতিবেদন বাজারে আরও চাপ সৃষ্টি করে। এতে বিনিয়োগকারীদের আস্থা হয় এবং বড় পুঁজির কোম্পানির শেয়ার দরেও প্রভাব পড়ে।
সব সময়ের মতো ব্যাংক, ওষুধ ও রসায়ন এবং জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতের কোম্পানিগুলোর লেনদেনে কিছুটা ভাটা দেখা গেলেও মিউচুয়াল ফান্ড ও বস্ত্র খাতের বিনিয়োগকারীরা দিনটিতে তুলনামূলক ভালো মুনাফা করেন।
ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, সোমবার ৪০০টি তালিকাভুক্ত কোম্পানির মধ্যে ১৭৩টির শেয়ার দর বেড়েছে, কমেছে ১৬৯টির, আর ৫৮টির শেয়ার আগের দামে লেনদেন হয়।
বিভাগ অনুসারে, সর্বোচ্চ ১৮ শতাংশ লেনদেন হয় ব্যাংক খাতে, যার টাকার পরিমাণ প্রায় ৭৪ কোটি ৫০ লাখ। দ্বিতীয় স্থানে ছিল খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাত (৫০ কোটি ৮০ লাখ), আর তৃতীয় স্থানে জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাত (৪০ কোটি টাকা)।
দিনের শীর্ষ দরবৃদ্ধিকারী কোম্পানি ছিল বসুন্ধরা পেপার মিলস, বারাকা পাওয়ার এবং এসইএমএল পিবিএসএল গ্রোথ ফান্ড। বিপরীতে সবচেয়ে বেশি দর হারায় খুলনা পাওয়ার, রেনউইক যজ্ঞেশ্বর অ্যান্ড কোম্পানি ও এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশন।