শিরোনাম
◈ ৩২ বছর পর হতে যাচ্ছে জাকসু নির্বাচন, তারিখ ঘোষণা ◈ মানবিক করিডর আসলে কী, বিশ্বের কোথায় কতটা কার্যকর? ◈ ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ কি আসন্ন, হুঙ্কার-পাল্টা হুঙ্কার ◈ ব্রাজিলের কোচ হওয়ার স্বপ্ন সফল হ‌লো না আনচেলত্তির, রিয়াল মা‌দ্রিদেই থাক‌তে হ‌চ্ছে ◈ বাংলাদেশে বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনে আগ্রহী চীন ◈ উপদেষ্টা আসিফের পদত্যাগ দাবিতে বিক্ষোভ, ব্যানার কেড়ে নেয়ায় ওসির গায়ে হাত তুলতে তেড়ে আসেন বিক্ষোভকারীরা (ভিডিও) ◈ আজ মহান মে দিবস ◈ নতুন আইন হচ্ছে র‍্যাবকে ব্যক্তিস্বার্থে ব্যবহার ঠেকাতে ◈ চলতি মাসে ২৯ দিনে রেমিট্যান্স এলো ২৬০ কোটি ৭৬ লাখ ডলার ◈ মন্ত্রিপরিষদকে নির্বাচন কমিশনের ১২ প্রস্তাব

প্রকাশিত : ২২ জুলাই, ২০২৪, ০২:০১ দুপুর
আপডেট : ০৭ এপ্রিল, ২০২৫, ০৮:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

চলমান সহিংসতা ক্ষতির মুখে রফতানি আয়, যা বললেন অর্থনীতিবিদরা

চলমান সহিংসতা ও কারফিউর মতো জরুরি অবস্থা দীর্ঘ হলে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়বে দেশের তৈরি পোশাক শিল্প। এমনই শঙ্কার কথা জানাচ্ছে এ শিল্পের দুই শীর্ষ সংগঠন। প্রয়োজনে করোনা সংকট মোকাবিলার অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে বিশেষ ব্যবস্থাপনায় উৎপাদন চালু রাখার তাগাদা দিয়েছে সংগঠন দুটি। এদিকে, দেশের ভাবমূর্তি সংকটে পড়ার আগেই আমদানি-রফতানি প্রক্রিয়া সচল রাখতে সরকারকে উদ্যোগী হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন অর্থনীতিবিদরা। সূত্র : সময়টিভি

চলমান সহিংসতা নিয়ন্ত্রণে একদিকে সারা দেশে চলছে অনির্দিষ্টকালের কারফিউ। অন্যদিকে, সরকারের নির্বাহী ক্ষমতায় ঘোষণা করা রোববার থেকে দুদিনের সাধারণ ছুটির আওতায় বন্ধ রাখা হয়েছে তৈরি পোশাকসহ সব ধরনের কলকারখানা।

এমন জরুরি অবস্থা দীর্ঘ হলে বড় ধরনের মাশুল গোনার শঙ্কায় পড়েছেন তৈরি পোশাক শিল্পের উদ্যোক্তারা। কারণ দ্রুত পরিবর্তনশীল ফ্যাশনের যুগে পণ্য সরবরাহও করতে হয় অল্প সময়ের মধ্যে। অথচ কারফিউ চলায় পোশাক শ্রমিকরা আসতে পারছেন না কারখানায়।

বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুত ও রফতানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) সভাপতি এস এম মান্নান (কচি) সময় সংবাদকে বলেন, যত দ্রুত সম্ভব পোশাক শিল্প চালু করতে তিনি সরকার ও সবার ঐকান্তিক সহযোগিতা কামনা করেন।

বাংলাদেশ নিট পোশাক প্রস্তুত ও রফতানিকারক সমিতি (বিকেএমইএ) সহ-সভাপতি ফজলে শামীম এহসান বলেন, ‘কারফিউর কারণে আমাদের শ্রমিকদের চলাচলের কোনো অবস্থা নেই। শ্রমিকদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখছি। কিন্তু খুব বেশি সময় এভাবে বন্ধ রাখা সম্ভব হবে না। কারণ আমাদের শিডিউলের একটা চাপ থাকে।’
 
পরিস্থিতি বুঝে প্রয়োজন হলে করোনার মতো সংকট মোকাবেলার অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে আমদানি-রফতানির চাকা সচল রাখতে সরকারকে বিশেষ উদ্যোগ নেয়ার দাবি এ দুই সংগঠনেরই।
 
এ বিষয়ে ফজলে শামীম এহসান বলেন, ‘কোভিডের সময় আমাদের এখানে ওই রকমভাবে বন্ধ রাখা হয়নি। ফলে অন্যান্য দেশের তুলনায় আমরা ভালো করেছিলাম। সেই অভিজ্ঞতা থেকে আমি বলছি, আমাদের খুব বেশি বন্ধ রাখার সুযোগ নেই। কারফিউ কনটিনিউ হলে এক থেকে দুদিনের মধ্যেই আমাদেরকে কারফিউর আওতামুক্ত করা উচিত।’ 

অর্থনীতিবিদ ড. মাহফুজ কবীর বলেন, ‘চলমান পরিস্থিতিতে ব্যবসা-বাণিজ্যে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষতি হওয়ার পর্যায়ে পৌঁছে গেছে; ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে দেশের কর্মসংস্থানও। সব মিলিয়ে সারা দেশে আতঙ্কের মতো পরিবেশ তৈরি হয়েছে, যা আমরা চাই না। এ অবস্থায় দেশের অর্থনীতির স্বার্থে পরিস্থিতির শান্তিপূর্ণ সমাধান হওয়া উচিত।’
 
একই সঙ্গে দ্রুত ইন্টারনেট সেবা চালু করে বিদেশি ক্রেতাদের সঙ্গে হালনাগাদ তথ্য আদান-প্রদান করে তাদের শঙ্কা দূর করারও তাগিদ দিচ্ছেন খাত সংশ্লিষ্টরা।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়