শিরোনাম
◈ পাসপোর্ট অফিসে ভোগান্তি কিছুটা কমেছে, জনবল বাড়ানোর তাগিদ  ◈ কিরগিজস্তানের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে, বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের ঘরে থাকার পরামর্শ দূতাবাসের ◈ কিরগিজস্তানে বিদেশি শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা: সাহায্য চাইলেন বাংলাদেশিরা  ◈ সংসদ ভবন এলাকায় দুই প‌ক্ষে‌র সংঘর্ষে শিক্ষার্থী নিহত ◈ আবারও বাড়লো সোনার দাম, ভরি ১১৮৪৬০ টাকা ◈ ভেবেছিলাম দেশের সমস্যা ক্ষণস্থায়ী, এখন আরও বেড়েছে: এডিটরস গিল্ড ◈ দেশের উন্নয়ন দেখে বিএনপি’র মাথা খারাপ হয়ে গেছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ যুক্তরাষ্ট্র স্মার্ট প্রাণিসম্পদ প্রকল্পে ৩৪ মিলিয়ন ডলার সহায়তা দিবে ◈ সিটি টোলের নামে চাঁদাবাজি বন্ধ হলে কাঁচাবাজারে দাম কমবে: সাঈদ খোকন ◈ নরসিংদীতে পৃথক বজ্রপাতের ঘটনায় মা-ছেলেসহ চারজন নিহত

প্রকাশিত : ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ০৫:৫৭ বিকাল
আপডেট : ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ০৫:৫৭ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

তীব্র খরায় পুড়ছে বরেন্দ্র অঞ্চলের কৃষকের স্বপ্ন

ক্রমাগত খরায় পাবনায় লিচু ও আমের গুটি ঝরে পড়ায় হতাশ কৃষক

আবুল কালাম আজাদ, পাবনা: [২] লিচুর রাজধানী হিসেবে খ্যাত পাবনার ঈশ্বরদীসহ কয়েকটি উপজেলায় প্রচন্ড খরা ও তীব্র তাপদাহে লিচু ও আমের বোঁটা শুকিয়ে ঝড়ে যাচ্ছে। গাছের গোড়ায় পানি দিয়েও গুটি ঝরা রোধ করা যাচ্ছেনা। ফলে লিচুর ফলন বিপর্যয়ের আশঙ্কা করছেন চাষিরা।

[৩] রসালো ও সুস্বাদু লিচু উৎপাদনের জন্য বিখ্যাত পাবনার ঈশ্বরদী, সদর, সুজানগর চাটমোহর, আটঘরিয়াতে বৈশাখের মাঝামাঝিতে গাছে মুকুল আসে এবং চৈত্র মাসে মুকুল থেকে লিচুর সবুজ গুটি দেখা যায়। এখন লিচু গাছের দিকে তাকালেই চোখে পড়ে ছোট ছোট সবুজ গুটি। এ বছর প্রতিটি গাছে রেকর্ড পরিমাণ মুকুল এসেছিল। মুকুল থেকে গুটিও বেশ ভালো হয়। তাই এবার চাষিরা লিচুর ভালো ফলনের আশায় বুক বেধেছিলেন। কিন্তু গত ২৮ মার্চ থেকে অদ্যবধি ২০এপ্রিল পর্যন্ত টানা ২৪দিন প্রচন্ড তাপদাহে লিচুর গুটি ব্যাপভাবে ঝরে পড়ছে। বহু গাছে শুধু বোঁটা দেখা যাচ্ছে। তাই লিচু চাষিদের স্বপ্নভঙ্গের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

[৪] ঈশ্বরদী উপজেলার লিচুগ্রাম হিসেবে পরিচিত রাজাপুর, তিনগাছা, ব্যাংগারা, বক্তারপুর, জগন্নাথপুর, বাঁশেরবাদা, জয়নগর, মিরকামারী, মানিকনগর, সাহাপুর, আওতাপাড়া, চরসাহাপুরে লিচুর আবাদ হয় সবচেয়ে বেশি। সারিসারি লিচুর বাগানের পর বাগান। বিগত বছর গুলোর তুলনায় এবার লিচুর গুটি বেশি ছিল। প্রায় প্রতিটি গাছেই প্রচুর গুটি এসেছিল।কিন্তু  প্রচন্ড খরা বৈরি আবহাওয়া অর্থাৎ তীব্র তাপদহে যেভাবে লিচুর বোঁটা শুকিয়ে যাচ্ছে এবং গুটি ঝরে পড়ছে তাতে ফলনে বিপর্যয় হওয়ার আশংকা রয়েছে।  

[৫] রাজাপুর গ্রামের রওশন আলী জানান, তার ২০ বিঘা জমিতে লিচুর বাগান রয়েছে। তিনি বলেন,‘এবার লিচু গাছে রেকর্ড পরিমাণ মুকুল এসেছিল। চৈত্রের খরতাপে লিচুর গুটি খুব ক্ষতি হচ্ছে। এভাবে গুটি ঝরে পড়া অব্যাহত থাকলে আমাদের (লিচুচাষিদের) ভালো ফলনের স্বপ্নভঙ্গ হবে।’ তিনি জানান, টানা ২৪ দিন প্রচন্ড খরার কারণে গাছের লিচুর গুটি সব ঝরে যাচ্ছে। রাতে ও সকালে পানি ও ওষুধ স্প্রে করেও গুটি ঝরা রোধ করা যাচ্ছেনা। ‘দিনে প্রচন্ড গরম আবার রাতের আবহাওয়া ঠান্ডা থাকে। গরম-ঠান্ডার কারণে লিচুর গুটি ঝরে যাচ্ছে।’এই ভাবে গুটি ঝরে গেলে আশানুরুপের অর্ধেক লিচু ও পাবোনা।

[৬] বাশেরবাদা গ্রামের আদর্শ লিচু চাষি রফিকুল ইসলাম বলেন, আমার আড়াই বিঘা জমিতে লিচুর বাগান আছে। লিচুর গুটি ঝরা রোধে পুরো বাগান লাঙ্গল দিয়ে নালা করে পানি দিয়ে ভিজিয়ে রেখেও গুটি ঝরা বন্ধ করতে পারছিনা। তিনি বলেন, গত বছর শ্যালো মেসিন মালিক ঘন্টাপ্রতি ২,০০০ (দুই) হাজার টাকা নিলেও এবার সেখানে দিতে হচ্ছে ২,৫০০ টাকা। এছাড়া কীটনাশকের দাম অত্যধিক বেড়েছে। প্রচুর খরচ করেও লিচুতে এবার দুঃখ।” তিনি গত বছর তার বাগান থেকে ৭,২৪,০০০ টাকা আয় করেছিলেন। এবার ২ লাখ টাকা আসবে কিনা সংশয় প্রকাশ করেন।

[৭] ব্যাংগারা গ্রামের লিচু চাষি বিধবা নারী চাম্পা খাতুন আড়াই বিঘা লিচুর বাগানে পানি দিতে দিতে হাঁপিয়ে উঠেছেন। তিনি বলেন, আর পানি দেয়ার মত অর্থ নেই; তদারকি ছেড়ে দিয়েছি-যা থাকে কপালে। তিনগাছা গ্রামের বিপ্লব হোসেন ও আসলাম হোসেন জানান, তারা ২২ বিঘা জমিতে লিচুর বাগানে এ পর্যন্ত ৬ বার পানি কিনে দিয়েছেন। এক দিকে পানি দেয়া হচ্ছে; আরেকদিকে সঙ্গে সঙ্গে মাটি পানি চুষে খাচ্ছে। খরার যে অবস্থা; তাতে ফলন তো দূরে থাক-এক চতুর্থাংশ লিচুও পাওয়া যাবেনা বলে তারা সংশয় প্রকাশ করেন।

[৮] কীটনাশক ও সার ব্যবসায়ীরা বলেন,‘এবার প্রচন্ড খরার কারণে লিচুর গুটি ঝরে পড়ছে। চাষিরা গুটি ঝরা রোধ করতে আমাদের কাছে এসে পরামর্শ চাইছেন। আমরা কৃষি কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে গুটি ঝরা রোধে চাষিদের কীটনাশক দিচ্ছি।’

[৯] ঈশ্বরদী উপজেলা কৃষিকর্মকর্তা মিতা সরকার বলেন, ঈশ্বরদীতেই এ বছরঈশ্বরদীতে ৩ হাজার ১০০ হেক্টর জমিতে লিচুর আবাদ হয়েছে এবং উৎপাদনের লক্ষ্য মাত্রা রয়েছে ১০ মেট্রিকটন। বৈশাখ মাসে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় প্রতিটি লিচুগাছে এবার ভালো মুকুল এসেছিল। লিচুর ভালো ফলনের আশাও করেছিল কৃষিবিভাগ। কিন্তু প্রচন্ড খরা ও তীব্রতাপ প্রবাহে লিচুর গুটি ঝরে যাচ্ছে প্রচুর। এমতাবস্থায় লিচুর গুটি ঝরা রোধে চাষিদের সঠিকভাবে লিচুবাগান পরিচর্যা করা ও প্রয়োজন মতো কীটনাশক ব্যবহারেরপরামর্শ দেয়া হচ্ছে।

[১০] পাবনা কৃষিসম্প্রসারণ বিভাগের উপপরিচালক ড. জামাল উদ্দিন জানান, এবছর পাবনা জেলায় লিচুর বাগান রয়েছে ৪,৭২১ হেক্টর এবং উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩৭,৭৬৮ মেট্রিকটন। আমের বাগান রয়েছে ২,৭৩০ হেক্টর এবং উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৪০,৯০০ মেট্রিক টন। গুটি ধরে রাখতে চাষিদের উপযুক্ত পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। গাছের গোড়ায় পর্যাপ্ত পরিমাই পানি দেয়ার মাধ্যমে গুটি ঝরা অনেকটা রোধ করা সম্ভব বলে চাষিদের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। উপসহকারী কৃষিকর্মকর্তারা সার্বক্ষণিক বাগানে গিয়ে কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছেন।

[১১] তবে এবারের প্রচন্ড খরার কারণে লিচু ও আমের গুটি ঝরে পড়ায় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ না হওয়ার আশংকা প্রকাশ করেন এই কৃষিকর্মকর্তা।  
উল্লেখ্য, পাবনায় টানা খরতাপের পর এখানে তাপমাত্রার পারদ তীব্রতারপর্যায়ে পৌঁছেছে। এদিন এখানে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪০ দশমিক ৬ডিগ্রি  সেলসিয়াস। চলতি মৌসুমে পাবনায় এটিই সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।

[১২] পাবনার ঈশ্বরদী আবহাওয়া অফিসের পর্যোবেক্ষক নাজমুল হক রঞ্জন জানান, বেশ কিছুদিন যাবৎ পাবনা অঞ্চলে প্রচন্ড খরা ও তাপ প্রববাহ চলছে। তিনি বলেন, পাবনায় তীব্র তাপদাহ শুরু হয়েছে। এদিন বিকেল তিনটায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪০ দশমিক ৬ডিগ্রি সেলসিয়াস। বৃষ্টি না হলে তাপমাত্রা বাড়বেই। আর আপাতত বৃষ্টির কোনো পূর্বাভাস নেই বলে এই কর্মকর্তা জানান।

[১৩] বরেন্দ্র অঞ্চলের অগণিত কৃষক পরিবারের প্রধান আয়ের উৎস কৃষি। চলতি মওসুমে অনাবৃষ্টি ও তীব্র খরায় বিপাকে পড়েছেন এ অঞ্চলের কৃষকরা। এ পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে গিয়ে জমিতে ঘন ঘন সেচ দিতে হচ্ছে তাদের। ফলে ফসলের উৎপাদন খরচ বেড়ে যাচ্ছে কয়েকগুণ। বর্তমানে তীব্র খরায় খাল-বিল শুকিয়ে গেছে। বোরো ধানসহ সব ধরনের ফসলের জমিতে কৃত্রিমভাবে সেচ দিতে গিয়ে বিপাকে পড়ছেন কৃষকরা। পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় সেচ যন্ত্রও বিকল হচ্ছে ঘন ঘন। এমন পরিস্থিতিতে লোকসানের আশঙ্কায় পেয়ে বসেছে সাধারণ চাষিদের।

[১৪] সরেজমিনে দেখা যায়, বৃষ্টির অভাবে শুকিয়ে যাচ্ছে থোকায় থোকায় আম ও লিচুগুটি। কেবল আম ও লিচুই নয়, সব ধরনের মৌসুমি ফল ছাড়াও তীব্র খরায় পুড়ছে মিষ্টি কুমড়া, ঢ্যাঁড়শ, বেগুন, পেঁপে, কাঁচকলার বাগান। এপ্রিলের শুরু থেকেই দেখা নেই বৃষ্টির। সময়মতো বৃষ্টি না হওয়ায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে পড়েছে বোরো আবাদ।

[১৫] তানোর উপজেলার গোল্লাপাড়া গ্রামের কৃষক জমির উদ্দিন বলেন, টানা অনাবৃষ্টির কারণে পানির স্তর নিচে নেমে গেছে। আগের তুলনায় সেচ যন্ত্র দিয়ে পানি পাওয়া যাচ্ছে অনেক কম। এজন্য ঘন ঘন সেচ দিতে হচ্ছে। এতে জ্বালানি খরচ বেড়ে যাচ্ছে কয়েকগুণ। ধান বিক্রি করে এবার উৎপাদন খরচ তোলা কঠিন হবে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি। 

[১৬] সবচেয়ে বেশি বিপদে পড়েছেন পাট চাষিরা। মাটি শুকিয়ে যাওয়ায় মৌসুম শুরু হলেও পাট চাষ করতে পারছেন না চাষিরা। বৃষ্টির অপেক্ষা করতে করতে পাট চাষের সময় চলে যাচ্ছে। কৃত্রিম সেচ দিয়ে পাট বপন করলেও স্বস্তিতে নেই চাষিরা। অনেকে সেচ দিয়ে পাট বুনলেও দেখা দিচ্ছে নানা রোগ। পাট গজানোর পরও তপ্ত মাটির কারণে মরে যাচ্ছে পাটের চারা।

[১৭] নওহাটা পৌরসভার পাইকপাড়া এলাকার সবজি চাষি বাহার উদ্দিন  বলেন, লেবু, কাঁচাকলা, মরিচসহ তরিতরকারি সবই এখন শুকিয়ে যাচ্ছে। সার-ওষুধেও কাজ হচ্ছে না। চাষিরা জানান, তীব্র এ খরায় সবজির গাছগুলো শুকিয়ে গেছে। ফলে সেচ দেয়ার কোনো ব্যবস্থা না থাকায় ঝরে পড়ছে গাছের ফল ও ফুল। আমচাষি ও ব্যবসায়ীরা বলছেন, রাজশাহী জেলার দুর্গাপুর, বাঘা, চারঘাট ও পুঠিয়া উপজেলায় সবচেয়ে বেশি আম চাষ হয়। এ বছর এসব উপজেলার আমের বাগানগুলোতে মুকুল এসেছিল চাহিদার তুলনায় অনেক কম। এরপর আবার গত কয়েক দিনের অতি তাপমাত্রায় আমের বোঁটা শুকিয়ে ঝরে পড়ে যাচ্ছে গুটি। এতে পানির সেচ ও নানা পদ্ধতি অবলম্বন করেও ঝরে পড়া ঠেকানো যাচ্ছে না।

[১৮] রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, জেলার ৯টি উপজেলায় ১৯ হাজার ৬০২ হেক্টর জমিতে আমবাগান রয়েছে। জেলায় এবার ২ লাখ ৬০ হাজার ১৬৪ টন আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। গতবার জেলার ১৯ হাজার ৫৭৮ হেক্টর জমি থেকে আমচাষিদের থেকে আয় হয়েছিল ১ হাজার ৫২৮ কোটি ২ লাখ ৯৯ হাজার ৭৭০ টাকা।

[১৯] এ ব্যাপারে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা বলেন, ক্ষেতে আর্দ্রতা ধরে রাখতে বিকেলে সেচ এবং স্প্রে দেয়াসহ কৃষকদের বিভিন্ন রকম পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। এদিকে, রাজশাহীতে পানির সঙ্কট আরও তীব্র আকার ধারণ করছে। ক্রমবর্ধমান হারে এই অঞ্চলে ভূ-গর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাচ্ছে। শুষ্ক মৌসুমে এ অঞ্চলের মানুষ দৈনন্দিন ব্যবহার্য এবং সেচের পানি পাচ্ছে না। জেলার তানোর উপজেলার মুন্ডুমালা পৌরসভার মাহালিপাড়া গ্রামে পৌরসভা ও স্থানীয় প্রশাসন ৭০০ ফুট পর্যন্ত বোরিং করেও পানির স্তর পায়নি। বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। বাঘায় অধিকাংশ টিউবওয়েলে পানি উঠছে না। বিশুদ্ধ খাবার পানির অভাব এখন প্রকট। উপজেলার বাজুবাঘা গ্রামের গৃহবধূ জায়দা বেগম বলেন, “গত দুই সপ্তাহ ধরে বাড়িতে বসানো টিউবওয়েলে পানি উঠছে না। পাশের বাড়ি থেকে পানি আনছি।

[২০] রাজশাহী আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, বুধবার দুপুর ৩টায় রাজশাহীতে সর্বোচ্চ ৪২.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। এছাড়া সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৭.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বনিম্ন তাপমাত্রার পারদও ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় রাতেও স্বস্তি মিলছে না। দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ঠেকলে তাকে মৃদু তাপপ্রবাহ বলা হয়। আর ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রিকে মাঝারি এবং ৪০ থেকে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রাকে ধরা হয় তীব্র তাপপ্রবাহ। গত ১৩ এপ্রিল থেকে রাজশাহীতে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রির এর বেশিই থাকছে। ১৮ এপ্রিল দুপুর ৩টায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।  গত ১৭ এপ্রিল ৪২.৬ ডিগ্রি, ১৬ এপ্রিল ৪০.৫ ডিগ্রি, ১৫ এপ্রিল ৩৯.৫ ডিগ্রি, ১৪ এপ্রিল ৪০.৬ ডিগ্রি, ১৩ এপ্রিল ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল। এর আগে জেলায় মাঝারি দাবদাহ বয়ে যাচ্ছিল। 

[২১] রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক আব্দুস সালাম জানান, “অব্যাহতভাবে দাবদাহ বাড়ছেই। যেভাবে তাপমাত্রা বাড়ছে, সামনে তাপমাত্রার সঠিক সমীকরণ বোঝা যাচ্ছে না। তবে ধারণা করছি আগামী কয়েকদিনে মধ্য বৃষ্টি হতে পারে। বৃষ্টি হলে তাপমাত্রা কমে আসবে। সম্পাদনা: এআর শাকিল

প্রতিনিধি/এআরএস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়