শিরোনাম
◈ ভালোবাসার শহর প্যারিসে বৃষ্টিভেজা রাতে শুরু হলো অলিম্পিকস ২০২৪ ◈ সজীব ওয়াজেদ জয়ের ৫৩তম জন্মবার্ষিকী আজ ◈ কারফিউ আরো শিথিলের সিদ্ধান্ত হবে আজ, জানালেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ একদফা দাবিতে জাতীয় ঐক্যের ডাক বিএনপির ◈ শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে পাকিস্তানকে হারিয়ে ফাইনালে শ্রীলঙ্কা  ◈ ডিবি হেফাজতে কোটা আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ◈ কোটা আন্দোলন: ঢামেকে চিকিৎসাধীন শিক্ষার্থীসহ তিন জনের মৃত্যু ◈ হেলিকপ্টার দিয়ে মানুষ হত্যার জবাব জনগণ একদিন আদায় করে নেবে: মির্জা ফখরুল ◈ প্রতিটি হামলার ঘটনার বিচার হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ সাম্প্রতিক সহিংসতায় আহতদের চিকিৎসার দায়িত্ব নেবে সরকার: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত : ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪, ০৯:১১ রাত
আপডেট : ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪, ০৯:১১ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

খালাতো ভাই সেজে ওয়ার্কসপ কর্মচারীকে হত্যা, মা-ছেলেসহ গ্রেপ্তার ৫

আরমান কবীর, টাঙ্গাইল: [২] টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে ওয়ার্কসপ কর্মচারীকে হত্যা মামলায় ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাতে অভিযান চালিয়ে আসামিদের বিভিন্ন জায়গা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

[৩] গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, জেলার ঘাটাইল উপজেলার কামারচালা গ্রামের সোহাগ (১৫), উপজেলার নিয়ামতপুর গ্রামের নাজমুল (২০), উপজেলার কামারচালা গ্রামের প্রধান আসামী সোহাগের মা খাদিজা (৩৩), উপজেলার নলমা গ্রামের সালমান জাহান জান্নাত (২১) ও জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার তরুনীআটা গ্রামের সাব্বির তালুকদার জীবন (১৭)। এ সময় লুন্ঠিত মোটরসাইকেলটিও উদ্ধার করা হয়।

[৪] সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) শরফুদ্দীন প্রেস ব্রিফ্রিংয়ে এ তথ্য জানান।

[৫] অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরফুদ্দীন বলেন, গত ২২ ফেব্রুয়ারি ঘাটাইল উপজেলায় মনির ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কসপের ভিতর থেকে নাহিদ হাসান (১৬) নামের এক ওয়ার্কসপ কর্মচারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ সময় হত্যাকারীরা একটি মোটরসাইকেল লুন্ঠন করে নিয়ে যান। পরে বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করে হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তার করা হয়। মামলার প্রধান আসামি হত্যার সাথে সরাসরি জড়িত সোহাগকে ঢাকার কদমতলী এলাকা থেকে ২৫ ফেব্রুয়ারি রাতে গ্রেপ্তার করা হয়। 

[৬] তিনি আরও জানান, তার তথ্য মতে অপর আসামী নাজমুলকে টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার পোড়াবাড়ীর বাস স্টেশন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। নাজমুলের দেওয়া তথ্য মতে খাদিজাকে গ্রেপ্তার করা হয়। খাদিজার দেওয়া তথ্য মতে অন্য দুই আসামীকে গ্রেপ্তার করা হয়। সোহাগ লুন্ঠিত মোটরসাইকেলের জন্য নাহিদকে হত্যা করে। এই হত্যা মামলার আসামী সোহাগ ছিল নাহিদের দু-সর্ম্পকের খালাতো ভাই। ঘটনার দিন তাদের ওয়ার্কসপের সামনে ঘুরাঘুরি করতে দেখা যায় তাকে। আশেপাশের যারা শ্রমিক ছিল তারা জিজ্ঞেস করলে সোহাগ বলে আমি নাহিদের খালাতো ভাই হই। সোহাগ রাতে নাহিদের সাথে ছিল।  

[৭] সোহাগকে জিজ্ঞেসাবাদ করা হলে সে জানায়, মোটরসাইকেলের জন্য তারা ওয়ার্কসপ কর্মচারীকে হত্যা করে। তার মূল পরিকল্পনা ছিল এই মোটরসাইকেল সে নিবে। পূর্ব-পরিকল্পিতভাবে নাহিদকে হত্যা করে মোটরসাইকেল নিয়ে যায়। এই মোটরসাইকেল সরানোর জন্য সহযোগিতা করেছে সোহাগের মা খাদিজা। খাদিজা অপর দুজন সালমান ও সাব্বিরকে ২০ হাজার টাকা দেয়। তারা দুজন মোটরসাইলে নিয়ে জামালপুর রেখে আসে। হত্যার আগে আসামিরা নাহিদকে নেশা খাইয়েছে। নাহিদ নেশা খেয়ে যখন ঢলে পরে। তারপর নাহিদকে কম্বল চাপা দিয়ে হত্যা করে। এ কথা আসামীরা স্বীকার করেছে। আসামীরা চারজন শ্রমিক তারা বিভিন্ন জায়গায় কাজ করে।

[৮] তিনি জানান, আসামীদের জিজ্ঞোসাবাদের জন্য আদালতে সাত দিনের রিমান্ড চাওয়া হবে। এ ঘটনার সাথে আরও কেউ জড়িত আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

প্রতিনিধি/এনএইচ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়