এম আর আমিন: চট্টগ্রামের সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তারের স্ত্রী মিতু হত্যাকাণ্ডে কিলিং মিশনে থাকা খাইরুল ইসলাম কালু নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার রাত ২টার দিকে নগরের আকবর শাহ থানাধীন ছিন্নমূল এলাকা থেকে তাকে গেপ্তার করা হয়।
কালু রাঙ্গুনিয়া উপজেলার বাসিন্দা। তিনি মিতু হত্যা মামলায় চার্জশিটভুক্ত আসামি।
ঘটনার ৮ বছর পর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) সহযোগিতায় রাঙ্গুনিয়া থানা পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। পিবিআইয়ের সহকারী পুলিশ সুপার নাঈমা সুলতানা জানান, নগরীর বিশ্ব কলোনী এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। সেখানে সে ছদ্মবেশে দীর্ঘদিন ধরে লুকিয়ে ছিলো। কিলিং মিশনে সে আরেক আসামি মূসার সঙ্গে ছিলো। মোটরসাইকেল থেকে সে মিতুকে লক্ষ্য করে গুলি করে। গত ২ মে চট্টগ্রামের তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ জসিম উদ্দিনের আদালতে মিতু হত্যা মামলায় অসমাপ্ত সাক্ষ্য দিয়েছেন মিতুর বাবা মোশাররফ হোসেন। গত ৯ এপ্রিল প্রথম সাক্ষী হিসেবে মোশাররফ হোসেনের সাক্ষ্যের মধ্য দিয়ে এ মামলার বিচার কার্যক্রম শুরু হয়।
তদন্ত শেষে পিবিআই ২০২১ সালের ১২ মে এ মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয়। একই দিন বাবুলের শ্বশুর সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা মোশাররফ বাদী হয়ে পাঁচলাইশ থানায় হত্যা মামলা করেন। এ মামলায় বাবুলসহ আটজনকে আসামি করা হয়। ওই মামলায় গত বছরের ১৩ সেপ্টেম্বর বাবুল আক্তারসহ সাতজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পিবিআই। সাতজন আসামির মধ্যে দুজন পলাতক, একজন জামিনে আর চারজন কারাগারে। অভিযোগপত্রে বলা হয়, ২০১৩ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত কক্সবাজার জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার থাকাকালে বাবুলের সঙ্গে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের নারী কর্মকর্তার সম্পর্ক হয়। এই সম্পর্কের জেরে বাবুলের পরিকল্পনায় মাহমুদাকে খুন করা হয়। সম্পাদনা: তারিক আল বান্না
এমআরএ/টিএবি/এসবি২
আপনার মতামত লিখুন :