শিরোনাম
◈ গভীর জঙ্গলে ৪০ দিন পর ৪ শিশুকে জীবিত পাওয়া গেল ◈ আদানির দুই ইউনিট থেকেই ২৫ জুন বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হওয়ার সম্ভাবনা ◈ বিএনপির সঙ্গে সংলাপের প্রদীপ এখনো নিভেনি: ওবায়দুল কাদের ◈ ঢাকায় সমাবেশ করার অনুমতি পেল জামায়াত ◈ এবার ‘বৃহত্তর নেপাল’ মানচিত্রে বাংলাদেশ! ◈ ইউক্রেনকে ২০০ কোটি ডলারের অস্ত্র সহায়তা দিতে যাচ্ছে আমেরিকা ◈ সিরাজুূল আলম খানের প্রতি  শ্রদ্ধা নিবেদন বায়তুল মোকাররম দক্ষিণ গেইটে ◈  ঢাকা-১৭ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোহাম্মদ এ আরাফাত ◈ বিএনপির সঙ্গে সংলাপ নয়, সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন: তথ্যমন্ত্রী ◈ তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা ছাড়া কোনো নির্বাচন হবে না: মির্জা ফখরুল

প্রকাশিত : ২৫ মে, ২০২৩, ০৭:০৬ বিকাল
আপডেট : ২৫ মে, ২০২৩, ০৭:০৬ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

রাজধানীর কদমতলিতে

গুপ্তধনের লোভ দেখিয়ে ৩০ লাখ টাকা আত্মসাৎ, গ্রেপ্তার ২

মাসুদ আলম: গুপ্তধনের লোভ দেখিয়ে ৩০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা পুলিশের মতিঝিল বিভাগ। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- মো. নজরুল ইসলাম ও মোহাম্মদ বাহাদুর মিয়া । তাদের কাছ থেকে পিতলের থালা, গামলা, ঘটি, আগরদানী, তাবিজ লেখার বই ও ২৯টি তাবিজের খোল উদ্ধার করা হয়।

বুধবার বিকেলে কদমতলী থানার গিরিধারা আবাসিক এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। ডিবি মতিঝিল বিভাগের সংঘবদ্ধ অপরাধ ও গাড়ি চুরি প্রতিরোধ টিমের সহকারী পুলিশ কমিশনার এস.এম হাসান সিদ্দিকী বলেন, ভিকটিম নুরুল আমিন পলাশ গত বছর আগস্ট মাসে তার ছোট বোনের ছেলেকে জ্বীনের আছর ছাড়াতে কবিরাজ আ. জলিলের দ্বারস্থ হন। 

জলিল বলেন তাকে বড় জ্বিনে আছর করেছে, এরপর তাদেরকে বড় জ্বীনের কবিরাজ নজরুলের মোবাইল ফোন নাম্বার দেয়। জলিল বলেন এ কবিরাজ মাটির নিচের গুপ্তধনের সন্ধানও দিতে পারে। এরপর একদিন নজরুল ও তার সহযোগী বাহাদুর পলাশের বোনের বাসা দিয়াবাড়িতে যায়। সেখানে পলাশের ভাগিনাকে ঝাড়-ফুঁকের এক পর্যায়ে বাহাদুর নাক-মুখ দিয়ে কৌশলে রক্ত বের করে ভয়ানক পরিস্থিতি সৃষ্টি করে। যা ভিকটিমের মনে বিশ্বাস জন্মায়।

তিনি আরও বলেন, কবিরাজ নজরুল ভিকটিম পলাশকে বলে তার সঙ্গে একজন জ্বীনপরী আছে। যার মাধ্যমে সে পলাশের বাড়িতে থাকা মাটির নিচের পুরোনো গুপ্তধন উঠিয়ে দিতে পারবে। তাদের কথামতো পলাশ বরিশালের কাঁঠালিয়া থানায় তার গ্রামের বাড়ির ঠিকানা দেন। কিছুক্ষণ পর নজরুল জানায়, পলাশের বাড়ির উত্তর পাশে মাটির নিচে একটি গুপ্তধনের ঘটি আছে। ঘটিটি জ্বীনেরা পাহারা দিয়ে রাখছে। গুপ্তধন উঠাতে হলে পাহারারত ৩০/৪০ জন জ্বীন মারা যাবে। মারা যাওয়া প্রতি জ্বীনের সাদকা হিসেবে গরু দিতে হবে। 

তিনি বলেন, গত বছরের ১১ সেপ্টেম্বর রাত ১১টায় নজরুল ও বাহাদুর ভিকটিম পলাশের ঘরের পাশে হতে মাটি খুঁড়ে কথিত গুপ্তধনের ঘটি এনে আলমারীতে রাখে। এরপর জ্বীনদের গরু সাদকা বাবদ ও গুপ্তধন ভর্তি ঘটির লোভ দেখিয়ে বিভিন্ন মাধ্যমে পলাশের কাছ থেকে ৩০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। গ্রেপ্তারকৃতরা সহজ সরল মানুষকে জ্বীন-পরীর বাদশা পরিচয় দিয়ে কৌশলে অলৌকিক ক্ষমতার কারিশমা দেখিয়ে নগদ অর্থ ও স্বর্ণালঙ্কার হাতিয়ে নিতো। এ ঘটনায় আ. জলিল ও মো. মিজানুর রহমানকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ডিএমপির ওয়ারী থানায় মামলা করা হয়েছে।  সম্পাদনা: শামসুল হক বসুনিয়া

এমএ/এসএইচবি/এএ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়