এমরান পাটোয়ারী: ১২ দিন পেরিয়ে গেলেও বাংলাদেশি কৃষক মেজবাহ উদ্দিনের মরদেহ ফেরত দেয়নি ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। পরশুরামের বাঁশপদুয়া সীমান্ত এলাকায় বিএসএফের গুলিতে ওই কৃষক নিহত হন বলে দাবি স্বজনদের। তার মরদেহ ফেরত পাওয়ার অপেক্ষায় সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়ার দিকে তাকিয়ে রয়েছেন স্ত্রী ও চার কন্যা সন্তানরা।
পুলিশ সূত্র জানায়, বুধবার (১৬ নভেম্বর) দিবাগত রাত ৩টার দিকে বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে সমাঝোতা বৈঠকের পর ভারতের সীমারেখার মধ্যে পড়ে থাকা মরদেহটি বিএসএফ নিয়ে যায়। পরদিন বৃহস্পতিবার মরদেহ ফেরত দেওয়া হবে বলে বৈঠকে প্রতিশ্রুতি দিলেও বিএসএফ এখনো মরদেহ ফেরত দেয়নি।
নিহত মেজবাহ উদ্দিনের স্ত্রী মনোয়ারা বেগম বলেন, গত ১৩ নভেম্বর সোমবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে আমার স্বামী বাঁশপদুয়া গ্রামের ভারতীয় সীমান্ত সংলগ্ন এলাকায় ধান কাটতে যান।
এসময় বিএসএফ সদস্যরা তাকে জোর করে ধরে নিয়ে যান। পরে ঘটনাস্থলে তাকে কিল-ঘুষি এবং লাথি মারতে দেখা যায়। কিছুক্ষণ পর তিনটি গুলির শব্দ শোনা যায়। এরপর বিষয়টি এলাকার লোকজন ও স্থানীয় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সীমান্ত ফাঁড়ি এবং পরশুরাম থানা পুলিশকে মৌখিকভাবে জানানো হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত বুধবার সকালে মেজবাহ উদ্দিনের মরদেহ ভারতীয় সীমান্তের একশ গজের মধ্যে দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা বিজিবিকে জানান।
ফেনী ৪ বিজিবির গুথুমা সীমান্ত ফাঁড়ি সূত্র জানায়, বিএসএফের সঙ্গে মরদেহ হস্তান্তরের ব্যাপারে যোগাযোগ ও পতাকা বৈঠক হয়েছে। প্রথমে তারা অস্বীকার করে বিষয়টি। পরে গত বুধবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে বিজিবি ও বিএসএফের সমাঝোতার পর ভারতের সীমারেখার মধ্যে থাকা মরদেহটি বিএসএফ নিয়ে যায়।
পরদিন বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) মরদেহ ফেরত দেওয়া হবে বলে বৈঠকে প্রতিশ্রুতি দিলেও ফেরত দেয়নি। ফেনী ৪ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল এ.কে.এম আরিফুল ইসলাম বলেন, ময়নাতদন্ত ও আনুষ্ঠানিকতা শেষে মরদেহ হস্তান্তরের কথা রয়েছে। সম্ভবত বিএসএফ আইনি প্রক্রিয়া শেষ করতে পারেনি।
প্রতিনিধি/এমএইচ/এএ
আপনার মতামত লিখুন :