ফারুকুজ্জামান, কিশোরগঞ্জ: ভূমি অধিগ্রহণ বাবদ সরকারের ৩ কোটি ৭৯ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
মঙ্গলবার জেলা দুদকের সহকারী পরিচালক মাহাথীর মুহাম্মদ সামী বাদী হয়ে জেলা কার্যালয়ে এ মামলা করেন।
মামলায় আসামি করা হয়েছে- জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সাবেক ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা সিনিয়র সহকারী সচিব সেতাফুল ইসলাম, জেলা হিসাবরক্ষণ কার্যালয়ের সাবেক অডিটর মো. সৈয়দুজ্জামান, আব্দুল্লাহ আল মামুন, একে আল মামুন, মো. কামরুজ্জামান, মো. জাহাঙ্গীর আলম, মো. আনিছুর রহমান, মোহাম্মদ মাহমুদ হোসেন শিমুল, রায়হান উদ্দিন, জিলন খাঁন, আবুল কালাম ও আব্দুল হামিদ।
তারা পরস্পর যোগসাজশে ৩ কোটি ৭৯ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন মর্মে এজাহারে বলা হয়েছে।
এছাড়াও অনুসন্ধানে দুদক ৮ কোটি ৯৬ লাখ ৫৭ হাজার ৩৬ টাকা ৪৩ পয়সার গড়মিল পেয়েছে বলেও এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।
উপপরিচালক মো. সালাহ উদ্দিন মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মামলাটি সংশ্লিষ্ট আদালতে পাঠানো হবে। আসামিরা এর আগে কারাভোগ করেছেন। বর্তমানে জামিনে আছেন। তাদের বিরুদ্ধে আদালতের নির্দেশনা মোতাবেক পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
অধিগ্রহণকৃত ভূমির ক্ষতিপূরণ বাবদ এসব টাকা ভূমির মালিকদের পরিশোধ না করে অভিযুক্তরা ব্যক্তিগতভাবে আত্মসাৎ করেছেন মর্মে অভিযোগ রয়েছে।
উল্লেখ্য, সেতাফুল ইসলামকে ২০১৭ সালের ৫ ডিসেম্বর কিশোরগঞ্জ থেকে পিরোজপুরে বদলি করা হয়। এর পরদিনই তিনি নিজ পদবীর বিপরীতে ট্রেজারি থেকে ৫ কোটি টাকার চেক ইস্যু করে সোনালী ব্যাংক থেকে টাকা তোলেন। এর ফলে তৎকালীন দুদকের সমন্বিত ময়মনসিংহ কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক রামপ্রসাদ মণ্ডল বাদী হয়ে ২০১৮ সালের ১৭ জানুয়ারি কিশোরগঞ্জ সদর থানায় ৫ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মামলা করেন। এদিকে ঢাকা থেকে দুদকের একটি দল ২০১৮ সালের ৬ মার্চ রাতে সদর উপজেলার কাতিয়ারচর এলাকায় অডিটর সৈয়দুজ্জামানের বাসা থেকে ৯২ লাখ টাকা উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে কথা বলতে সেতাফুল ইসলামের মোবাইলে ফোন কল করা হলে তিনি গাড়িতে আছেন বলে তা কেটে দেন। পরবর্তীতে একাধিকবার কল করা হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।
প্রতিনিধি/একে
আপনার মতামত লিখুন :