আবদুল ওহাব, শাজাহানপুর: [২] বগুড়ার শাজাহানপুরের বনানীতে শুভেচ্ছা আবাসিক হোটেলে স্ত্রীকে জবাই ও ১১ মাসের শিশু সন্তানকে জবাই করে মাথা করতোয়া নদীতে ফেলে দিয়েছে স্বামী। এ ঘটনায় অভিযুক্ত স্বামী আজিজুল হককে (২৪) আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে হোটেল কর্তৃপক্ষ।
[৩] রোববার পুলিশ জানায়, গতকাল রাতের যেকোন সময় বনানী শাপলা চত্তর বাসস্ট্যান্ডে শুভেচ্ছা আবাসিক হোটেলে এই নির্মম হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে।
[৪] আটক আজিজুল হক বগুড়ার ধুনট উপজেলার হেউটনগর গ্রামের কৃষক হামিদুর রহমানের ছেলে এবং একজন সেনা সদস্য বলে জানা গেছে।
[৫] হোটেল কর্তৃপক্ষ জানায়, স্ত্রী আশা মনি (২০) ও শিশুপুত্র আব্দুল্লাহ আল রাফিকে (০১) নিয়ে তিন দিন হোটেলে থাকবেন এমন কথা জানিয়ে শনিবার সন্ধ্যায় বনানীর শুভেচ্ছা আবাসিক হোটেলের ৩০১ নম্বর কক্ষে উঠেন আজিজুল হক। রাত ১০টার দিকে স্ত্রী-সন্তানকে রেখে বাইরে যান আজিজুল। রোববার সকাল ৯টার দিকে হোটেলে ফিরে ম্যানেজারকে বিল পরিশোধ করে সটকে পড়ার চেষ্টা করে আজিজুল। কিন্তু তার সাথে স্ত্রী-সন্তান না থাকায় হোটেল কর্তৃপক্ষের সন্দেহ হলে আজিজুলকে আটক করে পুলিশকে সংবাদ দেয় হোটেল কর্তৃপক্ষ। এরপর থেকেই জোড়া খুনের বিষয়টি চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে।
[৬] নিহত আশামনির বাবা বগুড়া শহরের নারুলী পূর্বপাড়া এলাকার বাসিন্দা আশাদুল জানিয়েছেন, গত বৃহস্পতিবার মেয়ে জামাই তার বাড়িতে বেড়াতে যায়। সেখান থেকে স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে শনিবার বিকেলে নিজ বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয় আজিজুল। এরপর রাত ১০টার দিকে আজিজুল তার শ্বশুরকে ফোন করে জানায়, শরীর খারাপ লাগায় আশামনিকে বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়ে সে ডাক্তারের কাছে গিয়েছিল। তখন তিনি বাড়িতে ফোন করে জানতে পারেন তার মেয়ে আশামনি বাড়িতে যায়নি। সারারাত চলে খোঁজাখুঁজি। রোববার সকাল ১১টার দিকে লোকমুখে জানতে পারেন মেয়ে আশামনি ও নাতি রাফিকে বনানীর একটি আবাসিক হোটেলে জবাই করে হত্যা করা হয়েছে।
[৭] বগুড়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরাফত ইসলাম, শাজাহানপুর থানার ওসি শহিদুল ইসলামসহ পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
প্রতিনিধি/একে