শাহাদাত হোসেন, রাউজান (চট্টগ্রাম): [২] বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে প্রতিবেশি দেশ ভারত সরকার বাংলাদেশকে ১০৯টি লাইফ সার্পোট সম্বলিত অ্যাম্বুলেন্স উপহার দিয়েছিলেন। এরমধ্যে একটি রাউজান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে দেয়া হয়েছে। দেওয়ার পর থেকে এই অ্যাম্বুলেন্সটি অচল হয়ে পড়ে রয়েছে হাসপাতালের পিছনে। হাসপাতালের পিছনে একটি টিনের ছাউনি ঘর তৈরি করে পেলে রেখেছে এই অ্যাম্বুলেন্সটি। অবহেলায়-অযত্নে পড়ে থাকায় লাইফ সার্পোট সম্বলিত অ্যাম্বুলেন্সটি দিন দিন অকেজো হয়ে যাচ্ছে।
[৩] স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২০২১ সালের ডিসেম্বরে রাউজান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে ভারত সরকারের উপহার লাইফ সাপোর্ট সম্বলিত অ্যাম্বুলেন্সটি দেয়া পরও ব্যবহার হয়নি একদিনের জন্য। এরপর থেকে হাসপাতালের পিছনে অবহেলায় দীর্ঘ প্রায় ৪ বছর পড়ে রয়েছে।
[৪] সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হাসপাতালের পিছনে অ্যাম্বুলেন্সটি অবহেলায় পড়ে থাকায় ধীরে ধীরে অ্যাম্বুলেন্সটির ব্যাটারিসহ সরঞ্জামাদি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এই লাইফ সাপোর্ট অ্যাম্বুলেন্সটিতে রয়েছে আইসিইউ পোর্টেবল ভেন্টিলেটর, জরুরি ওষুধ, ইনকিউবেশন সেট, অক্সিজেন সিলিন্ডার, সাকশন মেশিন, নেবুলাইজার মেশিন, ক্যাথেটার, বিপি স্টেথো, পালস অক্সিমিটার, কার্ডিয়াক মনিটর পালস, স্যাচুরেশন, তাপমাত্রা পরিমাপক যন্ত্র, মনিটর ব্যবস্থা, পথেই রোগীর হৃৎস্পন্দন ভেন্ট্রিকুলার টাকাইকার্ডিয়া (ভিটি) এবং ভেন্টিকুলার ফাইব্রিলেশনসহ (ভিএফ) নানা সুবিধা রয়েছে। কিন্তু মূল্যবান এই অ্যাম্বুলেন্সটি অবহেলায় কারণে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তবে অ্যাম্বুলেন্সটি সচল রাখার জন্য স্থানীয় সচেতন মহলের দাবি।
[৫] এই বিষয়ে রাউজান উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সুমন ধর বলেন, ভারতের দেওয়া উপহারের অ্যাম্বুলেন্সটি চালানোর জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের আলাদা অর্থ বরাদ্দ নেই। যার কারণে অ্যাম্বুলেন্সটির জ্বানালীর অর্থ যোগান দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। এছাড়া একজন দক্ষ চালক প্রয়োজন। সেই চালকও নেই। গাড়িটিতেও আই.সি.ও থাকলেও যন্ত্রপাতির সংকট রয়েছে। তবে গাড়িটি সচল রাখতে মাঝেমধ্যে ড্রাইভার দ্বারা চালু করা হয়।
প্রতিনিধি/একে
আপনার মতামত লিখুন :