খাদেমুল মোরসালিন, কিশোরগঞ্জ: [২] নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের প্রায় এক হাজার ৮শ’পরিবার বন্যার কবলে পড়েছে বলে জানা গেছে। চলাচলের জন্য প্রায় ১২ কিলোমিটার রাস্তা অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
[৩] উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সূত্রে জানা গেছে, অধিক বৃষ্টির কারণে মানুষের স্বপ্নের ফসল ধান, আলুসহ বিভিন্ন ফসল পানিতে ডুবে গেছে। কৃষকের চাষাবাদের শাক সবজি পানিতে ডুবে গেছে। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাঠে জলবদ্ধতা থাকার কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থী আসতে পারছে না। বিশেষ করে উপজেলার বাহাগিলী ও চাঁদখানা ইউনিয়নের নদীর তীরবর্তী এলাকাগুলোতে চাষাবাদের জমি নদীতে ভেঙ্গে গেছে। জলবদ্ধতার কারণে বাহাগিলী ইউনিয়নের উত্তর দুরাকুটি ও চাঁদখানা ইউনিয়নের সাড়োভাষা এলাকার প্রায় ৬শ’ পরিবার গরু ছাগল নিয়ে অনত্র স্থান নিয়েছে।
[৫] পানি বন্দীদের খাদ্য সহায়তাসহ গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন কাজের জন্য উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা রাশেদুল ইসলাম সকল দূর্যোগপূর্ণ এলাকা পরিদর্শন করেন এবং খাদ্য সহায়তাসহ রাস্তার চলাচলের জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহন করেন।
[৬] উপজেলা প্রকৌশলী মাহমুদুল হোসেন তার দপ্তরের সকল সহকারী প্রকৌশলীদেরকে সাথে নিয়ে ভেঙ্গে যাওয়া সকল সড়ক পরিদর্শন করেন এবং দ্রুত গতিতে মানুষের চলাচলের জন্য ব্যবস্থা নেন। তবে অনেক এলাকায় সড়ক ভেঙ্গে গভীর গর্তের কারণে সেই সকল স্থানে বিকল্প ভাবে চলাচলের ব্যবস্থা করে দেন।
[৭] উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা লোকমান আলম বলেন, বন্যার কারণে ২শ’ ৩৫ হেক্টর ফসল পানির নিচে পড়ে আছে। তার মধ্যে ২শ’হেক্টর জমিতে ধান, ৩০ হেক্টর জমিতে সবজি ও ৫ হেক্টর আলুর জমি পানির নিচে আছে। তবে দ্রুত পানি নেমে গেলে হয়তো কৃষকের ক্ষতি কম হবে।
[৮] বাহাগিলী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সুজাউদ্দৌলা লিপটন বলেন, আমার বাহাগিলী ইউনিয়নের সকল পানিবন্দী এলাকায় গিয়ে আমার নিজ অর্থে কিছু সহায়তা দিয়েছি। সরকারী ভাবে সহায়তা খুব দরকার বলে তিনি জানান।
[৯] উপজেলা নির্বাহী অফিসার নূর-ই আলম সিদ্দিকী বলেন,ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে সহায়তা প্রদান করার জন্য আমরা উদ্যোগ নিয়েছি।
প্রতিনিধি/একে/জেএ