ফারুক আহমেদ, ব্রাহ্মণপাড়া (কুমিল্লা): ব্রাহ্মণপাড়ায় গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে ইয়াসিন সরকার নামে এক কলেজছাত্র।
মঙ্গলবার (৬ জুন) মধ্যরাতে উপজেলার শিদলাই ইউনিয়নের শিদলাই ৮নং ওয়ার্ড এলাকায় তার নিজ বাড়ি থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত ইয়াসিন সরকার একই গ্রামের আবদুল কুদ্দুস সরকারের ছেলে। সে মোশাররফ হোসেন খান চৌধুরী বিশ্ব বিদ্যালয় কলেজের ডিগ্রি ১ম বর্ষের ছাত্র ছিলেন।
ইয়াসিন সরকারের মা নাজমা বেগম বলেন, আমার ছেলে পড়াশোনার পাশাপাশি গ্রামের বাজারে মোবাইল সার্ভিসিং এর দোকান চালাইতো। সেখানে রাতে থাকতো। একদিন আমার ছেলে আমায় বলে মা আমার দোকানে ভয় লাগে। পরে সে ঘরে থাকতো। সে বেশ কিছু দিন যাবৎ ঘুমের ওষুধ খেয়ে ঘুমাতো। ঘুমের ওষুধ খাওয়া নিয়ে আমি তাকে গালমন্দ করি। তখন সে আমায় বলে তাকে আমি অপমান করছি কেন? তারপর আমি আর কিছু বলিনি। আমার ছেলের বউরা তাকে গোসল ও খাওয়া দাওয়া করান। রাত আনুমানিক ২টার সময় আমার ছোট ছেলে বাইরে যাবে জন্য আমায় ডাকছিলো। তখন আমি ঘুম থেকে উঠে যাই। বাইরে থেকে আসার পর ইয়াসিনের রুমের দরজার ফাঁক দিয়ে দেখি আমার ছেলে ঘরের তীরের সঙ্গে ঝুলে আছে। আমার চিৎকার চেঁচামেচি শুনে আমার স্বামী ও ছেলের বউরা দৌড়ে ছুটে আসে। আমরা সবাই তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাই। হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার স্যার বলে আমার ছেলে মারা গেছে। আমি আর কিছু জানি না।
নিহত ইয়াসিনের ভাবি বলেন, আমাদের সঙ্গে তো কোন কিছু নিয়ে ঝগড়া নাই। সে অনেক সময় ঘুমের ওষুধ খেয়ে ঘুমাতো। আমরা জিজ্ঞাসা করলে কিছু বলতেন না, শুধু বলতেন ভালা লাগে না তার। ওড়না পেঁচিয়ে মৃত্যুর কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ভেজা ওড়না শুকানোর জন্য রুমে দেওয়া ছিলো। এটা কেন করেছে তা আমরা জানি না। আমরা তাকে ছোট ভাই হিসাবে দেখতাম।
ব্রাহ্মণপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি শেখ মাহমুদুল হাসান রুবেল জানান, মরদেহর সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্থান্তর করা হবে। প্রাথমিক ভাবে মনে হচ্ছে এটি আত্মহত্যা। তবে আত্মহত্যার কারন এখনো জানা যায়নি। এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
প্রতিনিধি/একে
আপনার মতামত লিখুন :